বিজ্ঞাপন

রংপুরে সুবাশিষের তাণ্ডব, ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল সৌম্য

October 23, 2018 | 6:22 pm

।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় ক্রিকেট লিগের টায়ার ওয়ানের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে রংপুরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলছে বরিশাল বিভাগ। আর টায়ার ওয়ানের অন্য ম্যাচে খুলনায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে লড়ছে রাজশাহী বিভাগ। আগের দিন বরিশালের স্পিনার সোহাগ গাজীর ঘূর্ণিতে দিশেহারা রংপুর প্রথম দিন সবকটি উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১৪৭ রান। রংপুরের সুবাশিষ রায়ের পেস তাণ্ডবে ঠিক ১৪৭ রানেই গুটিয়ে গেছে বরিশাল। দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে রংপুর তুলেছে লিডের সমান ৭৭ রান।

এদিকে, আগের দিন রাজশাহীর বিপক্ষে খুলনার সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয় এবং রানমেশিন তুষার ইমরান হাফ-সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ৩০৯ রান করে অলআউট হয় খুলনা। জবাবে, ৫ উইকেট হারিয়ে রাজশাহী দ্বিতীয় দিন শেষে তুলেছে ২০২ রান। পিছিয়ে আছে ১০৭ রান।

রংপুরের ১৪৭ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরও স্বস্তিতে নেই বরিশাল। প্রথম দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছিল ৩৫ রান। তবে, গুটিয়ে গেছে ঠিক ১৪৭ রানেই। প্রথম ইনিংসে রংপুরের ওপেনার রাকিন আহমেদ ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। আরেক ওপেনার মেহেদি মারুফ করেন ১১ রান। নাঈম ইসলামের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান। ধীমান ঘোষ, তানবীর হায়দার, সোহরাওয়ার্দি শুভরা দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

বরিশালের স্পিনার সোহাগ গাজী ১৮ ওভারে ৪০ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৫টি উইকেট। ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের ওপেনার শাহরীয়ার নাফিস ০ রানে সাজঘরে ফেরেন। মাঝে শামসুল ইসলাম ২ রানে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার রাফসান আল মাহমুদ ৪০ এবং আল আমিন ১৬ রানে বিদায় নেন। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সোহাগ গাজী, তানবীর ইসলামরা দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। নুরুজ্জামান ১৮, অধিনায়ক কামরুল ইসলাম রাব্বি ২৭ রান করেন।

রংপুরের পেসার সুবাশিষ রায় ২০ ওভারে ৪৯ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৫টি উইকেট। দুটি করে উইকেট পান রবিউল হক এবং তারবীর হায়দার। দ্বিতীয় ইনিংসে রংপুরের ওপেনার রাকিন আহমেদ ৩০, মেহেদি মারুফ ১০ আর চার নম্বরে নামা নাঈম ইসলাম ০ রানে ফেরেন। দ্বিতীয় দিন শেষে মাহমুদুল হাসান ২৭ আর সোহরাওয়ার্দি শুভ ৬ রানে অপরাজিত আছেন। বরিশালের মনির হোসেন একাই নিয়েছেন তিনটি উইকেট।

এদিকে, খুলনায় আগে ব্যাটিংয়ে নামা স্বাগতিকরা সব হারিয়ে ৩০৯ রান তোলে। জবাবে, রাজশাহী ৫ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২০২ রান। খুলনার ওপেনার মেহেদি হাসান ১১ রানে বিদায় নিলেও আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় করেন ৫৬ রান। তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকার ৬৬ রান করে বিদায় নেন। আর বাংলাদেশের রানমেশিন খ্যাত তুষার ইমরান ১২৭ বলে করেন ৭১ রান। এছাড়া, আফিফ হোসেন ১৪, নুরুল হাসান সোহান ২৫, জিয়াউর রহমান ৩৭ রান করেন।

বিজ্ঞাপন

রাজশাহীর সানজামুল ইসলাম তিনটি, শফিউল ইসলাম তিনটি, ফরহাদ রেজা তিনটি, মুক্তার আলি একটি করে উইকেট পান।

ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহীর ওপেনার মাইশুকুর রহমান ১৪ আর মিজানুর রহমান ৪৩ রান করেন। জুনাইদ সিদ্দিকী করেন ৪৭ রান। ফরহাদ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম ১৫ রানে বিদায় নেন। সাব্বির রহমান ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। খুলনার পেসার আল আমিন হোসেন দুটি, সৌম্য সরকার দুটি আর মঈনুল ইসলাম একটি করে উইকেট দখল করেন।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন