বিজ্ঞাপন

ঝুঁকি থাকলেও সরকার গণমাধ্যম উন্মুক্ত করেছে: তথ্যমন্ত্রী

August 16, 2018 | 1:49 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বর্তমান সরকারকে ‘বাঁক বদলের সরকার’ অভিহিত করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার গতানুগতিক ক্ষমতার হাত বদল হয়ে হয়নি। গত সাড়ে ৯ বছরে এ সরকারকে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত অনেক জঞ্জাল সরাতে হয়েছে। অনেক সংস্কার করতে হয়েছে। সেখানে গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই ঝুঁকিপূর্ণ কাজটিই করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে উন্মুক্ত করে গণতন্ত্রের বিকাশকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন।’

বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর পুরানা পল্টনে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সারাবাংলা ডটনেটের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। পরে সারাবাংলার স্টুডিওর উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমরা চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। প্রথমত, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলা; দ্বিতীয়ত, মাদকের বিস্তার; তৃতীয়ত, তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র বা সাইবার জগত এবং সবশেষ, গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা ও বিস্তার। গণমাধ্যমের অবাধ বিস্তার একদিকে যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, অন্যদিকে তার সঠিক ব্যবহার রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য সহায়ক শক্তি। কিছু গণমাধ্যম হলুদ সাংবাদিকতা ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা নষ্ট করছে। তাই গণমাধ্যমকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে গণতন্ত্রকে রক্ষা করার কাজে সরকারকে সাহায্য করতে হবে।’

কারাগার ছাড়া গণতন্ত্র নেই— এমন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কারাগার বাদ দিলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ে যাবে। তাই যারা যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি, খুনি-রাজাকারদের বাঁচানোর রাজনীতি করে, তাদের বাঁচাতে চায়; তারা কারাগার গুঁড়িয়ে দিতে চায়। মূলত এর মাধ্যমে তারা দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কথা বলে।

গণতন্ত্রকে খোলা দরজা-জানালা বিশিষ্ট ঘরের সঙ্গে তুলনা করে হাসানুল হক ইনু বলেন, এমন ঘরে যেমন আলো বাতাস প্রবেশ করে, তেমনি ক্ষতিকর কিছু পোকা-মাকড়ও প্রবেশ করে। তাই দরজা-জানালা বন্ধ করে নয়, বরং নিরাপত্তা জাল দিয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তেমনি রাষ্ট্রের ভালো দিকগুলোর পাশাপাশি কিছু খারাপ দিকও থাকবে। আমাদের খারাপ দিক বাদ দিয়ে ভালো বিষয়গুলোকে আকড়ে ধরতে হবে, যেন গণতন্ত্র ব্যহত না হয়।

বিজ্ঞাপন

শিশুদের সাম্প্রতিক নিরাপদ সড়ক আন্দোলন বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই আন্দোলনে শিশুরা যা করে দেখিয়েছে, আমি তাদের বলি সুপার হিরো। তারা যাপিত জীবনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানেও শোনেন, চোখেও দেখেন। তিনি বিএনপি সরকারের মতো নন। তিনি বিষয়টি দ্রুত বুঝতে পেরে তাদের ৯ দফা দাবি মেনে নিয়েছেন। তবে সড়কের নিরাপত্তার বিষয়টি একটু জটিল ও কঠিন। এর সঙ্গে আমরা ধীরে ধীরে অভ্যস্থ হব।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোনটি যাপিত জীবনের সমস্যা আর কোনটি রাজনৈতিক সমস্যা, তা বুঝতে হবে। যারা যাপিত জীবনের সমস্যাকে রাজনৈতিক সমস্যার রূপ দিয়ে শিশুদের কাঁধে চড়ে ফায়দা হাসিল করতে চায়, তাদের মুখোশও গণমাধ্যমকে উন্মোচন করতে হবে।’

শিশুদের আন্দোলনকে সামাজিক বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করে ইনু বলেন, আমি আন্দোলন-বিপ্লবের পক্ষে, কিন্তু নৈরাজ্য ও উসকানির বিরুদ্ধে। এ নৈরাজ্য ও উসকানির বিরুদ্ধেও গণমাধ্যমকে মুন্সীয়ানার পরিচয় দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

সারাবাংলার স্টুডিও উদ্বোধন করলেন তথ্যমন্ত্রী

সারাবাংলা/এমএস/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন