বিজ্ঞাপন

‘জীবনে অপ্রাপ্তি কম, প্রাপ্তি বেশি’

September 7, 2018 | 2:17 pm

রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণস্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গন যাদের দ্বারা সমৃদ্ধ হয়েছে তাদের মধ্যে আবুল হায়াত অন্যতম। তিনি সংস্কৃতি অঙ্গনের নক্ষত্রসম মানুষ। একাধারে তিনি অভিনেতা, পরিচালক এবং লেখক। প্রকৌশল বিদ্যার ছাত্র হওয়ার পরও অভিনয়কে ভালোবেসে আকড়ে ধরেছিলেন পরম মমতায়। সেই সত্তর দশক থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তিনি অভিনয়ে মুগ্ধ করছেন দর্শকদের। আজ (৭ সেপ্টেম্বর) সব্যসাচী এই অভিনেতার ৭৪ তম জন্মদিন। তার কাছে জন্মদিন মানে নতুন জীবনের প্রথম দিন। জন্মদিনে আবুল হায়াত কথা বলেছেন সারাবাংলার সঙ্গে। জানিয়েছেন জীবনের উপলব্ধি, প্রাপ্তির কথা। সেই সঙ্গে বর্তমান সময়ের অভিনয়শিল্পীদের নিয়েও নিজের অভিমত জানিয়েছেন।


  • শুভ জন্মদিন…

ধন্যবাদ। প্রতিবছরই সময়ের চাকা ঘুরতে ঘুরতে জন্মদিন চলে আসে। আমার কাছে জন্মদিন মানে বাকি জীবনের প্রথম দিন মনে হয়।

  • জীবন থেকে আরও একটি বছর পেরিয়ে গেলো। এই সময়ে এসে আপনার অনুভূতির কথা বলুন।

জীবনটাকে উপভোগ করতে হবে। সবসময় আনন্দে থাকা। আর আনন্দে থাকার একমাত্র উপায় হচ্ছে কাজ করা। এটাই আমি বিশ্বাস করি। এই বিশ্বাসের ওপর ভর করে আমি কাজ করে গেছি।

  • ৭৫ বছরে পা দিলেন। ৭৪ বছরের দীর্ঘ জীবনে আপনার উপলব্ধির কথা জানতে চাই।

জীবনে আমার চাওয়ার থেকে বেশি পেয়েছি। জীবনে খুব সীমিত চাওয়া ছিল আমার। এটাই আমার জীবনের সবথেকে বড় উপলব্ধি। এ জীবনে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। মানুষ আমার অভিনয় পছন্দ করেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তাদের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।

বিজ্ঞাপন

  • অভিনয় জীবনে কোন অপ্রাপ্তি?

অপ্রাপ্তির কথা বললে অকৃজ্ঞের মতো কাজ হবে। আমার জীবনে প্রাপ্তির সংখ্যা বেশি। যা কাজ করেছি তার থেকে অনেক বেশি পেয়েছি।

  • আপনার সফলতার পেছনে জীবনে কার অবদান  সবথেকে বেশি বলে মনে করেন?

সব থেকে বেশি অবদান আমার বাবার। তিনি সাংস্কৃতিক জগতের মানুষ ছিলেন। অভিনয় করতেন না। একটি ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন। সেখান থেকে আমার অভিনয়ের শুরু। বাবা আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিতেন। পাশপাশি মা’ও অনুপ্রাণিত করতেন। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী আমার আমার পাশে থেকেছেন। সবসময় সাহস জুগিয়ে চলছেন এখনও।

বিজ্ঞাপন
  • অভিনয়ের পাশপাশি পরিচালনাও করেন। এই দুইয়ের মধ্যে কোন জায়গাটা উপভোগ করেন?

এই মূহুর্তে আমি পরিচালনা বেশি উপভোগ করছি। আমার কাছে মনে হয়,পরিচালনায় সম্পূর্ণতা থাকে। তবে পরিচালনায় অনেক বেশি ভাবতে হয়,পরিশ্রম করতে হয়। সে কারণে খুব বেশি পরিচালনা করা হয়ে ওঠেনা।

  • আপনাদের সময়ে টেলিভিশনে থিয়েটার তেকে অভিনয়শিল্পীরা আসতেন। এখন অনলাইন মাধ্যম থেকে অভিনয়শিল্পীরা আসছেন। এ বিষয়ে কি বলবেন?

এটা নিয়ে এখন কিছু বলাটাই বৃথা। নাটক এখন প্রাইভেট সেক্টরে চলে গেছে। টাকাওয়ালা মানুষরা প্রাইভেট সেক্টর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাদের সাথে আছে চ্যানেল। তাদের চাহিদা মতো এখন সব পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং একজন পরিচালকের এখানে কিছুই করার থাকেনা। এখন এখানে অনেক স্বজনপ্রীতি হচ্ছে ।

  • বর্তমান প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীরা কেমন করছেন?

অনেকেই খুব ভালো অভিনয় করছেন। তবে এমন অনেক অভিনয়শিল্পী আছেন যারা স্বজনপ্রীতি আর গ্ল্যামারের কারণে অভিনয় করছেন। তাদের ভেতর দক্ষতার অভাব রয়েছে। যেহেতু তারা অভিনয়ে চলে এসেছেন সেহেতু তাদের অভিনয় শিখতে হবে। অভিনয়ের ওপর কর্মশালা করতে হবে। তাহলে অভিনয়ের ওপর ধীরে ধীরে দক্ষতা বাড়বে।

বিজ্ঞাপন
  • আপনার কোন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে?

আমার একটি ফেসবুক অ্যাকউন্ট আছে। শুনেছি আমার নামে সাতাশটির মতো ফেইক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে। ফেইক আইডি থেকে অনেকে অপ্রত্যাশিত কিছু লিখলে সেটা বিশ্বাস না করার অনুরোধ করছি।

ছবি: আশীষ সেনগুপ্ত

সারাবাংলা/আরএসও/টিএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন