বিজ্ঞাপন

একটি রাজনৈতিক মিথ্যা ও সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ

September 19, 2018 | 10:42 am

ভোটের রাজনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। তো- মিডিয়ার এখন ভোট নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা। ভোটের খবরা-খবর, ভোট নিয়ে জনগণের উৎসাহ উদ্দীপনা এসবেই ভরে থাকার কথা খবরের কাগজের পাতাগুলো, অনলাইনের ক্যানভাস, কিংবা চ্যানেলগুলোর প্রাইমটাইম। ওদিকে পদ্মার ভাঙন চলছে। গ্রাম-শহর-জনপদ যাচ্ছে পদ্মার গর্ভে সে নিয়েও ব্যস্ত মিডিয়া। কিন্তু এরই মধ্যে খবর এলো- বিএনপি মহাসচিবকে ডেকে পাঠিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। রীতিমতো চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক দলটির মহাসচিবের সাথে কথা বলতে চান জাতিসংঘের মহাসচিব। খবর হিসেবে বোমাফাটানোর মতোই একটি ঘটনা। দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের মহাসচিবকে জাতিসংঘে ডেকে পাঠিয়ে স্বয়ং মহাসচিব কথা বলবেন এমন একটি খবরে মিডিয়ার ঝাঁপিয়ে পড়ার যথেষ্টই কারণ রয়েছে। আর তাকে গুরুত্বও দিতে হবে। মিডিয়াগুলো তাই করেছে। মিডিয়ার কাছে যখন খবরটি পৌঁছায় ততক্ষণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশ ছেড়ে নিউইয়র্কের পথে, ফলে অবিশ্বাস করার কিংবা সাংবাদিকতার প্রধানতম কাজ সন্দেহ করার সুযোগটাও কমে আসে। কিন্তু দিন শেষে জানা গেলো- খবরটি ভুলভাবে উপস্থাপিত।

বিজ্ঞাপন

মূল খবরটি এমন- জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত জুলাইয়ে যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন সেই সফরেরও এক মাস আগে তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর দপ্তরে অনুরোধ জানিয়েছিলো বিএনপি। কিন্তু গুতেরেসের ঢাকা সফরের সময় তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায়নি দলটি। পরে এ মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে সংস্থাটির রাজনীতিবিষয়ক সহকারী মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠকের সময়সূচি চূড়ান্ত করে একটি চিঠি পাঠানো হয়। আর তাতেই বিএনপি মহাসচিব দলের আরও দুই জনকে নিয়ে নিউইয়র্ক যান। তাতে কী এই দাঁড়ালো যে- জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলেন বিএনপি মহাসচিব? নিশ্চয়ই না। তারা দেখা করতে চেয়েছিলেন, আর তাতে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব কথা বলার সময় দিয়েছেন, আর সে জন্যই পৃথিবীর অপর পীঠে উড়ে যেতে হয়েছে বিএনপি মহাসচিবকে। ফলে যে খবরটি এসেছে সেটি সঠিক নয়। তবে রাজনৈতিক সে মিথ্যাচারের ফাঁদে পা দিয়ে রিপোর্ট করেছে দেশের প্রায় সকল সংবাদমাধ্যম। এদিকে জাতিসংঘ জানাচ্ছে- বাংলাদেশের একজন রাজনীতিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এর মহাসচিব এমন মন্তব্যে বিব্রত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। কারণ তারা নিজে থেকে কাউকে আমন্ত্রণ জানায়নি।

২০১৭ সালে জার্মানির বনে গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে এতদবিষয়ক একটি আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছিলো। সেই আলোচনার বিষয়বস্তু ও অর্জিত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই। ওই আলোচনায় সত্য-উত্তর রাজনীতির যুগে মিডিয়ার ভূমিকা কী হচ্ছে আর কী হওয়া উচিত সেসব নিয়েই আলোচনা হচ্ছিলো। প্রিয় পাঠক এই সত্য-উত্তর (ইংরেজিতে যার নাম দেওয়া হয়েছে পোস্ট-ট্রুথ) শব্দটি এখানে গুরুত্বপূর্ণ। সে আলোচনায় পরে আসছি। ডয়েচে ভেলের উদ্যোগে ওই ফোরামের আলোচনার সঞ্চালক ছিলেন জার্মান সাংবাদিক টেরি মার্টিন। আলোচনার সূত্রপাতে তিনি বলছিলেন- সত্য-উত্তর রাজনীতির যুগে আপনাদের স্বাগত। অনুষ্ঠানে রাজনীতিকরাও ছিলেন। তারা একটু নড়ে চড়ে বসলেন। আর সাংবাদিকরা কান খাড়া করলেন সবাই। টেরি মার্টিন বলেই চলছেন- আমরা এমন এক যুগে পৌঁছেছি যখন রাজনীতির জনপ্রিয়তা পেতে মিথ্যার বেসাতিই কেবল নয়, কেউ কেউ তো এমনও ভেবে বসে আছেন যে সত্য কিংবা বাস্তবতা এখন আর কোনও বিষয়ই নয়!

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন তখন কেবলই শেষ হয়েছে। মিথ্যার বেসাতি করে স্রেফ স্যোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে একটি নির্বাচনকে কতটা প্রভাবিত করা যায় তার আনকোরা উদাহরণ সবার সামনে। ফলে, আলোচনা জমে উঠলো। তাতে বক্তা ছিলেন কানাডার উইনিপেগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক জ্যাসন হান্নান, ইরানের প্রেস টিভি ইরান ও ইংলিশ/অ্যারাবিক অনলাইনের প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ হাশেমি, যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাদারিং ফর জাস্টিস’র নির্বাহী পরিচালক এবং উইমেন’স মার্চ-এর জাতীয় সমন্বয়ক কারমেন পেরেজ, জর্ডানের অ্যারাব রিপোর্টার্স ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম এর নির্বাহী পরিচালক রানা সাবাগ আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছিলেন ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক আমান্ডা বেনেট।

বিজ্ঞাপন

বাঘা বাঘা এই আলোচকদের সামনে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন টেরি মার্টিন- মূল ধারার সংবাদমাধ্যম কি রাজনীতিকদের মিথ্যাকথনকে ব্র্যান্ডিং করে নিজেদের পরিচয়কেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে না? এই বাস্তবতা বিবর্জিত সময়ে মিডিয়াই বা কী করে তার গ্রহণযোগ্যতা ফিরে পাবে?

আলোচকরা অবশ্য একটি কথা জোর দিয়ে বললেন- রাজনীতিতে মিথ্যাচার নতুন কিছু নয়। এতো এখন ইন্টারনেটের যুগ বলে সহজে সামনে এসে যাচ্ছে। নতুবা আগেও এমন অনেক হয়েছে।

হ্যাঁ সেতো হয়েছেই। গোয়েবলস থিওরিতো রাজনীতি থেকেই উৎসারিত। একই মিথ্যা বার বার বলো, তাতে সেটাই একদিন সত্যে পরিণত হবে।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়াসহ বিশ্বের দেশে দেশে এমন রাজনৈতিক মিথ্যাচার এখন অহরহ ঘটছে।

২০১৬ সালটি এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য। সে বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালে নতুন কিছু শব্দের সাথে পরিচিত হতে হয় সবাইকে। তারমধ্যে একটা শব্দ এই সত্য-উত্তর রাজনীতি (ইংরেজিতে যাকে বলা হচ্ছে পোস্ট-ট্রুথ) রাজনীতিতে সত্যকে যেনো দ্বীপান্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো সেই সময়ে। সেবছর অক্সফোর্ড ডিকশনারি এই পোস্ট-ট্রুথ শব্দটিকে ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করেছিল। যুক্তরাজ্যে তখন ব্রেক্সিট, আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন চলছিলো। মিথ্যা আর গুজবের ছড়াছড়ি চলছিল সিরিয়া যুদ্ধ নিয়ে। রাশিয়া এসবে কি প্লেয়ার হিসাবেই কাজ করছিলো।

আমার আলোচনা সেই সব মিথ্যাচার নিয়ে নয়, এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতিসংঘ সফর নিয়েও নয়। আমার উদ্দেশ্য একটি কথা জানানো যে- এসবে সবচেয়ে বড় বিপদে পড়ে ২৪-ঘণ্টার সংবামাধ্যমগুলো। তাদের তাৎক্ষণিক খবর দিতে হয় বলে, এই মিথ্যা-সত্যোর ভারসাম্য রেখে খবর দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সাংবাদিকতা পড়ে যায় চরম বিপাকে। হটকেকের মতো এক একটা তথ্য আসে। প্রকাশ করা, না করার দোলাচলে ভুগতে ভুগতে সাংবাদিক ভুল করে বসে। ফলে গুজব, মিথ্যা তথ্য এসবও স্থান পেয়ে যায় সংবাদপত্রের পাতায়।

সকলের মনে থাকার কথা- ২০১৬’র সেই অবস্থা থেকে বাঁচাতে সংবাদমাধ্যমে সেসময় আরেকটি শব্দ খুব চাউড় হয়- সেটি হচ্ছে ফ্যাক্টচেকিং। অর্থাৎ যা শুনেছো তার বাস্তবতা নীরিখ করে দেখো। কিন্তু প্রতিমূহূর্তের খবর পরিবেশনকারীদের জন্য সে ছিলো এক কঠিন পরীক্ষা।

বিজ্ঞাপন

একটা উদাহরণ দেয়া যাক। যুক্তরাজ্যে যখন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে গণভোটের প্রস্তুতি চলছিলো। তখন একটি তথ্য চাউড় করা হলো- ইইউ’র সদস্য হয়ে থাকলে ব্রিটেনকে প্রতি সপ্তায় ৩৫০ মিলিয়ন পাউন্ড গুনতে হয়। ব্রেক্সিটের পক্ষের ক্যাম্পেইন ভোট লিভ থেকে দেওয়া এই তথ্য মানছিলো না যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান দফতর। বিবিসি নিউজ, চ্যানেল ফোর তাদের ফ্যাক্টচেকিংয়ে বিষয়টির কোনও প্রমাণও পায়নি। কিন্তু ভোট লিভ নামের উদ্যোগটি এই বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়ে তাদের ক্যাম্পেইন চালিয়ে যেতে থাকে। ফল যা হয়েছিলো তা এখন সবারই জানা। সত্যবিবর্জিত সেই রাজনীতিরই জয় হয়েছে সেবারের গণভোটে।

দেশের ভিতরের উদাহারণটিতো এখনো জ্বলজ্যান্ত। এই সেদিন কোমলমতি শিশুদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সুযোগটা কাজে লাগাতে গিয়ে যে মিথ্যা খবর রটানো হলো তার জের কিন্তু দেশ এখনো বহন করছে। এখনো অনেক শিশুর মনে সেই ধারণাই প্রোথিত হয়ে রয়েছে, সত্যিই হত্যা করা হয়েছে চার জনকে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ছাত্রীরা। অথচ স্রেফ রাজনৈতিক ফায়দা নিতেই ছিলো সেই রটনা।

সাংবাদিকতায় নিউ মিডিয়ার যুগে কতগুলো বিষয় এখন সামনে এসেছে। এখানে সকল ধরণের মিডিয়ার একটা একীভূত রূপ দেখা যাচ্ছে একটি প্ল্যাটফর্মে। এতে মাধ্যমগুলেই যে কেবল একীভূত হচ্ছে তাই নয়- একটির রিপোর্ট কিংবা স্কুপ সহজেই চলে আসছে অন্যটিতে। মিডিয়াগুলো তথ্য ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এর মধ্যে সাংবাদিকতার বিকাশের নামে পাঠক-দর্শক নিজেও বানাচ্ছে খবর। আর এতসবে সবকিছুর ওপর কড়া নজর রাখা মিডিয়া গেটকিপারদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে কোথা থেকে কোন ফাঁক গলিয়ে কোন মিথ্যাচার মিডিয়ায় ঢুকে পড়ছে তার ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখাও অনেকাংশে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ওই যে ফ্যাক্ট চেকিংয়ের কথা বললাম, সেটি একটি অন্য যোগ্যতা। সে যোগ্যতার হেরফেরে কোনও কোনও মিডিয়া সত্য আর মিথ্যার, সঠিক ও অসঠিকতার পার্থক্য যথাসময়ে ধরতে ব্যর্থ হয়। পাশাপাশি রয়েছে স্যোশাল মিডিয়ার লাইক শেয়ার, র‌্যাংকিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে অ্যালগরিদমের চাপ। এই অ্যালগরিদম বা সার্চ ইঞ্জিন তাই দেখে কিংবা বোঝে যেটা বেশি ভিউজ হয় কিংবা বেশি খোঁজা হয়। সত্য মিথ্যা দেখতে যায় না। মিথ্যা বলে আপনি যা কিছু এড়িয়ে গেলেন, অন্য কেউ তা বিনা বাক্যব্যয়ে গ্রহণ করে এগিয়ে গেলো। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে আপনার টিকে থাকা দায় হয়ে পড়লো। ফেসবুক অবশ্য এখন বলছে তারা ফেক নিউজগুলো ধরে ফেলবে। কিন্তু তারপরেও আমরা ফেসবুকে এমন বানোয়াট খবরের ছড়াছড়ি দেখতে পাই।

তাই বলে কী রাজনৈতিক মিথ্যাচার বন্ধ হবে? যদি তাই হতো- তাহলে কোমলমতি ছাত্রদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলন থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য একটি দলের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হত্যা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে এমন কথা ছড়ানো হতো না। কিংবা একটি বড় রাজনৈতিক দল স্রেফ পাবলিকের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে বলে দিতো না- তাদের জাতিসংঘ মহাসচিব ডেকে পাঠিয়েছেন। আর সেই মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে দেশে ফিরেও তারা একই মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে থেকে স্ববিরোধী বক্তব্য দিতেন না।

বিএনপি মহাসচিব ঢাকায় ফিরে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে  সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বলেছেন- জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তবে মহাসচিব সেসময় বাইরে থাকায় সহকারী মহাসচিবের সাথে তাদের কথা হয়েছে। অথচ আগেই দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক থেকে পাঠানো খবরেই জানাচ্ছিলো- বিএনপি দেখা করতে চেয়েছে আর তাতে সাড়া দিয়ে সহকারী মহাসচিব সময় দিয়েছেন।

ওদিকে জাতিসংঘ বলছে- এমন একটা দাবি করায় বিশ্বের এই অভিভাবক সংস্থাটি এখন বিব্রত। কারণ একটি দেশের রাজনৈতিক দলকে জাতিসংঘ মহাসচিব এভাবে ডেকে পাঠান না। জাতিসংঘ মহাসচিব যদি কথা বলতেই চান তিনি রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের সঙ্গেই কথা বলবেন।

তবে জাতিসংঘের চার্টারে পরিষ্কার বলা আছে সদস্য দেশের সরকার, বিরোধী দল, রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি যে কেউ কোনও বিষয় জাতিসংঘকে জানাতে পারে। বিষয়টি মির্জা ফখরুলও সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেছেন। তা এমন বক্তব্যে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়। আর সে সুযোগটি নিয়েই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, সে বক্তব্যও তার কথায় পরিষ্কার। কিন্তু জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে সেখানে যাওয়া- এমন একটি দাবি পোস্টট্রুথ পলিটিক্সই বটে।

সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক থাকতে হবে এ ধরনের পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে। মিথ্যার রাজনীতির ফাঁদে পড়া যাবে না। কিন্তু ফ্যাক্ট চেকিংয়ের তেমন কার্যকর ব্যবস্থা কী আমাদের রয়েছে? না নেই।

তবে তার চেয়েও বেশি নেই আমাদের সচেতনতা। অনেক মিডিয়া আমার এই সত্য-উত্তর রাজনীতের সাথেই রয়েছে। সরকারি দলসহ সবগুলো দলই সে সুবিধা নিচ্ছে। সুতরাং- সাধু সাবধান।

মাহমুদ মেনন, নির্বাহী সম্পাদক, সারাবাংলা.নেট

সারাবাংলা/এমএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন