বিজ্ঞাপন

কাল-পরশুর মধ্যেই ব্যাট ধরবেন মুশফিক

October 8, 2018 | 5:37 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

গত সপ্তাহেই বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছিলেন, মুশফিকুর রহিম পাঁজরের চোটে ভুগছেন। এমনিতে এই চোট থেকে সেরে উঠতে সপ্তাহ চারেক সময় লেগে যেতে পারে। সেই হিসেবে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজে মুশফিককে বিশ্রাম দেওয়া হবে কি না, এমন একটা সম্ভাবনাও জেগেছিল। তবে মুশফিক সোমবার (৮ অক্টোবর) সকালে মিরপুরের একাডেমি মাঠের অনুশীলনে আশ্বস্ত করেছেন, কাল-পরশুর মধ্যেই ব্যাটিং শুরু করছেন। আপাতত অস্ত্রোপচারেরও দরকার নেই তার।

এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই পাঁজরের চোটে ভুগছিলেন মুশফিক। ব্যথা নিয়েই শ্রীলঙ্কার সাথে ১৪৪ রান করেছিলেন, পরে পাকিস্তানের সঙ্গে সেঞ্চুরি পেতে পেতেও পাওয়া হয়নি। দেশে ফিরে কয়েক দিন বিশ্রামেই ছিলেন, এর মধ্যে জিম করলেও ব্যাট হাতে নেননি এখনো। মুশফিক জিম্বাবুয়ের সিরিজের আগে আশার খবরই শোনালেন, ‘আশা করছি কাল-পরশুর মধ্যে ব্যাটিং স্টার্ট করতে পারবো নরম্যালি। সার্জারি বা ওরকম পর্যায়ের কিছু তো লাগছে না…আস্তে আস্তে ভালোভাবে ব্যথা কমে যাচ্ছে।’

ব্যাটিংয়ের সাথে বাড়তি একটা দায়িত্বও আছে মুশফিকের, উইকেটের পেছনে এশিয়া কাপে গ্লাভস হাতেও ছিলেন দারুণ। যদিও পাকিস্তানের সঙ্গে চোটের জন্য দাঁড়াতে পারেননি। জিম্বাবুয়ে সিরিজে উইকেটকিপিং করবেন কি না, সেটা নিয়েও আছে সংশয়, ‘আমার উদ্বিগ্ন করার জায়গা আসলে…আমি যখন কিপিং করবো তখন ডাইভ দিলে কী হবে। এটা কীভাবে এড়ানো যায় সেটারও পরিকল্পনা আছে। আশা করছি সব ঠিকঠাক মতোই হবে। ব্যাটিংয়ে আল্লাহর রহমতে কোনো সমস্যা হবে না।’

বিজ্ঞাপন

তার মানে জিম্বাবুয়ে সিরিজের ওয়ানডে থেকেই খেলছেন? সরাসরি কিছু না বললেও ইতিবাচক আভাসই দিলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষে খেলার সুযোগ কিন্তু সবার হয় না। সামনে আমাদের অনেক খেলা। আপনি খেলতেও পারবেন কিনা সেটাও কিন্তু জানেন না। আমার কাজটুকু ঠিকঠাক মতো করে যদি আমি পেইনফ্রি হয়ে খেলতে পারি তাহলে কেন না… ।’

এশিয়া কাপ শেষ, তবে ক্ষতটা এখনো ভুলতে পারছেন না মুশফিক। ফাইনালে ওভাবে উইকেট দিয়ে আসার দায়টা এখনো নিজের কাঁধেই নিচ্ছেন, ‘এইবার আমাদের সবকিছু ভালো যাচ্ছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল যে আমরা কাপটা নিয়ে আসতে পারি। চ্যাম্পিয়নশিপ হয়ে যেন আসতে পারি। আমরা এতো কাছে গিয়েও হেরে গেছি এজন্য আমরাও কষ্ট পেয়েছি। আমাদের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণেই হয়নি। যে উইকেট ছিল এবং লিটন ও মিরাজ যে প্ল্যাটফর্ম পেয়েছিল সেখান থেকে আসলে টু বি অনেস্ট আমার উচিত ছিল ইনিংস ক্যারি করা। আমি ভালো টাচে ছিলাম। ওখানে ফিফটি প্লাস রান হলে আমরা ২৬০ প্লাস রান করে ফেলতাম। ওভারঅল যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। কষ্ট তো লাগে কিন্তু এটাও অনুপ্রেরণার যে আপনি যখন সামনে যাবেন তখন এ ভুলগুলো আর করবেন না।’

সারাবাংলা/এএম/এসএন

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন