ইলিশসহ সব মাছ ধরা নিষিদ্ধ ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন প্রজনন ক্ষেত্রের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাত ও কেনাবেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। একই সময়ে প্রজনন ক্ষেত্রগুলোতে অন্য কোনো মাছও ধরা ও বেচাকেনা করা যাবে না।

রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৮’ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত প্রজন্ন ক্ষেত্রগুলো হলো— মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী থেকে হাইতকান্দী পয়েন্ট, তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দীন থেকে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট, কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট ও কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া থেকে গন্ডামার পয়েন্ট।

এছাড়া ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার সব নদ-নদীতে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমার মধ্যে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

এছাড়াও দেশের সুন্দরবনসহ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং মোহনাগুলোতেও এই ২২ দিন মাছ ধরা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পরিপালন করা হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করতে দেশের বিভিন্ন মাছ ঘাট, আড়ত, হাটবাজার, চেইনশপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ২২ দিন অভিযান চলবে।

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে এই নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে মেনে চলার জন্য প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ জেলে সম্প্রদায়, মৎস্য সমিতি, সধারণ জনগণসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নিষেধাজ্ঞাকালীন সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানান।

সভায় মৎস্য সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ইসলাম আলী ও সেক্রেটারি ফনী ভূষণ মালো এবং নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর