বিজ্ঞাপন

রূপা হত্যার বিচার শুরু

November 29, 2017 | 9:12 am

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে রূপা খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়েছে। মামলায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বুধবার টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ এবং টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল হাসান এ আদেশ দেন। আগামী ৩ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯)।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ কে এম নাছিমুল আক্তার জানান, আজ আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়। এ সময় তাদের আইনজীবী শামীম চৌধুরী আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি, মামলাটি অধিকতর তদন্ত এবং জামিনের জন্য পৃথক তিনটি আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনগুলো খারিজ করেন।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহনশ্রমিকেরা ধর্ষণ করেন। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যান। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

পরে ২৮ আগস্ট রূপার ভাই মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পুলিশ এরপর ওই পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে।  ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা  এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছেন।

৩১ আগস্ট রূপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে লাশ দাফন করা হয়।

একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন