বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল পাস

October 21, 2018 | 11:40 pm

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যমান প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ রদ করে নতুন আইন প্রণয়ন করতে সুনির্দিষ্ট বিধান করে সংসদে ‘বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল, ২০১৮’ পাস করা হয়েছে। বিলে মৎস্য সম্পদ চিহ্নিত করা, সংরক্ষণ, চাষ ও উৎপাদনের জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান মানুষের প্রাণিজ পুষ্টি চাহিদা পূরণে মৎস্য সম্পদের ওপর গবেষণা করতে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার বিধান রাখা হয়েছে। বিলে নতুন চারটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

রোববার (২১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনের শুরুর দিনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বিলটি প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলে বিদ্যমান প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশের অধীনে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রস্তাবিত আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে গণ্য করার বিধান করা হয়। পাশাপাশি ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইনের প্রয়োগের বিধানও করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিলে ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর নেতৃত্বে বোর্ড গঠন, বোর্ডের কার্যাবলী, বোর্ডের সভা, ইনস্টিটিউটের ক্ষমতা ও কার্যাবলী, প্রাণী বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গবেষণা, ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগ, তহবিল, বাজেট, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা, প্রতিবেদন পেশ, কমিটি গঠন, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, নূরুল ইসলাম ওমর, পীর ফজলুর রহমান, সেলিম উদ্দিন, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী ও বেগম রওশন আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনীর প্রস্তাব আনলে কয়েকটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। বাকি প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

এর আগে, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন হলে তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ জানাতে গিয়ে বিবৃতিতে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ক্রমবর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার প্রাণিজ আমিষ (ডিম, দুধ ও মাংস) উৎপাদন বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এজন্য গবেষণার প্রয়োজন অনস্বীকার্য। নতুন নতুন প্রযুক্তি ও জ্ঞান উদ্ভাবনের জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটকে আরও সক্রিয় ও সক্ষম করা প্রয়োজন। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন