বিজ্ঞাপন

২০৩০ সালের মধ্যে ২৫ লাখ টন বাড়তি চাল উৎপাদন: কৃষিমন্ত্রী

October 23, 2018 | 7:02 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আগমী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে ২৫ লাখ টন বাড়তি চাল উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে আউস ও আমন চাষাবাদে জমি পুনর্বিন্যাস, অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা এবং দেশি জাতের পরিবর্তে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল ধানের আবাদ করার যে পরিকল্পনা রয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে, দেশে চাল উৎপাদন বহুলাংশে বাড়বে।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম. আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, চাল উৎপাদন বাড়াতে বোরো আবাদের পর আউশের আবাদ, বোরো আবাদ কমিয়ে আউশের আবাদ বাড়ানো, স্বল্প জীবনজাত জাতের ধানচাষ সম্প্রসারণ করা, খরা সহিষ্ণু জাতের সম্প্রসারণ করা, উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের জাত সম্প্রসারণ করা, লবণাক্ত ও জোয়ার-ভাটা হয় যেসব অঞ্চলে সেখানকার জন্য উপযোগী জাতের ধান চাষ সম্প্রসারণ করা, স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উচ্চ ফলনশীল জাতের চাষ সম্প্রসারণ করা, হাইব্রিট জাতের ধানের চাষ সম্প্রসারণ, চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ কর্মসূচি, সার ও ডিজেল মূল্যে উন্নয়ন সহায়তা দেওয়া এবং উন্নয়ন সহায়তায় হ্রাসকৃত মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

বিজ্ঞাপন

বেগম হাজেরা খাতুনের (মহিলা আসন-৩৯) আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে একজন সার ডিলার ও ৯ জন খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ করা হয়েছে। সারের ক্রয়মূল্য চার দফায় কমানো হয়েছে। এছাড়াও গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উন্নতমানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য উন্নয়ন বাজেটের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো ২০১৬-১৭ অর্থ বছর থেকে গবেষণার জন্য রাজস্ব বাজেটে অর্থের সংস্থান রেখে বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়েছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন