বিজ্ঞাপন

‘বিদেশে বসে ভুতুড়ে কথা ছাপছেন এস কে সিনহা’

September 20, 2018 | 12:26 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘বিদেশে বসে আপন মনে ভুতুড়ে কথা ছাপছেন। ক্ষমতা যখন থাকে না তখন অনেক ধরনের অন্তর্জ্বালা তৈরি হয়।’

সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহার উদ্দেশ্যে এ সব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

কাদের বলেন, ‘এস কে সিনহা সাবেক হয়ে গেছেন। সাবেক হওয়ার অন্তর্জ্বালা আছে। কী পরিস্থিতিতে সাবেক হয়েছেন সবাই জানে। প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় এখন বইতে যা লিখেছেন তখন সেসব বলার সৎসাহস একজন বিচারপতির কেন ছিল না?’ প্রশ্ন রাখেন কাদের।

দেশ থেকে নির্বাসনে যেতে সরকার বাধ্য করেছে বলে সম্প্রতি ‘এ ব্রকেন ড্রিম’ বইয়ে লিখেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।

তারই কথার পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন বিদায় নিয়ে কেন পুরনো কথা নতুন করে বলছেন? যা খুশি তাই বলছেন। এ নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তিনি যদি সত্যিই বলতেন তাহলে যখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন তখন বললেন না কেন? সত্য কথা দেশে জনগণের মাঝে বললেন না কেন? এখন  বিদেশে বসে মনগড়া কথা দিয়ে বই লেখেন।’

বিজ্ঞাপন

‘এটা দেশের মানুষকে বিশ্বাস করতে হবে? আমাদের বিশ্বাস করতে হবে? এসবের কোনো যৌক্তিকতা নেই’ বলেন কাদের।

নতুন নতুন জোট গড়ে ওঠাকে আওয়ামী লীগ কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলে দলে জনে জনে যে ঐক্যের কথা  আসছে। এতে করে কি জনমনে কোন প্রভাব ফেলবে? শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কি জনপ্রিয়তা কমে যাবে? আমার বিশ্বাস তাদের এ দলের সংখ্যা বাড়িয়ে, এদেশে এক সময় ৭৬ পার্টির ঐক্যে হয়েছিল। এটা কি জনমনে কোনো প্রভাব ফেলতে পেরেছে? আমাদের আস্থা আছে, বাংলাদেশের জনমত শেখ হাসিনার পক্ষে রয়েছে।’

কাদের বলেন, ‘নেতায় নেতায় ঐক্য হলে জনতার মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না। দেশের বর্তমান চিত্র অনুযায়ী এই মুহূর্তে জনমনে কোনো প্রতিফলন হবে না। নেতায় নেতায় ঐক্য,  দলে দলে ঐক্য যতই হোক জনগণ প্রভাবিত হবে না। এটাই আমাদের অভিজ্ঞতা।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিবও তাদের ডেকে ছিলেন। কিন্তু পরে জানা গেলো, জাতিসংঘের মহাসচিব তাদের আমন্ত্রন করেননি এটা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার। তারা জাতিসংঘের প্রধান ফটকে গিয়ে বারবার অনুরোধ করে,  একটা তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

‘বিএনপি জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছে, প্রতারণা করেছে। এতে দেশের জনগণকে অপমানিত করেছে। গণতন্ত্রকে অসম্মান করা। যাদের জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণ ভুয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমন্ত্রণও সে রকমের ভুয়া।’

সারাবাংলা/এনআর/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন