বিজ্ঞাপন

‘লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলেই ক্লাসে ফিরবেন শিক্ষকরা’

September 25, 2018 | 1:31 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আজও মঙ্গলবার কর্মবিরতি চলছে আহসানউল্ল্যাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। ভেতন-ভাতা বৃদ্ধি, সপ্তাহে ৯ ঘন্টা ক্লাশ এবং শিক্ষকদের জন্য গঠিত বোর্ডে শিক্ষকদের প্রতিনিধি রাখাসহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আহছানউল্যাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজীর উপাচার্য আবদুল এম এম শফিউল্যাহ। তবে, উপাচার্য এই প্রতিশ্রুতি লিখিতভাবে না দেওয়ায় আজও (২৫ সেপ্টেম্বর) কর্মবিরতি চালাচ্ছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা শেষে সন্ধ্যায় ক্যাস্পাসে এসে আন্দোলনরত শিক্ষকদেরকে তাঁদের দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন উপাচার্য। তবে লিখিত প্রতিশ্রুতি না পেলে শিক্ষকরা সে দাবি মানতে রাজি নয় বলে জানিয়েছেন উপচার্যকে। এমনকি লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি না পেলে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ফের কর্মবিরতির মাধ্যমে অবস্থান কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষকরা।

আর্কিটেকচার বিভাগের আন্দোলনকারী সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ কাজী মুমিনুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের উপাচার্য বলেছেন, ট্রাস্টি বোর্ডের মিটিংয়ে আমাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা বলেছি, এ মেনে নেয়ার লিখিত কপি চাই আমরা। তবেই, কর্মবিরতি বন্ধ ঘোষণা করা হবে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে নয় দফা দাবি বাস্তবায়ন চেয়ে আসছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা। এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে টানা আন্দোলন করে আসছেন তারা। দাবিগুলো হলো- সম্প্রতি প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ও চাকরির যোগ্যতা অবিলম্বে বাতিল; সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনদের নিয়ে অংশগ্রহণমূলক কমিটি গঠন করে চার স্তরের শিক্ষক পদ রেখে (প্রভষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক) নতুন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করে নিয়োগে চাকরির যোগ্যতা প্রণয়ন; বর্তমান বেতন ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সমঅনুপাতে বাড়ানো; বাৎসরিক মূল বেতনের ১০ শতাংশ বৃদ্ধি; সব শিক্ষকদের জন্য কারিগরি ভাতা; চাকরিতে যোগ দেওয়ার শুরু থেকেই গ্র্যাচুইটি চালু করা; মানসম্পন্ন গবেষণা কাজ ও প্রকাশনার জন্য বাড়তি প্রণোদনা; সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ অনুযায়ী এখনকার তুলনায় ক্রেডিট ঘণ্টা কমানো ও তা পদ অনুযায়ী বণ্টন করা (যেমন- অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের জন্য ৯ ক্রেডিট ঘণ্টা এবং সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের জন্য ১২ ক্রেডিট ঘণ্টা) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে (বেতন কমিটি, একাডেমিক কমিটি, নীতি নির্ধারণী কমিটি ইত্যাদি) প্রতিটি নিয়মিত অনুষদের সর্বস্তরের শিক্ষক প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা।

কিন্তু ২০ দিন আন্দোলনের পরও কোনো প্রতিশ্রুতি না পাওয়ায় গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষকরা। পরে আজকে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে দাবি আদায়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে উপচার্যের এমন প্রতিশ্রুতিতে মুক্ত হন তিনি।

সারাবাংলা/এসএইচ/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন