বিজ্ঞাপন

পশুর হাটের নিরাপত্তায় থাকছে ব্যাপক প্রস্তুতি

August 14, 2018 | 9:26 pm

।। উজ্জল জিসান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর পশুর হাটগুলোর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে মোট পশুর হাট হবে ২৫টি। এর মধ্যে দুইটি স্থায়ী আর ২৩টি অস্থায়ী।

মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পশুর হাট বসবে ১৫টি আর উত্তর সিটি করপোরেশনে বসবে ১০টি। পুলিশ যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেবে তা হলো- নির্দিষ্ট দিন থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত কোরবানীর পশু বিক্রি করা যাবে।

বিজ্ঞাপন

গরুর হাট চৌহদ্দী দিয়ে ঘেরা থাকবে হাট। এর বাইরে বাড়ানো যাবে না। দৃশ্যমান স্থানে হাসিল বা খাজনা ঘর বসাতে হবে। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব থাকবে না। গরুর দাম অনুযায়ী কত শতাংশ হাসিল দিতে হবে তা টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে। বলেন ডিএমপি উপকমিশনার।

মাসুদুর রহমান বলেন, পশুর হাট যারা ইজারা নেবেন তাদের বলা হয়েছে, হাট ও তার আশেপাশে সিসিটিভি বসাতে হবে, যাতে পুরো এলাকা মনিটরিং করা হয়। হাটগুলোতে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প থাকবে। এছাড়া, এবারে নতুন করে প্রতিটি হাটে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থাকবে। ব্যবসায়ীদের লেনদেন সুবিধার্থে এসব ব্যাংকের শাখা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক হাটের ব্যাংক, ইজারাদার ও পুলিশ কন্ট্রোল রুম তিন জায়গাতেই থাকবে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন।

তিনি জানান, ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। সেখান থেকে পুরো হাট মনিটরিং করা হবে। হাটের ইজারাদারদের বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত সংখ্যক ভলান্টিয়ার রাখতে। থাকবে মানিস্কট, কেউ চাইলে পুলিশের সহায়তা নিয়ে টাকা বহন করতে পারবে। নির্দিষ্ট সংখ্যক হকার থাকবে। অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য রোধে হকারদের রাখা হয়েছে ইজারাদারদের নিয়ন্ত্রণে। যেসকল হকার হাটে আসবে তাদের যেন ইজারাদাররা চেনেন। কোনো কিছু হলে ইজারাদার যাতে সহজেই ধরে নিয়ে আসতে পারে সে ব্যবস্থা থাকবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যবসায়ী যে হাটে যেতে চান সেই হাটের নাম ও ঠিকানা পশুবাহী ট্রাকের সামনে ব্যানার লাগিয়ে আনবেন। মাঝপথে কোনো হাটে থামানো যাবে না। কেউ জোর করতে চাইলে বা চাঁদাদাবি করলে নিকটস্থ পুলিশকে তথ্য দিতে হবে। সেই অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, সড়কে পশুর হাট বসানো যাবে না, এটা বরাবরই বলে আসা হচ্ছে। এরপরেও সড়কে হাট বসবে কি বসবে না তা দেখার জন্য সিটি করপোরেশন রয়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে সিটি করপোরেশনকে বলা হয়েছে যাতে সড়কে হাট না বসে। সড়কে হাট বসলে জনগনের চলাচল সমস্যা হয়।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মাসুদুর রহমান বলেন, পশুর হাটগুলোকে কেন্দ্র করে যাতে কোন গ্রুপ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও মাঠে কাজ করছে। এর আগের বছরগুলোতে গোলাগুলির ঘটনা পর্যন্ত হয়েছে। সেটা হয়েছে ইজারাদার সংক্রাস্ত জটিলতা নিয়ে। এবার যাতে সেরকম কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য কাজ করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/ইউজে/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন