বিজ্ঞাপন

প্রথম সপ্তাহেই কাজ শুরু করবে গুজব শনাক্তকারী সেল: তারানা হালিম

September 20, 2018 | 7:32 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগলসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া, মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তথ্য মন্ত্রণালয় গঠিত গুজব মনিটরিং সেল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে দেবে এই তথ্যটি গুজব, এই সংবাদটি ভুয়া। সেভাবে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের বিধিতে আনীত একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত সংরক্ষিত সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি ছিল ‘সংসদের অভিমত এই যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় ও জনজীবন বিশৃঙ্খলা এবং অরাজকতা প্রতিরোধ কল্পে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হোক।’ সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করে বাপ্পি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি গুজবের তথ্যচিত্র সংসদে তুলে ধরেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান। তবে মন্ত্রীর ব্যাখা প্রদানের পর তিনি তার সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নেন।

বিজ্ঞাপন

তথ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে, নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়েছে এমন হাজার হাজার গুজব ছড়ানো হয়েছে। নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত সব সময়ই এ ধরনের কাজ করে থাকে। ৩০০টি ভুয়া ফেসবুক পেজ তারা দেশের বাইরে থেকে কার্যকর রেখেছে। তবে যেহেতু সোস্যাল মিডিয়ার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। তাই বিটিআরসি এধরনের কনটেন্ট ফিল্টারিং করে থাকে। তাদের সহযোগিতা দিয়ে থাকে এনটিএমসি। তাছাড়া একটি প্রজেক্ট রয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশন গ্রহণ করেছে যার মাধ্যমে দেশের ভেতর থেকে যেসকল কনটেন্ট প্রবেশ করবে সেগুলো ফিল্টার করতে পারবে, এগুলো আইআইডি’র মাধ্যমে ফিল্টার করা হয়। কিন্তু বিদেশের কনটেন্টগুলো ফিল্টার করা খুব কঠিন হয়ে যায়। সেইজন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথা রয়েছে। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে যখন দেখেছি এই ধরনের কার্যক্রম হচ্ছে। আমরা চিন্তা করেছি আর কি করতে পারি। আমরা এরইমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নিবিড়ভাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং আইসিটিতে যোগাযোগ অব্যাহত রাখব। বিষয়টি সামনে রেখে আমরা ত্বরিৎগতিতে দ্রুততার সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে মনিটরিং নয়, গুজব শনাক্তের জন্য একটি সেল গঠন করে ফেলেছি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিএফপি’র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার, সিনিয়র তথ্য অফিসার, ফিচার রাইটারদের নিয়ে সেল গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৬ জন তথ্য অফিসারও রয়েছেন। আশা করছি অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে আমরা অন্তত প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াকে জানিয়ে দিতে পারব যে এই সংবাদগুলো গুজব, ভিত্তিহীন সেই তথ্যগুলো বিটিআরসিকে প্রদান করব। আর বিটিআরসি তখন ফেইসবুক, ইউটিউব, গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই বৃহৎ কাজ পরিচালনার জন্য বিশাল টিম প্রয়োজন। আমাদের পিআইবিতে লোকবল সংকট রয়েছে। সেখানে লোকবল বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট গ্রুপের দরকার রয়েছে। নীতিমালা করার প্রয়োজন রয়েছে। কাজেই দ্রুতার সঙ্গে যেন আমরা তৈরি হতে পারি, আমরা জানিয়ে দিতে পারি এটা গুজব। সেই জন্য গুজব শনাক্তকরণে আমরা সেল গঠন করে ফেলেছি। ওই টিম সকাল-বিকাল পালাক্রমে মনিটরিং সেলকে সহযোগিতা করবেন। আমরা পুনরায় নির্বাচিত হয়ে এলে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পূর্ণাঙ্গ সেল গঠন করব। দক্ষ জনবল নিয়ে সংবাদপত্রের পাশাপাশি ওই সেল তথ্য প্রদান করবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন