বিজ্ঞাপন

রাজবাড়ীর পানিবন্দি ২০ হাজার পরিবারে এখনও পৌঁছেনি ত্রাণ

September 20, 2018 | 1:01 pm

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

রাজবাড়ী : পদ্মা নদীর পানি বেড়ে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত এসব গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবতের জীবন-যাপন করছেন।

বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটসহ গবাদীপশু নিয়ে এসব এলাকার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। অথচ এখন পর্যন্ত সরকারি কোন ত্রাণ সহায়তা তাদের কাছে পৌঁছেনি।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের লস্করদিয়া, হরিণবাড়ীয়া, ভাগলপুর, বিজয়নগর, নারায়ণপুর, আলোকদিয়া, কালিকাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া, মাঠ কালুখালী, কামিরসহ অন্তত ২০টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের চরম সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার মানুষ। গবাদীপশু নিয়ে তারা আরও বেশি বিপাকে পড়েছেন। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় বেড়েছে সাপের উপদ্রব।

বিজ্ঞাপন

হরিণবাড়ীয়া গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, ‘প্রতি বছরই এসব এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। তবে এবার বন্যার পাশাপাশি ভাঙনের কারণে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। শত শত একর জমি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়েছে, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বন্যা। গবাদীপশু নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি বিপদের মধ্যে রয়েছি।’

একই এলাকার সাথী আক্তার জানান, বাড়িতে পানি ওঠায় রান্না-বান্না করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। বাচ্চারাও স্কুলে যেতে পারছে না। বিশুদ্ধ পানি বা কোনো রকম ত্রাণ না পাওয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ৩০দিন পদ্মা পাড়ের এসব মানুষ বন্যা কবলিত রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তাদের কাছে কোন ত্রাণ পৌঁছেনি। এ কারণে বন্যা কবলিতদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় খাদ্য সংকট ও বিশুদ্ধ পানির প্রচণ্ড অভাব রয়েছে।’

এ বিষয়ে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বন্যা এবং ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এরইমধ্যে আমরা ৩৬ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ পেয়েছি। রতনদিয়া ইউনিয়নের এক হাজার এবং কালিকাপুর ইউনিয়নের ৫০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। শিগগিরই এসব পরিবার প্রতি ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। পাশাপাশি ঘর নির্মাণের জন্য টিন দেওয়া হবে। এছাড়া আরও যারা ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছেন পর্যায়ক্রমে তাদের ত্রাণের ব্যাবস্থা করা হবে।’

সারাবাংলা/এসএমএন

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন