October 12, 2018 | 1:52 pm
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: পরিবেশ দূষণে প্রতিবছর প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছে বাংলাদেশে। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ মারা গেছে পরিবেশ দূষণজনিত কারণে। এসব দূষণের মধ্যে বায়ুদূষণে মারা যাওয়ার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
তাই দূষণ বন্ধে কার্যকর ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।
শুক্রবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স রুমে বাপার উদ্যোগে ‘পরিবেশ দূষণের বাংলাদেশে বছরের ২ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, দূষণ বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ’-এর দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানান সংগঠনের নেতারা
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালে পরিবেশ দূষণজনিত কারণে ২ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে ৮০ হাজার মানুষ মারা গেছে শহরে। এ ছাড়া, নানা রোগব্যাধিতে মোট মৃতের সংখ্যা ছিলো ৮ লাখ ৪৩ হাজার। পরিবেশ দূষণের মধ্যে বায়ূদূষণে মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য দূষণ জনিত মৃত্যু থেকে বেশি।
একদিকে বাংলাদেশের নদী, নালা, খাল, বিল দূষণ ও দখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার চারপাশের ইটভাটা, তীব্র যানজট, পুরোনো মোটরগাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া এবং ধুলা, কার্বন ডাই অক্সাইড ঢাকার বাতাসকে ভারি করে তুলছে, বলে জানিয়েছে বাপা।
২০১৪ সালে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স অ্যান্ড ইনডেক্স গবেষণায় মোট ১৭৮টি দেশের মধ্যে সার্বিক জীবন মানের ভিত্তিতে পরিবেশগতভাবে সুরক্ষিত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশে অবস্থান ছিল ১৬৯তম। শুধু বিশুদ্ধ বাতাসের নিরিখে করা আলাদা তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৮ তম।
পরিবেশ দূষণ রোধে বাপা বেশকিছু সুপারিশ দিয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইটের বিকল্প জ্বালানি হিসাবে কংক্রিট ব্লকের ব্যবহার বাড়ানো। কাঠ পোড়ানো বন্ধ করা, ১৬ বছর ও তার বেশি ব্যবহৃত যানবাহন ব্যবহার বন্ধ করা,সব বড় সড়কের পাশে ফুটপাত দখলমুক্ত করা, মাটিবাহী ট্রাক ও গরুর গাড়ি থেকে বালি ও মাটি পড়া বন্ধ করা, সারাদেশে গাছ লাগানো জোরদার করা ও ধুমপান কমানো।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহসভাপতি অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মোল্লাহ, মিহির বিশ্বাসসহ অনেকেই।
সারাবাংলা/এআই/জেএএম