বিজ্ঞাপন

প্রাণী জবাইয়ে ৩৭০ স্থান ,বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত সিসিসি

August 21, 2018 | 7:46 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: কোরবানির পর বিকেল ৪টার মধ্যেই সাড়ে ৭ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)। প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কর্মী ও ২৪৮টি গাড়ি।

এদিকে কোরবানির প্রাণী জবাইয়ের জন্য ৩৭০টি স্থান ঠিক করে দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। নির্ধারিত স্থানে অথবা বাসাবাড়ির উঠোনে প্রাণী জবাইয়ের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সিসিসি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন সারাবাংলাকে বলেন, গতবার আমরা ৩৬১টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। এবার আরও বাড়ানো হয়েছে। আমরা কাউকে বাধ্য করতে চাই না। মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। আশা করছি, নগরবাসী নিজেরাই নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করবেন। অথবা নিজেদের বাসা-বাড়ির উঠানে জবাই করবেন। এটা আমাদের অনুরোধ।

বিজ্ঞাপন

কাউন্সিলর সুমন জানিয়েছেন, বর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩ হাজার ৭০০ পরিচ্ছন্ন কর্মী, গাড়িালক-সহকারী মিলিয়ে ৫ হাজার লোক কাজ করবেন।

‘সিটি করপোরেশনের ৮০টি গাড়ি প্রতিদিন ২ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করে। আমরা এবার ৭ হাজার ৫০০ টন কোরাবনির বর্জ্য অপসারণের টার্গেট নিয়েছি। গাড়ি দেওয়া হচ্ছে ২৪৮টি। আশা করছি, আমাদের নির্ধারিত সময় বিকেল ৪টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ করতে পারব।’ বলেন সুমন।

এদিকে কোরবানির প্রাণীর নাড়িভুঁড়ি ও অনান্য বর্জ্য অপসারণের জন্য নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে ৪টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। চারটি জোনে চারজন কাউন্সিলরকে প্রধান করে প্রতিটি জোনে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি করে কমিটি করা হয়েছে ।

বিজ্ঞাপন

উত্তর জোনের দায়িত্বে আছেন পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোবারক আলী, দক্ষিণ জোনে উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ, পূর্ব জোনের বক্সিরহাট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক এবং পশ্চিম জোনের দায়িত্বে আছেন উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোরশেদ আক্তার চৌধুরী।

এর মধ্যে ১১টি ওয়ার্ড নিয়ে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম জোনে ১০টি করে মোট ৪১ ওয়ার্ডকে ভাগ করে দামপাড়ায় খোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। ৪টি জোনে বিবিরহাট, গোসাইলডাঙ্গা, দেওয়ান বাজার ও সরাইপাড়া ওয়ার্ড কার্যালয়ে ৪টি সাব কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

উত্তর জোনের অধীনে ১১টি ওয়ার্ড- ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী, ২নং জালালাবাদ, ৩নং পাঁচলাইশ, ৪নং চান্দগাঁও, ৫নং মোহরা, ৬নং পূর্ব ষোলশহর, ৭নং পশ্চিম শোলকবহর, ৮নং শোলকবহর, ১৫নং বাগমনিরাম, ১৬নং চকবাজার ও ২১নং জামালখান ওয়ার্ড।

দক্ষিণ জোনে ১০টি ওয়ার্ড- ২৩নং উত্তর পাঠানটুলী, ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ, ২৮নং পাঠানটুলী, ২৯নং পশ্চিম মাদারবাড়ি, ৩৬নং গোসাইলডাঙ্গা, ৩৭নং হালিশহর মুনির নগর, ৩৮নং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, ৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর, ৪০নং উত্তর পতেঙ্গা ও ৪১নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড।

বিজ্ঞাপন

পূর্ব জোনে ১০টি ওয়ার্ড- ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া, ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া, ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া, ২০নং দেওয়ান বাজার, ৩০নং পূর্ব মাদারবাড়ি, ৩১নং আলকরণ, ৩২নং আন্দরকিল্লা, ৩৩নং ফিরিঙ্গী বাজার, ৩৪নং পাথরঘাটা ও ৩৫নং বক্সিরহাট ওয়ার্ড।

পশ্চিম জোনে ১০টি ওয়ার্ড- ৯নং উত্তর পাহাড়তলী, ১০নং উত্তর কাট্টলী, ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী, ১২নং সরাইপাড়া, ১৩নং পাহাড়তলী, ১৪নং লালখান বাজার, ২২নং এনায়েত বাজার, ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ, ২৫নং রামপুর ও ২৬নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড।

অপসারণের পরও বর্জ্য কোথাও পড়ে থাকতে দেখা গেলে কন্ট্রোল রুমে (৬৩০৭৩৯, ৬৩৩৬৪৯) নম্বরেও যোগাযোগের অনুরোধ করেছে চসিক।

সারাবাংলা/আরডি/জেডএফ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন