বিজ্ঞাপন

‘মিথ্যা না বললে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই’

October 3, 2018 | 8:01 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মিথ্যা না বললে, ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত না করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘যারা মিথ্যা তথ্য দেবে না, ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে না, আমার মনে হয় তাদের (এই আইন নিয়ে) উদ্বেগের কিছু নেই। যারা মিথ্যা প্রকাশ করেছে, তাদের জন্যই এটা উদ্বেগের বিষয়। সিআরপিসি’তে যা আছে, তাই দেওয়া আছে।’

বুধবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ৭৩তম জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানসহ যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এখানে উদ্বিগ্ন বেশি হবে যারা, এতদিন ধরে খুব তৈরি-টৈরি হয়ে আছে। নির্বাচনের শিডিউল বা নির্বাচন কাছাকাছি, আমাদের ভালো করে ঘায়েল করার জন্য যারা খুব বেশি ডক্যুমেন্ট তৈরি করে বসে আছে, তারা উদ্বিগ্ন হতে পারে। কারণ তারা ভাবছে যে, এরপর তো মিথ্যা নিউজ করব, এটা তো মাঠে মারা যাবে। ওখানে একটা জিনিসের ল্যাপস (ঘাটতি) আছে। একটা জিনিস ওখানে ঢুকানো যায় বলে আমি মনে করি। সেটা হলো— যদি কেউ কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেয়, তাহলে সেই তথ্যটা তাকে প্রমাণ করতে হবে। যদি সে এটা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়, সেই সাংবাদিক যে লিখবে, যে পত্রিকা বা মিডিয়া বা ডিজিটাল ডিভাইস হোক ব্যবহার করবে, বা যে এটা প্রকাশ করবে, তাদের সবাইকেই শাস্তি পেতে হবে। যার বিরুদ্ধে লিখবে, তার যে ক্ষতি হবে তার জন্য তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তাকে ফাইন করা হবে। যেটা ইংল্যান্ডে আছে।

বিবিসি’তে একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের কারণে বিবিসি’র অনেক কর্মীকে পদত্যাগ দিতে হয়েছিল। সেই উদহারণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি যদি এখন বলি, ২০০৭ সালে আমি যখন বন্দি, আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ব্যাপারে যত রকমের তথ্য যেসব পত্রিকা প্রচার করেছে, এখন আমাদের অনেকের বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা নিউজ দিয়ে দিলো। তদন্ত করে প্রমাণ হলো, এটা মিথ্যা। তারপর কী হয়? যার বিরুদ্ধে করে, তার জীবনটা তো শেষ হয়। তার তো ড্যামেজ হয়ে গেল। কিন্তু যে পত্রিকটা এটা করল, সে কী শাস্তি পেল? তার তো কোনো সাজা হল না। তারা তো বহাল তবিয়তে তত্ত্বকথা বলে বেশ মুখ উঁচু করে চলছে সমাজে। তাদের তো এই লজ্জা হয় না। একটা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে সেটা প্রমাণ হলো না। কিন্তু যার ক্ষতি করা হলো, তার তো সমাজের কাছে, নিজের ছেলেমেয়ের কাছে, নিজের পরিবারের কাছে হেয় হতে হলো। তার যে ক্ষতিটা হলো, সেই ক্ষতিটা পূরণ হবে কিভাবে?

পদ্মা সেতু, মিগ-২৯ কেনা সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে তৎকালীন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবগুলোই তো মামলা হয়েছে। একটাও তো প্রমাণ করতে পারেনি। যারা উৎসাহিত হয়ে বড় বড় হেডলাইনে লিখেছে, তারা তো লিখে বেশ খালাস হয়ে এখনও সমাজে খুব উচ্চস্বরে কথা বলে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের যে ক্ষতি, আমাদের যে মানসিক যন্ত্রণাটা বা যার বিরুদ্ধে লিখেছে তার যে মানসকি যন্ত্রণা, সেই ক্ষতিপূরণটা কে দেবে?

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা খুব উদ্বিগ্ন আমি বুঝলাম। কিন্তু আমাদের উদ্বেগটা কে দেখবে? বা যারা এরকম ভিকটিমাইজ হচ্ছে, তাদের উদ্বেগটা কে দেখবে? ওই জায়গাটা একটু কমতি আছে, যেটা ইংল্যান্ডের আইনে আছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কারও যদি অপরাধী মন না থাকে, ভবিষ্যতে অপরাধের পরিকল্পনা না থাকে, তার উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই। আমার যেটা হয়েছে, আমি দেখলাম বৈঠক-টৈঠক। তাতে আমি এমন এমন মানুষ দেখলাম, তারা উদ্বিগ্ন হবেই। কারণ তারা তো প্রস্তত হয়ে বসেই আছে, একটার পর একটা লেখা তৈরি করেই বসে আছে যে কবে আমার দলের বিরুদ্ধে আমার বিরুদ্ধে চালাবে। তারা উদ্বিগ্ন হতে পারে। আপনাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিচ্ছু নেই। অন্তত আমি যতক্ষণ আছি, উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কিছু নাই। কোনো ভয়ের কিছু নেই এখানে। ভয় পাবে তারা, যারা অপরাধী মন নিয়ে আছে। এটা আমার পরিষ্কার কথা।

সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোংরামি ঠেকাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার লিটন দাসের এক ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য বিষয়ে একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এই ধরনের নোংরামি যেন না হয়, সেই জন্যই সাইবার সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন নোংরামি গোটা বিশ্বের জন্যই বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আমাদের সাংবাদিকরা এসব ঘটনা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করি।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা আরও বলেন, লিটন দাস এত ভালো খেলেছে, তাকে কেন এমন বলা হলো আমি জানি না। আমি ব্যস্ত থাকায় এগুলো দেখতে পারিনি। আমার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও নেই। যাদের আছে, তারা দেখালে দেখতে পাই। তবে যারা এই ধরনের কাজ করে, তারা বিকৃতমনা। এদের কোনো নীতি-টিতি নেই।

বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারিতে চাকরিতে কোটা সম্পূর্ণ বাতিল করার প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, কোটা বিষয়টা আমাদের নজরে আগে থেকেই ছিল। প্রতিবছরই বিষয়টি আমি মনিটরিং করছিলাম। কোনো সরকারি চাকরিতে যদি কোটা পূরণ না হয়, তাহলে মেধাতালিকা থেকে সেই পদ পূরণ করার জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি বলে, আমি কোটা চাই না। মেয়েরা বলছে, তারা প্রতিযোগিতা করে আসবে। তাহলে তো আর কোনো অসুবিধা নাই। কোটা না থাকলে আর সংস্কার নিয়েও আন্দোলন হবে না। তাই কোটাই বাতিল করে দিলাম।

তিনি বলেন, কিন্তু কোটা বাতিল করেও আরেক মুশকিল। এবার বলে, আমরা বাতিল চাই না, সংস্কার চাই। একবার বলে বাতিল, একবার বলে সংস্কার। এখন কারও যদি কোটা দরকার হয়, সেটা বলুক আমাদের এই কোটা চাই। আন্দোলন ছাড়া আর কোটা দেবো না।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ তাদের নিজেদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই দেশে তো অনেক রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে কোন দল আসবে, আর কোন দল আসবে না, সেটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত তো আমরা নিতে পারি না। তবে আমাদের আশা, সব দলই নির্বাচনে আসবে।’

গত কিছুদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে জোট গঠনের চলমান প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা জোট হচ্ছে, আমি খুব খুশি। তাদের জোট করার জন্য যা যা সহযোগিতা লাগে, আমি তাও করতে রাজি। কারণ আমি জানি, বাংলাদেশে ভোট আছে দুইটা— একটা হলো আওয়ামী লীগ, আরেকটা অ্যান্টি আওয়ামী লীগ। অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ভোটটা তো একটা জায়গায় যেতে হবে। একটা জায়গা তো লাগবে তাদের জন্য। এখন একটা বড় জোট হচ্ছে এবং সেখানে কিন্তু বড় বড় মানুষই আছে। জোট হওয়া তো ভালো কথা। আমার কথা হচ্ছে, শত ফুল ফুটতে দেন। এটা নির্বাচনের জন্য ভালো।

তিনি আরও বলেন, আর শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসবে কি না, বা করবে কি না, বা করতে পারবেন কি না, বা সেই সাহস তাদের আছে কি না, সেটাও একটা প্রশ্ন। কিন্তু জোট যখন হচ্ছে, আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। প্রক্রিয়াটা চলতে থাক।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটের আকার বাড়বে কি না— এমন এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, জোটের কলেবর বৃদ্ধি মানে কী? আমাদের জোট তো যা আছেই আছে। আমরা সেভাবেই চলছি। আর কেউ যদি আমাদের সঙ্গে আসে, আসবে। সেটা দেখব। আমাদের এত বেশি, এত বড় কলেবরের দরকার নেই।

সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক বলেন, বিরোধী দলীয় একজন নেতা বলেছেন যে আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করতে তারা প্রয়োজনে শয়তানের সঙ্গেও ঐক্য করবে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাও এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারত যেন আওয়ামী লীগকে সমর্থন না দেয়, সে কথা তিনি ভারতকে বলেছেন।

এসব বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল থাকবেই। কিন্তু যারা শয়তানের সহযোগিতা চায় তারা নিজেরা কী, তা তো আপনারা নিজেরাই জানেন। যারা শয়তানের সঙ্গে হাত মেলাবে, তাদের সমর্থন দিতে দেশবাসী প্রস্তুত কি না, সেটাও দেখতে হবে। নিশ্চয়ই এই দেশর মানুষ শয়তান চায় না। এটা হলো বাস্তব কথা। আমি এটা নিয়ে কোনো কমেন্ট করতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রথম একজন সংখ্যালঘু থেকে তাকে আমরা প্রধান বিচারপতি বানিয়েছিলাম। তিনি সেই পদটিকে সেভাবে সম্মানজনকভাবে ধরে রাখতে পারেননি। এখানে কিন্তু আমাদের কিছু করার ছিল না। এখন যে কথাগুলো উনি বলছেন, এখানে আমার কমেন্ট করার কিছু নেই। আর বই যেটা লিখেছেন, বই পড়েন আপনারা? আমার কোনো আপত্তি নাই, পড়ে দেখেন কী লিখেছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি যে জ্বালাও-পোড়াও চালিয়েছিল, তার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা কাদের জন্য এতো উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, যাদের হাতে মানুষকে যারা মানুষ হিসেবে গণ্য করে না? মানুষকে যারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে, যারা মানুষের ওপর জুলুম করতে পারে? আর তাদের জন্য এত কান্নাকাটি, মায়াকান্না কাদের, এইটা আমি বুঝি না। তাদের জন্য এত মায়া কেন? তাদের জন্য এত উদ্বেগ কেন? এতিমের অর্থ আত্মসাৎ দুর্নীতি, বিদেশি বিভিন্ন কোম্পনির কাছ থেকে কমিশন খাওয়া, কত মামলা দেখতে চান?

তিনি বলেন, সামান্য এতিমের টাকার লোভ যারা সামলাতে পারে না, আর মানুষ পুড়িয়ে যারা হত্যা করে, তাদের জন্য এত দরদ, এত সিমপ্যাথি? তাদেরকে আনার জন্য এত ব্যস্ত কী কারণে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খুব দুঃখিত একথা বলার জন্যে। আর এরা স্বপ্ন দেখে ক্ষমতায় আসবে। এরা স্বপ্ন দেখে দেশ চালাবে। কী দেশ চালাবে? এতিমের টাকার লোভ যারা সামলাতে পারে না, তারা কী দেশটা চালাবে?

তিনি আরও বলেন, আজ অনেক কষ্ট করে আমরা গণতন্ত্রটা ফিরিয়ে এনেছি। গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত থাকুক, উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকবে, সেটাই তো মানুষ চায়। আর নৌকায় ভোট দিলেই উন্নয়নটা অব্যাহত থাকে, নৌকা ছাড়া কেউ উন্নয়ন করবে না— এটা আমি বলতে পারি। উন্নয়ন একমাত্র নৌকাই করবে, নৌকা দিয়ে যারা আসবে, তারা করবে।

জনগণ না চাইলে ক্ষমতায় থাকবেন না— এমন প্রত্যয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কারও মুখাপেক্ষী হয়ে রাজনীতি করি না। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে উনি (এস কে সিনহা) অনুরোধ করেছেন আমাকে সমর্থন না দিতে। এই রকম তিনি কেন, সবাই করেছে। এই যে বিএনপি যাচ্ছে (ভারতে), সবাই যাচ্ছে (ভারতে), গিয়ে অনুরোধ করে আসছে। এখন কে সমর্থন করবে, আর কে সমর্থন করবে না বা বাইরের দিকে মুখাপেক্ষী হয়ে আমার রাজনীতি না। আমি মনে করি, আমার জোর হচ্ছে আমার দেশের জনগণ। আমার জনগণের সমর্থন আছে কি না, জনগণ আমাকে চায় কি না, জনগণ আমাকে ভোট দেবে কি না, সেটাই বিবেচ্য বিষয় আমার কাছে।

তিনি বলেন, আমার ওরকম কারও সহযোগিতা নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে হবে কি হবে না— সে প্রশ্ন যদি করেন আমি বলব, আমার ক্ষমতায় না থাকাই ভালো। দেশের মানুষের শক্তিটা হচ্ছে আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই শক্তি যদি না থাকে, আর দেশের মানুষ যদি না চায়, কে আমাকে ক্ষমতায় এনে বসাবে? ওই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজনীতি আমি করি না।

জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়াসহ সফরে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এসব বৈঠকে বিশ্বনেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকেই তারা দেখবেন বলে আশাবাদী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যার যার সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা সবাই আমাকে উইশ করেছে, আমি যেন আবার ফিরে আসি। তবে জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই। আগামীতে যেন আবার দেখা হয় (প্রধানমন্ত্রী হিসেবে), এই কথা সবাই বলেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে গিয়েছি। যতজন হেড অব স্টেট, হেড অব দ্য গর্ভনমেন্ট, যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে বা যত প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গেই কথা হয়েছে, তারা প্রতেক্যেই আমাকে একটি মেসেজই দিয়েছেন— আপনারা আবার আপনাকে দেখতে চাই। আবার আপনি ক্ষমতায় আসুন, সেটাই চাই। তখন আমি তাদের বলে আসিনি যে আপনারা একটু আসেন, আমাকে ক্ষমতায় বসে দিয়ে যান। আমি কিন্তু সেটা বলিনি। আমি তাদের জবাব একটাই দিয়েছি, দেখেন, দেশের মানুষ যদি ভোট দেয়, আমি আছি; না দিলে নেই। হয়তো এটাই আপনাদের সঙ্গে আমার শেষ দেখা। কারণ এখন তো বয়স হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন-

‘লাগলে বলুক, আন্দোলন ছাড়া কোটা দেবো না’

‘বিশ্বসভায় বাংলাদেশের ইমেজ আরও সুদৃঢ় হয়েছে’

সবাই উইশ করেছে, আমি যেন আবার ফিরে আসি: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনে আসা না আসা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: প্রধানমন্ত্রী

‘সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন বুঝলাম, কিন্তু আমাদের উদ্বেগটা কে দেখবে’

‘দেশের ভোট দু’রকম, আওয়ামী লীগ আর অ্যান্টি আওয়ামী লীগ’

‘কারও সহযোগিতা দরকার হলে আমার ক্ষমতায় না থাকাই ভালো’

‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোংরামি ঠেকাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’

সারাবাংলা/এনআর/এটি/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন