বিজ্ঞাপন

আ.লীগে অভ্যন্তরীণ কোন্দল, এখনও সক্রিয় নয় বিএনপি

October 9, 2018 | 2:44 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: তফসিল ঘোষণাসহ কোনো আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও এরই মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের এলাকায় এলাকায় বিভিন্ন কৌশলে প্রার্থীরা গণসংযোগ শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ভোটারদের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদেরও মন জয় করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিটি সংসদীয় আসনে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া।

এই বিভাগের ২৪টি সংসদীয় আসনের বেশিরভাগ আসনেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য। অবস্থা এমন, তারা কেউই কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। ফলে তৈরি হয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এই কোন্দল মিটিয়ে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে একক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াটাকেই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন স্থানীয়রা।

অন্যদিকে, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি এখনও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও এখনও মাঠে ততটা সক্রিয় নয়। যদিও তাদের অনেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মাঠেও সক্রিয় হয়ে ওঠার।

বিজ্ঞাপন

ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা ও শেরপুর— এই চার জেলা নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ বিভাগ। বিভাগ হিসেবে ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা ময়মনসিংহে সংসদীয় আসনের সংখ্যা ২৪টি। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ১১টি, জামালপুর ও নেত্রকোনায় পাঁচটি করে এবং শেরপুরে তিনটি সংসদীয় আসন রয়েছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্জন করায় ময়মনসিংহ বিভাগের সব আসনেই জয় পান আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। তিন জেলার ২৪টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৯টি ও জাতীয় পার্টি পাঁচটি আসনে জয়লাভ করে।

ময়মনসিংহ জেলা

বিজ্ঞাপন

ময়মনসিংহ জেলার মোট আসন ১১টি। দশম সংসদ নির্বাচনে জেলায় সাতটি আসনে আওয়ামী লীগ ও চারটি আসনে জাতীয় পার্টি প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। ১৩টি উপজেলা ও ১০ পৌরসভা নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৫৭০ ও নারী ভোটার ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৬ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলার ১১টি প্রতিটি আসনের প্রতিটিতেই রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী। ফলে অধিকাংশ আসনে নেতাকর্মীরা কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছেন। বিপরীতে বিএনপির প্রার্থীরা এখনও সক্রিয়ভাবে মাঠে নামেননি। তবে কোনো কোনো আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা গণসংযোগ শুরু করেছেন।

ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট- ধোবাউড়া)

এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের ছেলে জুয়েল আরেং। আগামী সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন। এছাড়াও হালুয়াঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক খানও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান। অন্যদিকে, বিএনপি থেকে ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফজাল এইচ খান এবং জাতীয় পার্টির জেলা সহসভাপতি সোহরাব উদ্দিন ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান পাপ্পু মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ করছেন।

ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা)

বিজ্ঞাপন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে আসনটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরীফ আহমেদ। তিনি ছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য হায়াতুর রহমান খান বেলাল, ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ।

অন্যদিকে বিএনপি থেকে দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার, তারাকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদার, ফুলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল বাশার আকন্দ মনোনয়ন প্রত্যাশী। জাতীয় পার্টি থেকে পুলিশের সাবেক উপমহাপরিদর্শক জিয়াউদ্দিন মুরাদ মাঠে রয়েছেন।

ময়মনসিংহ-৩  (গৌরীপুর)

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির মারা গেলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এই আসনে সংসদ সদস্য হন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহমেদ। তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকার মনোনয়ন চান। এছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক কৃষিবিদ সামিউল আলম লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হাসান অনু, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মতিউর রহমানও ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম ইকবাল হোসাইন, উপজেলা চেয়ারম্যান আহাম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরণ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতা মো. আবদুস সেলিম মনোনয়ন চাচ্ছেন দল থেকে। এছাড়া জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জামাল উদ্দিন এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন।

ময়মনসিংহ-৪ (সদর)

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এই আসনে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এবারও তিনি এই আসনে জোটের প্রার্থী হচ্ছেন, তা অনেকটাই নিশ্চিত। তারপরও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব এম এ আজিজ দল থেকে মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের আসন হলেও বয়সের কারণে তিনি মাঠে নেই।

অন্যদিকে এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক সংসদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন দুলু।

ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা)

আসনটিতে জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি দশম সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন। এবারও জোট বহাল থাকলে তিনিই মনোনয়ন পেতে পারেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য কে এম খালিদ বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই আকন্দ এলাকায় গণসংযোগ করছেন।

এই আসনে বিএনপি থেকে দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তার ছোট ভাই জাকির হোসেন বাবলু এবং বিএনপির সাবেক সাংসদ আবু রেজা ফজলুল হক বাবলু মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন কেন্দ্রে।

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়ীয়া)

আসনটিতে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মোসলেম উদ্দিন। তবে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মালেক সরকার মালকিও নৌকায় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে, সাবেক সংসদ সদস্য শামসুদ্দিন আহমেদ বিএনপি থেকে এবং এইচ এম এরশাদের উপদেষ্টা কে আর ইসলাম জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হতে এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল)

আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু দশম সংসদে এই আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয় জোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির এম এ হান্নানকে। যুদ্ধপরাধের অভিযোগে বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তিনি ছাড়াও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আহমেদ এই আসনে মনোনয়ন পেতে জোর লবিং করছেন। আবার স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবার আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা এই আসনে দলীয় প্রার্থী দেখতে চান। সেক্ষেত্রে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আলী, সাবেক সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিন সরকার। আর বিএনপি নির্বাচনে এলে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন ত্রিশাল উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন।

ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ)

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি জোট হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে তিনিই প্রার্থিতা ধরে রাখবেন, তা একরকম নিশ্চিত। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও আলাদা আলাদাভাবে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন— দলের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন, সাবেক অতিরিক্ত আইজি আবদুর রহিম। অন্যদিকে, বিএনপি নির্বাচনে এলে এই আসন থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন সাবেক সংসদ শাহ নূরুল কবীর শাহীন কিংবা জেলা যুবদলের সভাপতি কামরুজ্জামান লিটন।

ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল)

আসনটিতে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল আবেদীন তুহিন। স্থানীয়রা বলছেন, তিনি এবারও দল থেকে প্রার্থিতা পেতে পারেন। তবে তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসতে পারেন সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম। এছাড়া অধ্যাপক আতিকুর রহমানও ক্ষমতাসীন দল থেকে মনোনয়ন পেতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে, বিএনপি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য খুররম খান চৌধুরী ও সৌদি আরব পূর্ব অঞ্চল বিএনপির সভাপতি শিল্পপতি রফিকুল ইসলাম মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দল নির্বাচনে এলে তাদের মধ্য থেকেই মিলতে পারে মনোনয়ন। আর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক তালহা দলীয় মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন।

ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও-পাগলা)

বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল। তিনি ছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন সাবেক সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) গিয়াস উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ আনোয়ার বুলবুল।

অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ বি সিদ্দিকুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কাসেম আজাদ, মুশফিকুর রহমান রয়েছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায়। তবে ওলামা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কারী মো. হাবিবুল্লাহ বেলালী ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমানও নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা)

দশম সংসদে আসনটিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আমান উল্লাহ। তিনিসহ এবার আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু ও ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন। অন্যদিকে বিএনপি থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফখরুদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু এবং জাতীয় পার্টি থেকে মেজর (অব.) আব্দুল হামিদ সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।

জামালপুর জেলা

জামালপুর জেলায় মোট আসন পাঁচটি। সাতটি উপজেলা ও সাতটি পৌরসভা নিয়ে পাঁচটি আসন গঠিত। জেলার পাঁচটি আসনের চারটি আওয়ামী লীগ এবং একটিতে জাতীয় পার্টি জয়লাভ করে। জেলার মোট ভোটার ১৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৫৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৭৬৯ জন ও নারী ভোটার ৮ লাখ ৮ হাজার ৪৮৬ জন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা এরই মধ্যে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, বিলবোর্ড দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ)

আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ চার বার নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। আসনটিতে বর্তমান সংসদ সদস্যও তিনি। তবে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ইসতিয়াক হোসেন দিদারও ক্ষমতাসীন দল থেকে মনোনয়ন চান। অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিএনপির জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাহিদা আক্তার রীতা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম।

জামালপুর-২ (ইসলামপুর)

এই আসনে গত ১০টি সংসদের আটটিতে আওয়ামী লীগ এবং বাকি দুইটিতে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয় পেয়েছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের ফরিদুল হক খান দুলাল। আগামী নির্বাচনে তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন— জামালপুর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদ বেবী, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান আলী মণ্ডল।

অন্যদিকে বিএনপি নির্বাচনে এলে এই আসনে দলটি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবু ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ এস এম আব্দুল হালিম। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা মৌলানা ছামিউল হক ফারুকীও নির্বাচনে দল বা জোট থেকে মনোনয়ন পেতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ)

ময়মনসিংহ বিভাগের বেশিরভাগ আসনেই একাধিক প্রার্থী নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জেরবার হলেও এই আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী একজনই— বর্তমান সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। অন্যদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানি নির্বাচনী এলাকায় ভোট চেয়ে প্রচারণা শুরু করছেন। বিএনপি নির্বাচনে এলে তাদের মধ্যেই কোনো একজন পাবেন দলের মনোনয়ন।

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী)

জামালপুরের পাঁচটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন এই আসনে। বর্তমানে এখানকার সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জাপা) মামুনুর রশিদ জোয়ারদার। একাদশ সংসদেও তিনি জোটের মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান তালুদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বর্তমান তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশীদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মওলানা নুরুল ইসলামও এই আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে, বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ভাতিজা জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামিম এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি নির্বাচনে এলে তিনিই হতে পারেন এই আসনে দলের প্রার্থী।

জামালপুর-৫ (সদর আসন)

বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম হীরা। তিনি সাবেক ভূমিমন্ত্রী। ক্ষমতাসীন দলটি থেকে আগামী নির্বাচনে এই আসনে তিনি অন্যতম প্রার্থী। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহামেদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আব্দুল মান্নানও রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নের দৌড়ে।

অন্যদিকে, সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সিরাজুল হক, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী মামুন, জামালপুর সংরক্ষিত নারী আসনে সাবেক সংসদ সদস্য নিলোফা চৌধুরী মনি রয়েছেন বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায়। এছাড়া, জাতীয় পার্টি (জাপার) প্রার্থী হিসাবে জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নেত্রকোনা জেলা

১০টি উপজেলা ও পাঁচটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নেত্রকোনা জেলায় সংসদীয় আসন পাঁচটি। এর সবকয়টিই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দখলে। জেলায় আওয়ামী লীগ বরাবরই সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলেই বিজয় নিশ্চিত মনে করে দলীয় মনোনয়ন পেতে বেশ তৎপর প্রার্থীরাও। জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৪২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৮ জন, নারী ভোটার ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৭৩২ জন।

নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা)

এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস। এছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য যুবলীগ নেতা মুশতাক আহমেদ রুহী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য রেমন্ড আড়েং, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কমান্ডার আবদুল খালেক তালুকদারও দল থেকে মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে বিএনপি নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এছাড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রব্বানী, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান মাসুদ ও অ্যাডভোকেট হামিদুর রহমান রাশেদও দল থেকে মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে, ২০ দলীয় জোট থেকে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক হুইপ আলহাজ এম এ করিম আব্বাসীও এলাকায় শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে পরিচিত।

নেত্রকোনা-২ (নেত্রকোনা সদর-বারহাট্টা)

নেত্রকোনা সদর আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। তিনি ছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিয়র রহমান খান, সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ আলী খান খসরু ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্নেল (অব.) আবদুন নূর খান। তবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় নেতা মোখলেছুর রহমান মুক্তাদিরও ১৪ দলীয় জোটের ব্যানারে মনোনয়ন প্রত্যাশী এই আসন থেকে।

অন্যদিকে, বিএনপি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপি সভাপতি আশরাফ উদ্দিন খান ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক দল থেকে মনোনয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া)

এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নের দৌড়ে তিনি অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। তবে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর কাদের কোরাইশী, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকারও এই আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়নের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম হিলালী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ আলমগীর হোসেন খসরু, কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি হায়দার জাহান চৌধুরী।

নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরী)

এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের রেবেকা মমিন। আবার টেকনোক্র্যাট হিসেবে বর্তমান মন্ত্রিসভার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের আসনও এটিই। তারা দু’জনই মনোনয়নের দৌড়ে আলোচনায় রয়েছেন। এছাড়াও সাবেক ছাত্রনেতা শফী আহমেদ ও ক্যাপ্টেন (অব.) মঞ্জুরুল আলম এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।

এই আসনে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেও আইনি জটিলতায় বাবরের অংশ নেওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত। সেক্ষেত্রে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী। তবে বিএনপি নির্বাচনে এলে দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ আতিকুল হক এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজাও দলটির মনোনয়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা)

আসনটিতে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীরপ্রতীক। তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও সাবেক ডিআইজি আবদুল হান্নান খান এই আসন থেকে নৌকায় মনোনয়ন চান।

অন্যদিকে বিএনপি নির্বাচনে এলে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় এগিয়ে থাকবেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি শহিদুল্লাহ ইমরান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা আবু তাহের তালুকদার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. আবদুল জলিল ও সাবেক উপজেলা বিএনপি সভাপতি সাইদুর রহমান। এর বাইরেও জামায়াত নেতা পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুম মোস্তাক ২০ দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

শেরপুর জেলা

ময়মনসিংহ বিভাগের সবচেয়ে ছোট জেলা শেরপুর। জেলার তিনটি সংসদীয় আসনের সবটিতেই সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের। পাঁচটি উপজেলা ও পাঁচটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত শেরপুর জেলায় মোট ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ১৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ লাথ ৯২ হাজার ৬৪৫ জন এবং নারী ভোটার ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৬ জন।

শেরপুর-১ (সদর)

এই আসনে ১৯৯৬ সাল থেকে টানা চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আতিউর রহমান আতিক। ফলে দলের মনোনয়নের দৌড়েও তিনিই রয়েছেন এগিয়ে। পাশাপাশি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ছানোয়ার হোসেন ছানু, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফাতেমাতুজ্জোরা শ্যামলীও মনোনয়নের দাবি নিয়ে রয়েছেন মাঠে।

অন্যদিকে, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী ও সাবেক ছাত্রনেতা মাহমুদুল হক রুবেল এই আসনে ধানের শীষে মনোনয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তরিকত ফেডারেশন থেকে মিজান সরকার, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহ রফিকুল বারি চৌধুরী, জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি ইলিয়াস উদ্দিন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) মনিরুল ইসলাম লিটনও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী)

১৯৯১ সাল থেকে পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চারটিতেই এই আসনে জিতে এসেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। স্থানীয়রা বলছেন, আগামী নির্বাচনেও তিনিই এই আসনে নৌকার সম্ভাব্য একক প্রার্থী। তবে সাবেক কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশাও দল থেকে মনোনয়ন পেতে কাজ করে যাচ্ছেন। আর মহাজোট থেকে জেলা জাতীয় পার্টির নেতা মো. শওকত সাঈদও এই আসনে মনোনয়ন চান।

এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সাবেক হুইপ মরহুম আলহাজ জাহেদ আলী চৌধুরীর ছেলে জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ফাহিম চৌধুরী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম হায়দর আলী।

শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী)

বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক চান। তিনি ছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে শক্তিশালী প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার মো. খুররম। এছাড়াও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইফতেখার হাসান কাফি জুবেরী, শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল ইসলাম হীরু ও ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম ওয়ারেছ নাঈমও নৌকার মনোনয়ন চান আগামী নির্বাচনে।

অপরদিকে বিএনপি নির্বাচনে এলে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল ও ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশার কোনো একজন এই আসন থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন-

রংপুর: মাঠের লড়াইয়ে শক্তিশালী জাপা, আ.লীগে একাধিক প্রার্থী

রাজশাহী: মাঠে-কেন্দ্রে তৎপর আ.লীগের একাধিক প্রার্থী, বসে নেই বিএনপিও

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন