September 7, 2018 | 2:17 pm
রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ধন্যবাদ। প্রতিবছরই সময়ের চাকা ঘুরতে ঘুরতে জন্মদিন চলে আসে। আমার কাছে জন্মদিন মানে বাকি জীবনের প্রথম দিন মনে হয়।
জীবনটাকে উপভোগ করতে হবে। সবসময় আনন্দে থাকা। আর আনন্দে থাকার একমাত্র উপায় হচ্ছে কাজ করা। এটাই আমি বিশ্বাস করি। এই বিশ্বাসের ওপর ভর করে আমি কাজ করে গেছি।
জীবনে আমার চাওয়ার থেকে বেশি পেয়েছি। জীবনে খুব সীমিত চাওয়া ছিল আমার। এটাই আমার জীবনের সবথেকে বড় উপলব্ধি। এ জীবনে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। মানুষ আমার অভিনয় পছন্দ করেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তাদের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।
অপ্রাপ্তির কথা বললে অকৃজ্ঞের মতো কাজ হবে। আমার জীবনে প্রাপ্তির সংখ্যা বেশি। যা কাজ করেছি তার থেকে অনেক বেশি পেয়েছি।
সব থেকে বেশি অবদান আমার বাবার। তিনি সাংস্কৃতিক জগতের মানুষ ছিলেন। অভিনয় করতেন না। একটি ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন। সেখান থেকে আমার অভিনয়ের শুরু। বাবা আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিতেন। পাশপাশি মা’ও অনুপ্রাণিত করতেন। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী আমার আমার পাশে থেকেছেন। সবসময় সাহস জুগিয়ে চলছেন এখনও।
এই মূহুর্তে আমি পরিচালনা বেশি উপভোগ করছি। আমার কাছে মনে হয়,পরিচালনায় সম্পূর্ণতা থাকে। তবে পরিচালনায় অনেক বেশি ভাবতে হয়,পরিশ্রম করতে হয়। সে কারণে খুব বেশি পরিচালনা করা হয়ে ওঠেনা।
এটা নিয়ে এখন কিছু বলাটাই বৃথা। নাটক এখন প্রাইভেট সেক্টরে চলে গেছে। টাকাওয়ালা মানুষরা প্রাইভেট সেক্টর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাদের সাথে আছে চ্যানেল। তাদের চাহিদা মতো এখন সব পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং একজন পরিচালকের এখানে কিছুই করার থাকেনা। এখন এখানে অনেক স্বজনপ্রীতি হচ্ছে ।
অনেকেই খুব ভালো অভিনয় করছেন। তবে এমন অনেক অভিনয়শিল্পী আছেন যারা স্বজনপ্রীতি আর গ্ল্যামারের কারণে অভিনয় করছেন। তাদের ভেতর দক্ষতার অভাব রয়েছে। যেহেতু তারা অভিনয়ে চলে এসেছেন সেহেতু তাদের অভিনয় শিখতে হবে। অভিনয়ের ওপর কর্মশালা করতে হবে। তাহলে অভিনয়ের ওপর ধীরে ধীরে দক্ষতা বাড়বে।
আমার একটি ফেসবুক অ্যাকউন্ট আছে। শুনেছি আমার নামে সাতাশটির মতো ফেইক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে। ফেইক আইডি থেকে অনেকে অপ্রত্যাশিত কিছু লিখলে সেটা বিশ্বাস না করার অনুরোধ করছি।
ছবি: আশীষ সেনগুপ্ত
সারাবাংলা/আরএসও/টিএস