বিজ্ঞাপন

সিএমপির ওসিসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

October 18, 2018 | 7:52 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে একটি মামলার আবেদন জমা পড়েছে। আদালত ২৪ অক্টোবর অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে কি না সেই বিষয়ে শুনানির সময় নির্ধারণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন রুবি বেগম নামে এক গৃহবধূ।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন- আকবর শাহ থানার ওসি জসীম উদ্দিন, এসআই মো. আলাউদ্দীন ও আশহাদুল ইসলাম, এএসআই সাইফুল ইসলাম ও আবু বক্কর সিদ্দিক এবং কনস্টেবল নুরুল আলম।

বিজ্ঞাপন

আবেদনকারী রুবি বেগম নগরীর আকবর শাহ থানার পূর্ব ফিরোজ শাহ কলোনির আবুল কাশেম আলমগীরের স্ত্রী।

রুবি বেগমের অভিযোগ, গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাদের এলাকার জনৈক ইব্রাহিম বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান আবুল কাশেম। হাসপাতালে ইব্রাহিমকে মৃত ঘোষণার পর পুলিশ আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য রুবি বেগমের কাছে পুলিশ দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

চাঁদা না দেওয়ায় আবুল কাশেম ও রুবি বেগমের ভাই নূরুকে মাদক ও অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে মামলার আবেদনে।

বিজ্ঞাপন

১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) এবং দণ্ডবিধির ১৬১ ও ১২০ (বি) ধারায় মামলাটি গ্রহণের আবেদনের শুনানি ২৪ অক্টোবর হবে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী।

জানতে চাইলে আকবর শাহ থানার ওসি জসীম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, নূরু একজন তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৫টি মাদকের মামলা নগরীর বিভিন্ন থানায় আছে। আবুল কাশেম তার ভগ্নীপতি ও দেহরক্ষী। তার বিরুদ্ধেও আকবর শাহ থানায় তিনটি মামলা আছে।

নূরু ও আবুল কাশেমকে মাদক বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছিল দাবি করে ওসি বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্টের একটি ঘটনাকে ঢাল বানিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। মূলত তাদের মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল।’

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন