বিজ্ঞাপন

উপপ্রধানমন্ত্রী ও ডেপুটি স্পিকার পদ চাইবে জাতীয় পার্টি

October 1, 2018 | 9:07 pm

।। আজমল হক হেলাল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট হিসেবে অংশ নিলে পরবর্তী সরকারে দলের অংশীদারিত্ব কী হবে, তা আগে থেকেই ঠিক করে নিতে চায় জাতীয় পার্টি। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে কতটি আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য থাকবেন, মন্ত্রিপরিষদে দলটির কতজন থাকবেন— এসব বিষয়ও আগে থেকেই ঠিক করে নিতে চায় দলটি। একইসঙ্গে সংসদের ডেপুটি স্পিকার পদ ছাড়াও উপপ্রধানমন্ত্রী পদ তৈরি করে সেই পদেও দলটির কোনো নেতাকেই দেখতে চায় জাতীয় পার্টি।

জাতীয় পার্টির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র সারাবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। যদিও সূত্রগুলো বলছে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের অধীনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে কি না, তা নির্ভর করছে নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়ার ওপর। বিএনপি নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগ কেবল মহাজোটের মাধ্যমেই নির্বাচন করবে না, শরিক দলগুলোর সঙ্গেও জোটের অংশীদারিত্ব স্পষ্ট করে নেবে।

আরও পড়ুন- শেখ হাসিনা-রওশন রুদ্ধদ্বার বৈঠক: জাপার দাবি ৬ মন্ত্রী, ৪৬ এমপি

বিজ্ঞাপন

এসব বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন,  বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না, তা ১০ অক্টোবরের পর বোঝা যাবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে এক ধরনের সমঝোতা হবে। আর বিএনপি  নির্বচনে অংশ নিলে জাতীয় পার্টি মহাজোট থেকে নির্বাচন করবে এবং ভবিষ্যতে সরকার গঠন করতে পারলে সেখানেও দলটির অংশীদারিত্ব থাকবে।

পরবর্তী সরকারের অংশীদারিত্বে জাতীয় পার্টি থেকে কতজন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী থাকবে এবং নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কতটি আসন পাবে, সে বিষয়ে দরকষাকষি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা আরও জানান, সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে একটি তালিকা দিয়েছেন। সেই তালিকায় জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্যসহ মোট ৫০টি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থিতা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সরকার গঠনে অংশীদারিত্বের পাশাপাশি সংসদে ডেপুটি স্পিকার পদটি ও উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। আর মন্ত্রিপরিষদে ১০ জন সদস্য এবং দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জন্য বিশেষ মর্যাদাও দাবি করেছেন রওশন এরশাদ। তার দাবির ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টিকে ৪৬টি সংসদীয় আসনে প্রার্থিতা এবং মন্ত্রিপরিষদে দলটির সাত জনকে অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ থেকে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জানতে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী একজন সংসদ সদস্য সারাবাংলাকে বলেন, চলতি অক্টোবর মাসের ২১ তারিখে সংসদ অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এই অধিবেশন চলবে সাত দিন। হয়তো এ সময়েই আসন ভাগাভাগিসহ সবকিছু চূড়ান্ত হতে পারে।

ডেপুটি স্পিকারে জাতীয় পার্টির সদস্য ও উপপ্রধানমন্ত্রী পদ তৈরির দাবি বিষয়ে জাতীয় পার্টির ওই নেতা বলেন, এ সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার পদটি বিরোধী দল থেকে করা কথা  ছিল। আর উপপ্রধানমন্ত্রী পদটি তৈরি করা হবে কিনা জানি না। তবে নির্বাচন সংক্রান্ত সব বিষয় নিয়ে হয়তো আগামী অধিবেশনের যেকোনো সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ আলোচনা করতে পারেন।

জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের সারাবাংলাকে বলেন, একসময় আমরা ডেপুটি স্পিকারের পদটি চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার দেয়নি, এ নিয়ে পরে আর কথাও ওঠেনি। আগামীতেও সেই দাবি আমাদের থাকবে। আর উপপ্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব কেউ দিলেও দিতে পারে, সেটা আমার জানা নেই।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন