বিজ্ঞাপন

তারেককে ফিরিয়ে আনতে কষ্ট হবে না: অ্যাটর্নি জেনারেল

October 11, 2018 | 2:49 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে অনেক দেশই দণ্ডিতকে পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম বা রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয় উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়া সমর্থন করে না। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের তো যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। তাই তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কষ্ট হবে না।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) অ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় পুরো রায় দেখে পর্যালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সাজা বাড়ানোর আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এলে দ্রুত শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রায়ে যাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে তাদের আদালত থেকে বিনা খরচে রায়ের কপি দেওয়া হয়। আর তারা যদি আপিল ফাইল করে, তবে সেটাও ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসবে। সেক্ষেত্রে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব শুনানির জন্য পদক্ষেপ নেব। তবে এটাতে পেপারবুক তৈরি করার বিষয় রয়েছে, সেগুলো আদালতের বিষয়। মামলার আপিল শুনানিতে আমাদের পদক্ষেপগুলো আমরা নেব।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় তারেক রহমানকে যদি নাটের গুরু বলা হয়ে থাকে, তবে সেটা রায় পর্যালোচনা করে দেখব। রায় পড়ে যদি দেখি তারও মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল, তবে তার দণ্ড বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল করব। এর সবটাই নির্ভর করবে রায়টি পড়ার পর।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই মামলায় একজন পাকিস্তানি নাগরিকেরও সাজা হয়েছে। এখানে আমরা অনুমান করছি, বাংলাদেশের ক্ষতি করার জন্য, বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য পাকিস্তান এখনও নিবৃত্ত হয়নি। পাকিস্তান এরই মধ্যে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়েছে। আমরা সেক্ষেত্রে জেএমবিসহ জঙ্গিদের দমন করতে সফল হয়েছি। সাজাপ্রাপ্ত ওই পাকিস্তানি নাগরিককে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো নিজে খুন করেননি, কিন্তু খুন করিয়েছেন বলে তাকেও মৃত্যুদণ্ড পেতে হয়েছে উল্লেখ করে মাহবুবে আলম বলেন, তাই আমারও মনে হয়, তারেকের অন্যান্যদের মতো ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। আজ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসেছে, রাষ্ট্রীয় সমর্থন, প্ররোচনা ও অর্থায়নে এই হামলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন