বিজ্ঞাপন

প্রশ্ন ফাঁসের প্রলোভন, ২ জবি শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ

October 8, 2018 | 11:08 pm

।। জাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা এক পরীক্ষার্থীকে ‘সি’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র সরবরাহের প্রলোভন দেখানোর অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (৮ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টার দিকে তাদেরকে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন।

প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা হলেন— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের (১১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী আশিক-ই-আতাহার মেজবাহ ও রসায়ন বিভাগের (১৩ ব্যাচ) শিক্ষার্থী সাকিব-উল-সাদাত। আশিক-ই-আতাহার মেজবাহের বাড়ি ঠাকুরগাওয়ের ইসলামবাগে। সাকিব-উল-সাদাতের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুরে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, সোমবার ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সংলগ্ন এলাকা থেকে আশিক-ই-আতাহার মেজবাহ, সাকিব-উল-সাদাত ও তাদের বহনকারী যানবাহনের চালককে আটক করা হয়।

সূত্র জানায়, আশিক-ই-আতাহার মেজবাহ ও সাকিব-উল-সাদাত এক ভর্তিচ্ছুকে ৪লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে কলা ও মানবিকী অনুষদের (‘সি’ ইউনিট) প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রস্তাব দেয়। ওই ভর্তিচ্ছু বিষয়টি তার পরিচিতজন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান নীলকে জানায়। বিষয়টি নীল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অবহিত করেন। পরে মাহবুবুর রহমান নীলের পাতা ফাঁদে তাদের আটক করা হয়।

এ বিষয়ে প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘তারা এক সেট হাতে লেখা প্রশ্ন নিয়ে এসেছিল। এই ভুয়া প্রশ্নের বিনিময়ে তারা মোটা অঙ্কের টাকার চুক্তি করেছিল। আমরা ওই ভর্তিচ্ছু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তাদের আটক করি। আমরা আজকের অনুষ্ঠিত সব শিফটের পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে মিলিয়ে দেখেছি, ওই প্রশ্ন আসলে ভুয়া। জাকির ও জিসান নামে তাদের দুই সহযোগী আছে। এদের মধ্যে জাকির আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিল। তবে আমরা তাকে ধরতে পারিনি। তাদের সাথে একটি বড় চক্র জড়িত।’

বিজ্ঞাপন

প্রক্টর বলেন, ‘তারা যে অপরাধ করেছে তার শাস্তি সর্বনিম্ন তিন বছরের কারাদণ্ড। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড দিতে পারে। তাই অধিকতর তদন্ত ও যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আমাদের। তবে গাড়ি চালক প্রাথমিক তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

সারাবাংলা/টিআই/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন