বিজ্ঞাপন

চবিতে ছাত্রলীগের সংঘাত, হল থেকে অস্ত্র উদ্ধার

October 11, 2018 | 9:12 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে গত দুইদিন ধরে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরপর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ছাত্রাবাসে একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ। এসময় বেশকিছু দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলার রায়ের পর বুধবার দুপুরে আনন্দ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। মিছিল শেষে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক দুটি সংগঠন সিএফসি ও বিজয় গ্রুপের সদস্যরা। সংগঠন দুটির নিয়ন্ত্রণে আছে ছাত্রলীগ।

পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সামনে সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলে অবস্থান নেয়। হল থেকে দুই গ্রুপের কর্মীরা পরস্পরকে লক্ষ্য করে কয়েক দফা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্ত:ত আট ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন।

বিজ্ঞাপন

এরপর বুধবার রাতে দুটি হল থেকে বেরিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি’র সদস্যরা এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিবাদমান দুই গ্রুপ ক্যাম্পাসে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় শাহ আমানত হলের সামনে আলীম হোসেন নামে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করা হয়। আলীম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

এরপর বিকেলে পাঁচটি ছাত্রাবাসে তল্লাশি শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ও পুলিশ। ছাত্রাবাসগুলো হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী, শাহ আমানত, এফ রহমান, আলাওল ও শহীদ আব্দুর রব হল।

বিজ্ঞাপন

সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত একটানা তল্লাশিতে শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হল থেকে বেশকিছু ধারালো অস্ত্র, পাথর ও কাচের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী।

তল্লাশির সময় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রক্টর।

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে বারবার সংঘাতের মুখে এক বছর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনের কমিটি কেন্দ্র থেকে বিলুপ্ত করা হয়। বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারীরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে ক্যাম্পাসে সক্রিয় আছেন।

টিপু চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং সুজন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন