বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘আই বি রিপোর্ট’: প্রকাশনা উৎসব ৭ সেপ্টেম্বর

September 4, 2018 | 5:55 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (আই বি) ৪৭টি রিপোর্টের ফাইল থেকে করা বইয়ের ১ম খণ্ডের বইয়ের প্রকাশনা উৎসব আগামী ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত এই গ্রন্থের ১ খণ্ডের (১৯৪৮-১৯৫০) প্রকাশনা উৎসব বিকেল ৪টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। হাক্কানী পাবলিশার্স থেকে বইটি প্রকাশিত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান। ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। এছাড়াও বক্তব্য রাখবেন হাক্কানী পাবলিশার্সের প্রকাশক গোলাম মোস্তফা।

বিজ্ঞাপন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এরইমধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে বিভিন্ন মহলে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে। ওই পত্রে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রজীবন থেকেই বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু করেন। পাকিস্তান ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (আই বি) প্রতিষ্ঠান প্রতিমুহূর্তে তাঁর কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট প্রেরণ করতো। এরই ভিত্তিতে বিনা বিচারে আটক, মামলাসহ নানামুখী নির্যাতন চলতো।

১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নামে স্পেশাল ব্রাঞ্চে খোলা ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষিত সংকলন করা হয়েছে। ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে অমূল্য এ ডকুমেন্ট দেশ-জাতি ও বর্হিবিশ্বে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াসে ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অফ ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অফ দি নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শিরোনামে ১৪ খণ্ডে প্রকাশিত হচ্ছে।

এর আগে ৭ জুলাই গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার অনুষ্ঠানে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এ তথ্য জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (আইবি) ৪৭টি রিপোর্টের ফাইল থেকে ১৪ খণ্ডের বই প্রকাশের কাজ চলছে।’

বিজ্ঞাপন

সেদিন শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আপনাদের একটি খবর দিচ্ছি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমি আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে কী আছে তা দেখতে চাইলাম। তখনকার ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (আইবি) এখন এসবি (স্পেশাল সিকিউরিটি ব্রাঞ্চ) আমি এসবির ওখান থেকে আইবি রিপোর্ট ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতার বিরুদ্ধে কী কী রিপোর্ট দিয়েছিল, সমস্ত ফাইল নিয়ে আসি। ৪৭টি ফাইল মাত্র একজন নেতার নামে। আরও অনেক নেতার ফাইল আমি ঘেঁটেছি। ওই একটা পাতলা ফাইল ছাড়া আর কিছু নেই। কিন্তু একজনের বিরুদ্ধে অর্থাৎ জাতির পিতার বিরুদ্ধে ৪৭ থেকে ৭১ সাল পর্যন্ত যত রিপোর্ট ওখানে রয়ে গেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ও বেবী মওদুদ এই রিপোর্টগুলো দেখার পরে সিদ্ধান্ত নিলাম, এটা আমাদের প্রকাশ করতে হবে। সরকারি সিক্রেট কপিডেট জিনিস তাই এগুলোকে আমরা কেবিনেটকে দিয়ে অবমুক্ত করে ছাপানোর ব্যবস্থা করলাম। ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় এলাম তখন থেকে। ইতোমধ্যে ৪৭ থেকে ৫০ সাল পর্যন্ত এই রিপোর্ট ইতোমধ্যেই ছাপানো হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে এটার আমরা প্রকাশনা উৎসব করবো এবং প্রকাশ করবো। এভাবে ১৪টি ভলিউম হবে।’

এতে প্রায় ৪০ হাজার পাতা থেকে কিছুটা কমিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও সেদিন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওই রিপোর্টগুলো কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে লেখা। এর মাধ্যমেই কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস ও আওয়ামী লীগের ইতিহাস পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও রিপোর্ট আছে। আমি সেই রিপোর্টও এটা শেষ হলে আনবো। এই তথ্যগুলো আওয়ামী লীগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে জানতে পারবেন, কত কষ্ট করে এই সংগঠন করা আর কত কষ্ট করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।’

সারাবাংলা/এনআর/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন