বিজ্ঞাপন

বে-টার্মিনাল প্রকল্পে অগ্রগতি, ৬৭ একর জমি পেল বন্দর

September 11, 2018 | 9:14 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আরও একটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ৯০৭ একর জমির মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন ৬৭ একর জমি পেয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের কাছে ওই জমির দাম বাবদ ৩৫২ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন।

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর একটি হোটেলে বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ এই চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান হয়। এ সময় চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে তিনটি টার্মিনাল (জিসিবি, সিসিটি ও এনসিটি) ও ২৩টি জেটি এবং ৪ লাখ বর্গমিটার ইয়ার্ড রয়েছে। বে-টার্মিনাল নির্মাণ হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা চারগুণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে বন্দর চেয়ারম্যান জানান, দেশের মোট আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ৯২ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পরিবাহিত হয়। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশ হয় কন্টেইনারের মাধ্যমে। প্রবৃদ্ধি মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ২০১৯ সাল নাগাদ চট্টগ্রাম বন্দর এর ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যাবে। তাই নতুন টার্মিনাল নির্মাণের কোন বিকল্প নেই। বন্দর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে নির্ধারিত স্থানটি বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য উপযুক্ত স্থান। এটি চালু করতে পারলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ৪ গুণ বেড়ে যাবে। জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। ফলে জাহাজের গড় অবস্থানের সময় কমবে। আয়ও বাড়বে।

২০১৯ সালের মাঝামাঝি বে-টার্মিনালে ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান। অনুষ্ঠানে গত ১০ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে নৌমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ছোঁয়া লাগায় বিশ্বসেরা ১০০ বন্দরের মধ্যে অবস্থান করবে চট্টগ্রাম বন্দর।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন