বিজ্ঞাপন

রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের কারাদণ্ডের পক্ষে সু চি

September 13, 2018 | 2:06 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিকদের কারাদণ্ড নিয়ে তীব্র আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও রায়ের পক্ষে সাফাই গাইলেন মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভিয়েতনামে এক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রথমবারের মত মুখ খুলেন তিনি।

সু চি বলেন, ‘ওয়া লোন ও কিয়াও সোয়ে ও আইন ভেঙেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিচারের সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলাটি আইনের শাসনকে সমর্থন করে এবং অনেক সমালোচক প্রকৃতপক্ষে এই রায়টি পড়ে দেখেননি।’ রায়ের বিরুদ্ধে প্রত্যেকেই আপিল করতে পারবেন এবং রায় ভুল হলে এর বিরুদ্ধে যৌক্তিক সত্যতা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান সু চি।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রের গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ৩ সেপ্টেম্বর রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সোয়েকে (২৮) সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ইয়াঙ্গুনের একটি আদালত। ওইদিনই এক বিবৃতিতে এই দুই সাংবাদিকের মুক্তি চান জাতিসংঘের নবনিযুক্ত মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।

আসিয়ান নিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে কথা বলা সময়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানকে অন্যভাবেও সামাল দেওয়া যেত বলেও মন্তব্য করেছেন সু চি। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই কিছু উপায় ছিলো। ঘটনার পরবর্তী বিষয়গুলো বিবেচনা করে রোহিঙ্গা সঙ্কট আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেত।’

বিজ্ঞাপন

যদিও সু চি মিয়ানমারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নন, তারপরও তাকে দেশটির যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গত বছরের আগস্টে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা সঙ্কট ও পরবর্তীতে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিতর্কিত বিচার প্রক্রিয়ার কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে।

এ সপ্তাহেই মিয়ানমারে ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোর’ অভিযোগ করে জাতিসংঘ। সু চি’র সর্বশেষ বক্তব্যের পর এক প্রতিক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার গ্রুপ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, ‘তিনি ভুল পথে হাঁটছেন’।

গ্রুপের এশিয়া অঞ্চলবিষয়ক উপপরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন, তিনি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন যে সত্যিকার আইনের শাসন বলতে আদালতে উপস্থাপিত প্রমাণকে সম্মান করা, যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তা পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা ও আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ রাখা এবং সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রভাব থেকে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাখাকে বোঝায়। আর এর সবগুলো পরীক্ষাতে রয়টার্সের সাংবাদিকদের কারাদণ্ড ঘোষণার বিচার উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সদ্য সাবেক প্রধান রাদ আল হুসেইন বলেছিলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে পুরোপুরি ব্যর্থ অং সান সু চি। সংখ্যালঘু এই জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত অভিযান বন্ধে কার্যকর কোনো ভূমিকা পালন করতে না পারায় তার বহু আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল।

সারাবাংলা/এএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন