August 17, 2018 | 2:38 pm
রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
প্রত্যাশার চাপ তো থাকেই। আমি এ পর্যন্ত যতোগুলো ছবিতে অভিনয় করেছি তার মধ্য থেকে এই ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা বেশি। এই ছবিতে আমি নিজেকে প্রথমবারের মতো মেলে ধরার সুযোগ পেয়েছি। অ্যাকশন দৃশ্য, রোমান্টিক দৃশ্য সব দিক থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভালো করার চেষ্টা করেছি।
ছবির নামের মাঝেই আমার চরিত্র লুকিয়ে আছে। ছবিতে আমি পরিবারের প্রতি খুব দায়িত্বশীল। পরিবারের জন্য জীবন বাজি রাখতে পারি। আমার পরিবারের ওপর যদি কেউ আক্রমণ করে তাহলে আমার আসল রুপ বেরিয়ে আসে। বলতে পারেন দর্শক আমাকে দুই ধরনের চরিত্রে দেখতে পারবেন। সাধারণ এবং বেপরোয়া।
খুব সাদাসিধে মানুষ। অন্যসব মানুষের মতো সাধারণভাবে জীবন যাপন করার চেষ্টা করি। সাধারণভাবেই থাকতে ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগে।
এটি কোন নকল ছবি নয়। কপিরাইট ক্রয় করে নির্মাণ করা হয়েছে। বেশ চড়া মূল্যে কপিরাইট কিনতে হয়েছে। যে রকম রিমেক দক্ষিণ ভারত বা বলিউডে অহরহ হচ্ছে সেরকম রিমেক আমরা করেছি। রিমেক জিনিসটি আমাদের ইতিবাচকভাবে দেখতে হবে। একটি গল্প দাঁড় করানো খুব কঠিন কাজ। গল্প নিয়ে প্রচুর ভাবতে হয়। আসলে রিমেক ছবির প্রচলন সারাবিশ্বে রয়েছে। তেলেগু ছবি থেকে তামিলরা রিমেক করছে। আবার তামিল ছবি থেকে বলিউড নির্মাণ করছে। এরপরও কিন্তু সেসব ছবি ধুন্দুমার ব্যবসা করছে। এই ধরুন, তামিল জুনিয়র এনটিআরের হিট ‘টেম্পার’ ছবির রিমেক ঘোষণা দিয়ে করছেন বলিউডের রণবীর সিং। বলতে পারি, রিমেক করা হলেও ‘বেপারোয়া’ ছবির সঙ্গে মূল ছবির কোন মিল নেই। কাহিনী অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। স্বতন্ত্রভাবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্মাণ করা হয়েছে।
রামচরণ আমাকে কোনভাবেই প্রভাবিত করেননি। সম্পূর্ণ নিজের মতো করে অভিনয় করেছি। রামচরণকে অনুকরন করলে আমার স্বকীয়তা থাকলো না। আমি অভিনেতা, আমাকে আমার মতো করে অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে হবে। এই কথাটি সবসময় অভিনয় করার সময় মনে রাখি।
অনেক ভালো অভিনেত্রী তিনি। ছবিতে আমাদের রসায়ন খুব ভালো ছিলো। তিনি আমার তুলনায় সিনিয়র অভিনেত্রী হিসেবে অনেক হেল্পফুল। যদিও ছবিতে তার সঙ্গে আমার খুব বেশি দৃশ্য নেই। যে কয়টি দৃশ্য রয়েছে তা বেশ জমে উঠবে বলে মনে করি।
দুই দেশের নির্মাতাদের মধ্যে কাজের ধরণ আলাদা। সবার নিজস্ব একটি স্টাইল রয়েছে। তারা সেই স্টাইল অনুযায়ী কাজ করেন। এর আগে ওয়াজেদ আলি সুমনের ছবিতে কাজ করেছি। খুব ভালো নির্মাতা তিনি। যদিও তাকে ‘রক্ত’ ছবিটি খুব তাড়াহুড়া করে শেষ করতে হয়েছে। যতটুকু করেছেন ভালো নির্মাণ করেছেন। আবার রাজা চন্দকে দেখেছি খুব দ্রুত কাজ করতে। তার চিন্তা ভাবনা খুব শার্প। হঠাৎ করে তিনি যেকোন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারেন। রাজা চন্দ আমার খুব পছন্দের একজন নির্মাতা। আমার কাছে তার ছবি ভালো লাগে। তিনি অ্যাকশনধর্মী ছবি ভালো নির্মাণ করেন। সেজন্য তার প্রতি আমার দূর্বলতা রয়েছে।
‘বেপরোয়া’ বিগ বাজেটের ছবি। খুব সুন্দর গল্প এবং ফ্যামিলি সেন্টিমেন্ট আছে। পরিবার নিয়ে দেখার মতো ছবি। যারা অ্যাকশন ভালোবাসেন তাদের কাছে ভালো লাগবে। কারণ, এরকম অ্যাকশন দৃশ্য বাংলাদেশের কোন ছবিতে আগে দেখানো হয়নি। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। সবকিছু মিলে এটি একটি কমপ্লিট প্যাকেজ।
শুধু ভারত না। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ছবিটি মুক্তি পাবে।
সারাবাংলা/আরএসও/টিএস