বিজ্ঞাপন

সবাই চায় চলচ্চিত্রের সুদিন, তবে…

September 17, 2018 | 12:33 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

‘এফডিসিতে এলে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা বলেন, কিছু কিছু বিষয় ফ্রী করে দিতে। আমরাও বুঝি। কিন্তু এফডিসির তো চলতে হবে। একেবারে বিনামূল্যে করে দিলে এফডিসি চালাতে পারব না। আপনারা যারা বাইরে থেকে ক্যামেরাসহ যন্ত্রপাতি ভাড়া নেন তাদেরকে বলছি, এফডিসি থেকে ভাড়া নিন। ছাড় দেয়া হবে। দরকার হলে একটি শ্যাম্পু কিনলে আর একটা ছোট শ্যাম্পু ফ্রী- এমন ব্যবস্থা করব। সবাই মিলেমিশে কাজ করুন। সরকার আপনাদের পাশে আছে।’

নতুন মুখের সন্ধানে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনে অতিথির বক্তব্যে এভাবেই চলচ্চিত্র নিয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এসময় তিনি ‌‌নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। সেইসঙ্গে নতুন যারা আসবেন তাদের যেন সিনেমার উপযোগী করে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয় সে বিষয়ে জোর দিতে বলেন।


আরও পড়ুন :  সেক্সি ভূত সায়ন্তনী


তিনি আরও বলেন-

‘সিনেমা উন্নয়নের জন্য টুকরো টুকরো সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসা হয়। এটা ঠিক না। কি কি ধরনের সমস্যা আমাদের চলচ্চিত্রে রয়েছে সেসব তালিকা করে আমাদের জানালে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত রেস্তোরায় ‌‘নতুন মুখের সন্ধানে-২০১৮’ প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এছাড়া চিত্রনায়ক আলমগীর, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, সংস্কৃতি সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদসহ চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।

উদ্ধোধনী বক্তৃতায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন-

‘এখানে অনেকের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে। সিনেমা নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকম কথা বলেন। যৌথ প্রযোজনার সিনেমা, আমদানিকৃত সিনেমা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে ইদানিং। আগে কিন্তু বিভিন্ন দেশের সিনেমা বাংলাদেশে মুক্তি পেত। তখন আমাদের দেশের সিনেমাও পশ্চিম পাকিস্তানে ভালো চলত। কোনো ছবি বাংলাদেশের সিনেমার জন্য হুমকি না।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের কথার সঙ্গে একমত পোষন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী। টুকরো টুকরো সমস্যাগুলোকে একত্রিত করে সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এর আগে চিত্রনায়ক আলমগীর অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য ২০০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা চান। তিনি বলেন-

‘অর্থমন্ত্রীর কাছে আমার ছোট একটি অনুরোধ আছে। তার কাছ থেকে জানতে পেরেছি, এবার বাজেট হয়েছে চার লাখ পঁয়ষট্টি হাজার কোটি টাকার। এদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোকে ডিজিটাল করতে এবং আমাদের চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে সেখান থেকে মাত্র ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হোক।’

শুধু তিনি নন, অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখা সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজকদের দাবি একই ছিল। তারা মনে করেছিলেন সবাইকে অবাক করে দিয়ে অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী চলচ্চিত্র শিল্পকে সাহায্যের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তেব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন-

‘নতুন শিল্পী আবিষ্কার আপনারা শুরু করলেন, এটা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। সংস্কৃতি ও সাহিত্যে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি, কিন্তু আমরা চলচ্চিত্রে অনেক পিছিয়ে পড়েছি। নতুন মুখ খুঁজবেন, পুরোনোদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবেন।’

তবে মন্ত্রী সাহায্যের ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। বিষয়টিকে কিছুটা রহস্যের মধ্যে রেখে তিনি বলেন-

‘আসলে সংস্কৃতি বিষয়ক কোনো কাজে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ সহায়তার ঘোষণা দেয়া যায় না। তবে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে। আমিও চাই, আমাদের চলচ্চিত্রের স্বর্ণালী দিন ফিরে আসুক।’

অনুষ্ঠান শেষে অর্থমন্ত্রী প্রতিকী নিবন্ধনের মধ্যে দিয়ে প্রতিযোগিতার কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন। এসময় জুরি বোর্ডের দায়িত্ব পাওয়া চিত্রনায়ক আলমগীর, চিত্রনায়িকা চম্পা, জয়া আহসান উপস্থিত ছিলেন। জুরি বোর্ডের বাকি দুই সদস্য আমজাদ হোসেন ও আফজাল হোসেন ব্যক্তিগত কারনে উপস্থিত ছিলেন না।


আরও পড়ুন :

দেবীর গানে অনিমেষ-জয়ার রসায়ন

জীবনে যা কিছু করি, হৃদয় থেকেই করি


সারাবাংলা/আরএসও/পিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন