বিজ্ঞাপন

‘চলতি সংসদের শেষ অধিবেশনে সড়ক পরিবহন আইন পাস হবে’

September 4, 2018 | 7:05 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: চলতি সংসদের শেষ অধিবেশনে সড়ক নিরাপত্তা আইন পাস হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সংসদে পাস হওয়ার আগপর্যন্ত এই আইন সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সংসদে পাস হওয়ার পর তা সংসদীয় কমিটিতে যাবে। সেখানেও আইন সংশোধনের সুযোগ থাকবে।’

প্রসঙ্গত, আগামী ৯ অক্টোবর চলতি সংসদের শেষ অধিবেশন শুরু হবে।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বুদ্ধিজীবী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গ মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সব দুর্ঘটনা যে ড্রাইভারের জন্য হচ্ছে এটা ঠিক না, পথচারীদের জন্যও হচ্ছে। তারা নিয়ম মানতে চায় না। রাস্তার ওপর চলে আসে। আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন না হলে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু করে কোনো লাভ হবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেকোনো কাজের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অনেক ধীরগতি। সমন্বয় এখানে বড় সমস্যা। তবে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি নাই। আমার আওতায় দেশের ২১ হাজার কিলোমিটার পথ রয়েছে। এর বাইরে পৌনে ৩ লাখ রাস্তা রয়েছে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তারপরও রাস্তায় কিছু হলে আমার উপর দোষ পড়ে। এটা আমার দুর্ভাগ্য।’

তিনি বলেন, ‘অনেক কাজ করেছি। ২৪ ঘণ্টার ১৬ ঘণ্টাই কাজ করেছি। যতই কাজই করি না কেন এর সুফল যদি জনগণ না পায় তাহলে কোন সাফল্য আসবে না। এখানে আমার ৭ বছরের অভিজ্ঞতা। এরকম মিটিং কয়েক’শ হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজটি যারা পেয়েছে তারা কাজটি ভাল করেনি। তারপরও এইটুকু করতে কত মিটিং তাদের সঙ্গে করতে হয়েছে তা বোঝাতে পারবো না। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কোনো মৃত্যু নেই। কারণ মাত্র ১৮ কোটি টাকায় বাঁকগুলো সোজা করেছি এবং ডিভাইডার করেছি। ঢাকা-মাওয়া সড়কে ৪৪টি স্প্রিড ব্রেকার ছিল। এটা ১০টায় নামিয়ে এনেছি। এখানে এখন দুর্ঘটনা তেমন নেই। বাংলাদেশে ১৪৪টি ব্ল্যাকস্পট ১৬৫ কোটি ব্যয়ে ঠিক করা হয়েছে। ব্ল্যাকস্পটের জন্য আমরা আরেকটি প্রকল্প নিচ্ছি। চেষ্টা করলে হবে না এটা ঠিক না।’

বিজ্ঞাপন

কাদের বলেন, ‘অনেকগুলো আন্ডারপাস করা হচ্ছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল পথে ২০টি আন্ডারপাস হচ্ছে। ব্যাটারিচালিত রিক্সা এখন নতুন উপদ্রুব। আর মোটরসাইকেল এখন মূর্তিমান আতঙ্ক। মোটরসাইকেলের জন্য গাড়িও চলতে পারে না। আমরা ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। ঢাকার রাস্তা ঠিক করার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের, কিন্তু করছে না। এর দায়িত্বও আমাকে নিতে হয়।’

মতবিনিময় সভায় সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘সড়কে এখন মৃত্যু বা হত্যার প্রতিযোগিতা চলছে। আর সড়ক পরিবহন আইনটি আরও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। সড়কে নিরাপদ করতে প্রধানমন্ত্রী অনেক নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো মানা হয়নি। এসব নিয়ে পর্যালোচনা সভা করা উচিত। কেন নির্দেশনা মানা হয়নি সেটাও জানা প্রয়োজন।’

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা ও ব্যবহারের বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকতে হবে। আইনের মধ্যে সচেতনতা তৈরির বিষয়টি থাকতে হবে। আর বয়স, অবস্থান ও আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘ফুট ওভারব্রিজের বদলে আন্ডারপাস করতে হবে। ট্রাফিক বিভাগের লোকদের ড্রাইভিং জানতে হবে। পথচারিদের জন্য ফুটপাত ফিরিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি গোলচত্ত্বরের পাশ থেকে যাত্রী ছাউনি সরাতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

এছাড়া মতবিনিময় সভায় বুয়েটের শিক্ষক, পরিবহন মালিক, হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এইচএ/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন