বিজ্ঞাপন

বদলে যাচ্ছে শেখ রাসেল এভিয়ারি ইকো পার্ক

January 1, 2018 | 2:01 pm

জোসনা জামান, স্টাফ করসপনডেন্ট

বিজ্ঞাপন

বদলে যাচ্ছে রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারী ও ইকো-পার্ক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের নামে এ পার্কটি স্থাপন করা হয় ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে। এখন এটিকে পরিপূর্ণ করতে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও দুই বছর বিভিন্ন উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশী, ফলজ এবং শোভাবর্ধনকারী গাছ লাগিয়ে জীববৈচিত্রের উন্নয়ন, পার্কের শোভাবর্ধন, বিনোদন সুবিধা বৃদ্ধি এবং দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও পাখির বংশ রক্ষা সম্ভব হবে। পাশাপাশি রাঙ্গুনিয়ার স্থানীয় লোকদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এজন্য ১২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা খরচে শেখ রাসেল এভিয়ারি ও ইকো-পার্ক স্থাপন, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম (দ্বিতীয় পর্যায়) নামের একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। অনুমোদন পেলে জানুয়ারি থেকে  ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বন অধিদপ্তর।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশী বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির পাখির নিরাপদ আবাসস্থল সৃষ্টি হবে, দেশের বিরল এবং বিপন্ন প্রায় প্রজাতির পাখি সংরক্ষিত হবে, অতিথি পাখিদের অভয়ারণ্য সৃষ্টি এবং ইকোট্যুরিজম সম্প্রসারণের মাধ্যমে পার্কটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ করা যাবে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শেখ রাসেল এভিয়ারী ও ইকোপার্কটি ২১০ হেক্টর বেষ্টিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ নিয়ন্ত্রণাধীন রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জে অবস্থিত। এলাকাটি চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের পাশে চন্দ্রঘোনা শহর, কর্ণফুলি কাগজকল এবং কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থিত। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ার কারণে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক সারা বছর এ এলাকায় ভ্রমণ করতে আসেন।

এক সময় এ পাহাড়ী এলাকা প্রাকৃতিক ও মূল্যবান লতা-গুল্ম, গাছ-গাছালী, ঔষধি বৃক্ষ, পশু-পাখি সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু কালের আবর্তে এসব সম্পদ অনেকটা হারিয়ে গেছে এবং কিছু সম্পদ বিপন্ন এবং হুমকির মুখে পড়েছে। তাই, এলাকাটিকে রক্ষা করতেই শেখ রাসেল এভিয়ারী ও ইকোপার্ক স্থাপন, শীর্ষক প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় এ অঞ্চলটিতে এভিয়ারী প্রতিষ্ঠাকরণ, পাখির খাবার ও বাস উপযোগী বাগান সৃজন, পাখির আবাসস্থল নির্মাণ, পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য বিনোদনমূলক সুবিধা সৃষ্টি, জলাধার উন্নয়নসহ বেশ কিছু কাজ হয়। প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পটি হাতে নেয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম গুলো হচ্ছে, ১ কিলোমিটার রোপওয়ে সম্প্রসারণ, ১৬ হাজার ঘনমিটার লেক খনন, ৭ হাজার আরসিসি পিলারসহ কাঁটাতারের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ২ হাজার বর্গমিটার ওয়াকওয়ে, ৫ হাজার এইচবিবি রোড, ৩ লাখ ঘন মিটার এভিয়ারী নির্মাণ, আড়াই হাজার বর্গমিটার পার্কিং এরিয়া উন্নয়ন, দেশি, বিদেশী পাখি ক্রয়, পাখির খাবার সংগ্রহ, ৭৫ হাজার ফল ও পশুখাদ্যের জন্য চারা রোপণ, ৬ হাজার সৌন্দর্য বর্ধনকারী চারা রোপণ, স্থানীয় ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, পরামর্শক সেবা প্রদান করা হবে।

(সারাবাংলা/জেজে/জেএএম)

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন