বিজ্ঞাপন

‘আসামি না আসলে আদালতের কি করার আছে?’

October 28, 2018 | 4:32 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : আসামি যখন নিজেই বলেন যে তিনি আদালতে যাবেন না, তখন আদালতের কী করার আছে বলে প্রশ্ন রেখেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

রোববার (২৮ অক্টোবর) অ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ প্রশ্ন রাখেন।

আসামিকে হাসপাতালে রেখে রায় দেওয়া হলে সেটি নজিরবিহীন হবে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিনের খোকনের এ মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবে আলম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সাক্ষ্য থেকে শুরু করে সবই হয়েছে আসামির সামনে। তিনি নিজেও বক্তব্য দিয়েছেন। এখানে আসামি যখন বলেন, তিনি আর আদালতে যাবেন না, তখন আর আদালতের কিছু করার থাকে না।’

বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করা হবে না কি না জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘উনি যদি না যেতে চান তাহলে তো কোন পথ থাকেনা। তাছাড়া আগেই তো বলা হয়েছে উনার অনুপস্থিতিতে বিচার হবে। বিচারের অর্থ শুধু যুক্তিতর্ক উপস্থাপন নয়, বিচারের অর্থ রায় ঘোষণাও।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে বলে বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদন খারিজ হলে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ-৫ এ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সোমবার (২৯ অক্টোবর) রায় ঘোষণা করা সম্ভব হবে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা শুনানির সময় খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্রায় ৪০ বার সময় নেওয়া হয়েছে জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তারপর যখন আসামিপক্ষের বক্তব্য শোনার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হলো তখন তিনি প্রায় ৩২ বার সময় নিয়েছেন। এরপর বেশ কিছুদিন তিনি জেলে থাকাবস্থায় আদালতে যেতে পারেননি। বলা হলো তিনি অসুস্থ। তারপরে একটি তারিখে তিনি বলেছেন তিনি আদালতে যাবেন না। এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞ বিচারক তার অনুপস্থিতিতেই এই মামলার যুক্তিতর্কের শুনানির দিন ঠিক করেছেন। কিন্তু সেই সময়ও উনার ১২৬ জন আইনজীবীর কেউ আদালতে যাননি। এ অবস্থায় মামলাটিতে আগামীকাল রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/এসএমএন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন