বিজ্ঞাপন

ভারতের টানা না মালদ্বীপের দ্বিতীয়

September 14, 2018 | 10:49 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সাফ ফুটবলের ইতিহাসে পরস্পর মুখোমুখি হওয়ার রেকর্ডে নাম লেখানে দুই দল ভারত ও মালদ্বীপ। এর আগে ১২ বার এ টুর্নামেন্টে সাক্ষাত হয়েছে দু’দলের। তার মধ্যে ছিল চারটি ফাইনাল। যাদের প্রথমটি ২০০৯ সালে, সেবার ভারত দ্বীপ রাষ্ট্রকে হারিয়েছিল টাইব্রেকারে।

এবারও দুই দল ফাইনালে। যদিও সাফ সুজুকি কাপের গ্রুপ পর্বেও মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। মালদ্বীপকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে ভারতের পাঠানো অনূর্ধ্ব-২৩ দল। টানা তিন জয়ে ফাইনালে এই এশিয়ান গেমসের দলটি।

এ ধরা পাঁচবার ফাইনালে পা রেখেছে মালদ্বীপ। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল একবার। ১০ বছর আগে। ২০১০ সালে।

বিজ্ঞাপন

গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মালদ্বীপের পাসিং অ্যাকুরেসি ছিল ৫০.৯ শতাংশ। তারা ম্যাচটি হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। এটাই এ টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন হারের রেকর্ড। তারা দুই দলই পরবর্তীতে বল পজেশন রাখাতে আরও সক্রীয় হয়েছে।

এ আসরে প্রথম তিন ম্যাচের মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে মালদ্বীপ। সেটাও সেমি ফাইনালে। নেপালকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। দুটি গোল করেছেন ইব্রাহিম ওয়াহিদ হাসান। দলের আলী ফাসির একাই ৫টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছে যা মালদ্বীপের সর্বোচ্চ।

দলকে নিয়ে আশাবাদীও দলটি অধিনায়ক আকরাম আব্দুল ঘানি, ‘আমরা গ্রুপ পর্যায়ে কষ্ট করেছি ঠিকই কিন্তু এখন আমরা ফাইনালে। এটাই আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ। আমরা ৯ বছরে ফাইনাল খেলতে পারিনি। আমরা প্রস্তুত এবং টুর্নামেন্টটি জিততে চলেছি।’

বিজ্ঞাপন

মালদ্বীপের প্রধান কোচ পিটার সেগ্রেট দলের পারফর্মেন্সে খুশি, ‘আমরা সবচেয়ে বড় বিপক্ষ দলের সঙ্গে খেলতে নামছি। যে দেশে ১৩০ কোটি মানুষ আছে এবং আমরা ৩ লাখ। কিন্তু আগামিকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) যুদ্ধটা হবে ১১/১১। তারা অনূর্ধ্ব-২৩ দল পাঠাতে পারে। কিন্তু আমরাও সেমি প্রফেশনাল। কিন্তু তারা কঠোর পরিশ্রম করেছে।’

এদিকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত আছে আরেকটি রেকর্ডের সামনে। সবচেয়ে বেশিবার ফাইনাল খেলা দেশ। এবং সবচেয়ে বেশিবার (৭) টুর্নামেন্ট জেতা দেশটিও ভারত। যা বাকী সবগুলো দেশের ট্রফি অর্জনের থেকেও বেশি।

দেশটির কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন এই দল নিয়ে আশাবাদী, আমাদের উন্নতি দেখে আমি সন্তুষ্ট। আমি মনে করি আমরা ভালো খেলেছি এবার ফাইনাল যাওয়া ডিজার্ভ করি। মালদ্বীপ নেপালের সঙ্গে দুর্দান্ত খেলেছে। তাদের ভালো কিছু প্লেয়ার আছে। তবে, আমরা কাউকে ভয় পাই না।’

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন