বিজ্ঞাপন

খাশোগি ‘হত্যাকাণ্ড’ নিয়ে তুরস্কের দাবি মিথ্যা: সৌদি আরব

October 13, 2018 | 10:53 am

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

সৌদি আরবের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের দূতাবাসের ভেতরে হত্যার বিষয়ে তুরস্কের দাবিকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ’ বলে আখ্যা দিয়েছে সৌদি আরব।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে তুরস্ক বলছে, সৌদি এজেন্টদের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছে খাশোগিকে। এ বিষয়ে অডিও-ভিডিও ফাইলে প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি তুরস্কের। তবে খাশোগিকে সর্বশেষ সৌদি দূতাবাসে দেখা যাওয়ার ১১ দিন পর সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুলআজিজ বিন সৌদ বিন নাইফ বিন আব্দুলআজিজ এ বিষয়ে মুখ খুললেন। যদি সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে, ২ তারিখে ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে প্রবেশের পরপরই বেরিয়ে গিয়েছিলেন খাশোগি।

আরও পড়ুন- ‘খাশোগিকে ফিরিয়ে আনতে সৌদি যুবরাজের নির্দেশ ছিলো’

বিজ্ঞাপন

সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়, সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার বলেছেন, সৌদি আরব এই ঘটনার ‘সম্পূর্ণ সত্য’ উদঘাটনে আগ্রহী। এ ঘটনায় সৌদি আরবকে ঘিরে ‘হত্যার নির্দেশে’র প্রতিবেদন ‘ভিত্তিহীন’ বলে ফের উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে, বিভিন্ন খবরে উঠে আসে, ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতরেই খাশোগির ওপর হামলা চালানো হয়। তুরস্কের নিরাপত্তা বিষয়ক একটি সূত্র বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে, এ ঘটনার অডিও ও ভিডিও-ও তাদের কাছে আছে। ওয়াশিংটন পোস্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, খাশোগিকে মারধরের ঘটনা কেউ কেউ শুনতে পেয়েছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমটিও বলছে, রেকর্ডিং থেকে এটা স্পষ্ট যে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- সৌদি দূতাবাসের ভেতরে সাংবাদিক খাশোগি হত্যা, দাবি তুরস্কের

বিজ্ঞাপন

ওয়াশিংটন পোস্টে কন্ট্রিবিউটিং কলামিস্ট হিসেবে কাজ করতেন খাশোগি। সংবাদ মাধ্যমটিকে একটি সূত্র বলছে, ‘তার কণ্ঠস্বর শোনা গেছে এবং তার আশপাশে কিছু মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলছিল। এ ঘটনার অডিও শুনলে বোঝা যায়, কেউ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, নির্যাতন করছিল এবং সবশেষে মেরে ফেলেছে।’

খাশোগির স্মার্ট হাতঘড়ি থেকে পাওয়া রেকর্ডিং নিয়ে তুরস্ক এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো। তুরস্কের টিভি চ্যানেলগুলোতে খাশোগি ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে ঢোকার সময়ের ভিডিও ফুটেজও প্রচার করা হয়েছে। তুর্কি বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিসকে বিয়ে করার জন্য আগের বিয়ের তালাকের কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য তিনি ওই সময় দূতাবাসে গিয়েছিলেন।

এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলে দাবি করা ১৫ ব্যক্তি তুরস্কে প্রবেশ করছেন ও তুরস্ক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তারা খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলোতে।

আরও পড়ুন- খাশোগি দূতাবাস থেকে বেরিয়েছেন সৌদিকে প্রমাণ করতে হবে: এরদোয়ান

বিজ্ঞাপন

এ পরিস্থিতিতে তুরস্ক ও সৌদি আরব যৌথভাবে এ ঘটনার তদন্তের জন্য রাজি রয়েছে। এরই মধ্যে সৌদি আরবের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার তুরস্কে পৌঁছেছে।

এদিকে, খাশোগির ১১ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা ও তাকে হত্যার খবরে আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার ঝড় বইছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও ‍গুতেরেস এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনাকে ‘নিউ নরমাল’-এ পরিণত হচ্ছে বলেও শঙ্কা জানান তিনি। গুতেরেস বলেন, এটা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্পষ্টভাবে বলবে, এ ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত নয়। এছাড়া, প্রকৃত ঘটনা কী ঘটেছিল, তাও প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ ঘটনার রহস্য উন্মোচনের তাগিদ দিয়েছেন। যদিও তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার জন্যও কাজ করছেন।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন