বিজ্ঞাপন

৮ নভেম্বর থেকে ঢাকা লিট ফেস্ট

November 5, 2018 | 4:24 pm

আসছেন পুলিৎজার জয়ী সাহিত্যিক অ্যাডাম জনসন, বলিউড তারকা মনীষা কৈরালাসহ শতাধিক বিদেশি অতিথি

 ।। এসএম  মুন্না ।।

বিজ্ঞাপন

ভাষা কেনো প্রতিবন্ধকতা নয়। সব ভাষা সব দেশের সাহিত্যই সমাজকে আলোকিত করার কথা বলে। শোনায় অন্ধকার দূর করবার কথা। ছড়িয়ে দেয় শান্তির বারতা। তাই দেশীয় সাহিত্যসহ বিশ্ব-সাহিত্য, রাজনীতি, সমাজনীতি, বিজ্ঞানের আলাপ আর আদান-প্রদান সমৃদ্ধ করে সমাজকেই। সে প্রত্যয়েই আগামী ৮ নভেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে বড় সাহিত্য উৎসব ‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৮। যেখানে অংশ নেবেন বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের একটা বিরাট অংশ। থাকবেন বিশ্বের ২৫টির দেশের শতাধিকের বেশি লেখক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, অভিনেতা, নির্মাতা, বক্তা, পারফর্মার এবং চিন্তাবিদ। অষ্টমবারের মতো এই উৎসবের আয়োজন করেছে যাত্রিক।

২০১১ সালে প্রথম শুরু হয়েছিল হে উৎসব নামে। উদ্দেশ্য বাংলাদেশের লেখকদের সাথে অন্যান্য দেশের লেখকদের জানাশোনার সুযোগ করে দেয়া এবং বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের সাহিত্যকে তুলে ধরা। পরে ২০১৫ সাল থেকে  ঢাকা লিট ফেস্ট নামে যাত্রা শুরু হয়। গত ৮ বছরে চেষ্টা করেছি এগিয়ে যাওয়ার এবং  আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পেরেছি বলেই আমার বিশ্বাস। সারাবাংলা ডট নেটকে এমনটাই জানালেন ঢাকা লিট ফেস্টের অন্যতম পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ । তিনি বলেন ‘বাংলা সাহিত্যিকদের মধ্যে একমাত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু কাজী নজরুল ইসলাম থেকে শুরু করে পঞ্চকবিসহ বাংলা ভাষার অনেক লেখকই উঁচুমানের সাহিত্য রচনা করেছেন। কিন্তু ইংরেজি ভাষায় তাদের সাহিত্যকর্মগুলো সেভাবে প্রকাশিত না হওয়ায় তারা অনেকেই অন্তরালে রয়ে গেছেন। সেই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বাংলা ভাষার লেখকদের সাহিত্যকর্ম ইংরেজিতে অনুবাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর সেটা উৎসাহ দিয়ে আসছে লিট ফেস্ট’।

আন্তর্জাতিক তারকাদের মিলনমেলা

বিজ্ঞাপন

অপেক্ষার প্রহরটা মাত্রই কয়েক দিনের। এরপরই বাংলা একাডেমির সবুজ প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠবে সাহিত্যিক আর সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায়। বিশ্বের ২৫ দেশের তিন শতাধিকের বেশি সাহিত্যিক, বক্তা, পারফর্মার এবং চিন্তাবিদ এই তিন দিনের আয়োজনে অংশ নেবেন। পুলিৎজার, অন্দাজ্জে, বুকারের মতো সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী লেখকরা আসছেন এবারের উৎসবে। উৎসবের মূল আকর্ষণ পুলিৎজার বিজয়ী সাহিত্যিক অ্যাডাম জনসন। আসছেন পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক মোহাম্মদ হানিফ। দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা লিট ফেস্টে আসছেন অস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী টিলডা সুইন্টন। এবার তিনি আসছেন নিজের লেখালেখি নিয়ে কথা বলতে। এপার-ওপার বাংলার জনপ্রিয় লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং নারীবাদী লেখিকা-অভিনেত্রী নন্দিতা দাশও আসছেন। তাদের একজন কথা বললেন বাংলা সাহিত্য নিয়ে, অন্যজন কথা বলবেন নারী অধিকার, অভিনয় জীবন ও বহুল আলোচিত হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন নিয়ে। সবার আগ্রহ দৃষ্টি থাকবে বলিউড-তারকা মনীষা কৈরালার দিকেও।  প্রথমবারের মতো তিনিও আসছেন এবারকার উৎসবে। তার অভিনয় জীবন ছাড়াও ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকার এক মানবিক গল্প তুলে ধরবেন উৎসবের একটি অধিবেশনে। এরই মধ্যে মনীষা কৈরালা এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার জীবনের প্রথম গ্রন্থ ‘দ্য বুক অব আনটোল্ড স্টোরিজ’প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা লিট ফেস্টে তিনি তার এ বই ও জীবন নিয়ে এক ঘন্টার একটি বিশেষ সেশনে অংশ নেবেন। দুইটি অধিবেশনে অংশ নেবেন তিনি। উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার মূল মঞ্চ আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত ‘ব্রেকিং বেড’ শিরোনামে সেমিনারে অংশ নেবেন তিনি। তার সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেবেন ভারতের নারীবাদী লেখক, অভিনেত্রী ও নির্মাতা নন্দিতা দাশ। সঞ্চালনা করবেন উৎসবের অন্যতম পরিচালক সাদাফ সায্ সিদ্দিকী। উৎসবের সমাপনী দিন শনিবার একই মঞ্চে আবারও মঞ্চে আসবেন মনীষা কৈরালা সাদাফ সায্ সিদ্দিকীর সাথে ‘হিলড্’ শিরোনামে আলাপচারিতায়। এই অধিবেশন তিনি তার জীবন কাহিনী শোনাবেন।

উৎসবে যোগ দিতে আরও আসছেন বুকার বিজয়ী ব্রিটিশ উপন্যাসিক জেমস মিক, ব্রিটিশ উপন্যাসিক ফিলিপ হেনশের, লন্ডন ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব রাইটিংয়ের পরিচালক ও কথা সাহিত্যিক রিচার্ড বিয়ার্ড, ভারতীয় লেখিকা জয়শ্রী মিশরা, হিমাঞ্জলি শংকর, শিশুতোষ লেখিকা মিতালি বোস পারকিন্স, ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এশিয়ার প্রধান হুগো রেস্টল, মার্কিন সাংবাদিক প্যাট্রিক উইন, লেখক ও সাংবাদিক নিশিদ হাজারি ছাড়াও  চেরিস হেইসার, ক্রিস্টেইন হডেল, কৌটনি হডেল, ডেভিড ভেলিউ, এড কামিং, ক্যাটরিনা ডন, মারিও পালমা, স্যান্ডু কপসহ শতাধিক বিদেশি অতিথি।

বাংলাদেশি লেখক, সাহিত্যিক, সমালোচক, প্রকাশক ও চিন্তাবিদের মধ্যে থাকবেন-শামসুজ্জামান খান, অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান, বিনায়ক সেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকের, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ইমদাদুল হক মিলন, মঈনুল আহসান সাবের, কবি রুবী রহমান, আসাদ চৌধুরী, কামাল চৌধুরী, মুস্তাফিজ শফি, বিশ্লেষক-সাংবাদিক আফসান চৌধুরী, নির্মাতা অমিতাভ রেজা, অনুবাদক ফকরুল আলম, অভিনেত্রী বন্যা মির্জাসহ দেশের সাহিত্যিক অঙ্গনের উজ্জ্বল করা দেড় শতাধিক মুখ। প্রতিদিন এক যোগে ছয়টি মঞ্চে সম-সাময়িক বিষয় ছাড়া সাহিত্যের নানা দিক নিয়ে শতাধিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সঙ্গে থাকছে শেকড়ের গান।

বিজ্ঞাপন

উদ্বোধন ও প্রথম অধিবেশন

উৎসবের মূল মঞ্চ-আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তন। এই মঞ্চে উদ্বোধনী ও সমাপনীসহ তিন দিনে প্রায় ৩৫ টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবের প্রথম অধিবেশন বসবে এ মঞ্চেই সোয়া ১১টায়। ‘পোস্ট-আমেরিকান ফিউচার’ নিয়ে আলাপে মেতে উঠবেন পুলিৎজার বিজয়ী লেখক অ্যাডাম জনসন ও বাংলা ট্রিবিউন, ঢাকা ট্রিবিউনের প্রকাশক ও ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক ড. কাজী আনিস  আহমেদ। এর আগে কত্থক নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৮ম ঢাকা লিট ফেস্ট। নাচের পরপরই সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এ সময় লিট ফেস্টের তিন পরিচালক সাদাফ সায্ সিদ্দিকী, আহসান কবির ও ড. কাজী আনিস আহমেদ উপস্থিত থাকবেন। উৎসবের অন্যান্য মঞ্চ হচ্ছে-কবি শামসুর রাহমান স্মৃতি কক্ষ, ভাস্কর নভেরা প্রদর্শনী কক্ষ, বর্ধমান হাউস সংলগ্ন লন-মঞ্চ, কসমিক টেন্ট ও নজরুল মঞ্চ।

প্রথম দিন (৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার)

৬টি মঞ্চে এদিন ২০টি অধিবেশন থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে উদ্বোধনী পর্ব, আন্তর্জাতিক সেমিনার, একক গান, প্রদর্শনীর উদ্বোধন, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। উল্লেখ্যযোগ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘সময়ে গান সময়ে অসময়ের কবিতা’ শিরোনামে অধিবেশনে অংশ নেবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও কথাশিল্পী ইমদাদুল হক মিলন। একই মঞ্চে বিকেল ৪টা ১৫ অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানী লেখক সাদাত মান্টোকে নিয়ে ভারতে নির্মিত ছবি  ‘মান্টো’ এর প্রথম প্রিমিয়ার। শুধু প্রিমিয়ার নয় নন্দিতা দাশ তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। সঞ্চালনা করবেন অ্যানি জায়দী।

বিজ্ঞাপন

কবি শামসুর রাহমান স্মৃতি কক্ষে দুপুর সাড়ে ১২টায় ‘যে গল্পের পাঠ নাই’ শিরোনামে অধিবেশনে অংশ নেবেন কথাশিল্পী মঈনুল আহসান সাবের, আনিসুল হক, আহমাদ মোস্তফা কামাল, হামিম কামরুল হক, রাশিদা সুলতানা ও পারভেজ হোসেন। একই মঞ্চে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ‘ভাঙা-গড়ার দিনগুলো : স্মৃতিচারণে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক অধিবেশনে অংশ নেবেন কথাশিল্পী আনিসুল হকের সঞ্চালনায় আনিসুজ্জামান, আফসান চৌধুরী, কাইয়ুম খান।

বর্ধমান হাউস সংলগ্ন লন-মঞ্চে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সঞ্চালনায় ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি ১’ শিরোনামে আবৃত্তি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বাংলাদেশের বেশ কয়েক জনপ্রিয় কবি।

ভাস্কর নভেরা প্রদর্শনী কক্ষে দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে ‘সন্ত্রাসবাদের মুখে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সেমিনার্। এতে অংশ নেবেন-সমকাল এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও কবি মুস্তাফিজ শফি, সাংবাদিক-রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদা ভাট্টি, কল্পকাহিনী লেখক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং কথাশিল্পী স্বকৃত নোমান। সঞ্চালনায় সাংবাদিক জুলফিকার রাসেল।

কসমিক টেন্টে দুপুর সাড়ে ১২টায় ‘প্রকাশনা শিল্প ও ব্ইয়ের বিপণন’ শীর্ষক সেমিনারে নেবেন- প্রকাশক মিলন কান্তি নাথ, খান মাহবুব, অপু দে, সৈয়দ জাকির হোসাইন. মাহরুখ মহিউদ্দিন। সঞ্চালনায় ফিরোজ আহমেদ।

নজরুল মঞ্চে বিকেল ৩টায় মুক্তিযুদ্ধের কবিতা আবৃত্তি-কিশোর মনন আবৃত্তি শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন খালেক বিন জয়নুদ্দিন, আসলাম সানী প্রমুখ। সন্ধ্যায় একই মঞ্চে আনপ্লাগড বাংলা গান পরিবেশন করবেন জয়িতা।

দ্বিতীয় দিন (৯ নভেম্বর, শুক্রবার)

এদিনও ছয়টি মঞ্চে ৪০টি অধিবেশন থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সম-সাময়িক ছাড়াও গণমাধ্যম বিষয়ক সেমিনার, জীবন-সংগ্রামের কাহিনী কথন, গল্পবলা, জেমকন সাহিত্য পুরস্কার প্রদান, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, ছোটদের মঞ্চ নাটক, সার্কাস, একক গান, গণিত অলিম্পিয়াড, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও মুক্তিযুদ্ধের কবিতা আবৃত্তি। দ্বিতীয় দিনের মূল আকর্ষণ বলিউড তারকা মনীষা কৈরালা ও নারীবাদী অভিনেত্রী-নির্মাতা নন্দিতা দাসের সঙ্গে যৌথ আলাপন। পরিচালনা করবেন সাদাফ সায্। শিরোনাম ‘ব্রেকিং বেড’। উৎসবের মূল মঞ্চ আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে সোয়া ১১টায় এই আলাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একই মঞ্চে দুপুর ২টায় রিডিং সেশনে অংশ নেবেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী টিল্ডা সুইন্ট। এর পরপরই হালে ঝড় তোলা বিষয় ‘#মি-টু এর বাঙালি সমাজ অনারীত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেবেন- বন্যা মির্জা, সাদেকা হালিম, মুন্নী সাহা, জায়মা ইসলাম ও রিতা দাস রায়। সঞ্চালনা করবেন নবনীতা চৌধুরী। বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রদান করা হবে এবারকার জেমকন সাহিত্য পুরস্কার।

কবি শামসুর রাহমান স্মৃতি কক্ষে সোয়া ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলা সাহিত্যের্ ইতিহাস, সংকট ও উত্তরণ’ শীর্ষক অধিবেশন। এতে অংশ নেবেন-আকিমুন রহমান, খালেদ হোসাইন, বিশ্বজিৎ ঘোষ, নিখিলেশ রায়, সুমন গুণ। সঞ্চালনায় মুহাম্মদ মুহসিন। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ‘দি বাংলাদেশ প্যারাডক্স’ শীর্ষক অধিবেশনে অংশ নেবেন হোসেন জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় ওয়াহিউদ্দিন মাহমুদ, বিনায়ক সেন, কে এস সি মোরশেদ।

বর্ধমান হাউস সংলগ্ন লন-মঞ্চে সকাল ১০টায় ‘মঞ্চ নাটক, টিভি নাটক ও চিত্রনাট্য’ বিষয়ক সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেবেন-অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মাহবুব আজীজ, রুবাইয়াৎ আহমেদ, আলতাফ শাহনেওয়াজ ও সাইমন জাকারিয়া। সঞ্চালনায় বন্যা মির্জা। একই মঞ্চে দুপুর সাড়ে ১২টায় ক্যামব্রিজ শর্ট স্টোরি প্রাইজ লঞ্চিং করা হবে। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে দেখানো হবে চলচ্চিত্র ‘বিদ্যাভুবন’। চলচ্চিত্র পরবর্তী নায়লা আজাদের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেবেন-নাদিম ইকবাল ও এস কে আল মামুন।

কসমিক টেন্টে দুপুর ২টায় মুনির হাসানের সঞ্চালনায় গণিত অলিম্পিয়াড বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মাহবুবুল আলম মজুমদার, আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী, সুবাহ নাওয়ার পুষ্পিতা।

নজরুল মঞ্চে সকাল ৯টায় ‘পশু পাখির তিন গল্প’ শীর্ষক গল্পবলায় মেতে উঠবেন ফাতেমা-তুজ-জোহরা। একই মঞ্চে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে রশিদ হারুনের পরিচালনায় পাপেট শো। বিকেল সাড়ে ৪টায় লোকসঙ্গীত পরিবেশন করবেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী কুশান। দ্বিতীয় দিনের উৎসবের পরিসমাপ্তি হবে সোনার বাংলা সার্কাস দলের সার্কাস প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে।

তৃতীয় ও সমাপনি দিন ( ১০ নভেম্বর, শনিবার)

শেষ দিনেও ছয়টি মঞ্চে রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক অধিবেশন। দিনের প্রধান আকর্ষণ বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে জীবনের কাহিনী বলবেন বলিউড তারকা মনীষা কৈরালা। সঞ্চালনা করবেন উৎসব পরিচালক সাদাফ সায। একই মঞ্চে পৌনে ৫টায় সাহিত্য কথোপকথনে অংশ নেবেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কথাশিল্পী শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।

কবি শামসুর রাহমান স্মৃতি কক্ষে দুপুর সাড়ে ১২টায় ‘ডেডলি লেগাসি অব ইন্ডিয়াস পার্টিশন’ শীর্ষক অধিবেশনে অংশ নেবেন মাহরুখ মহিউদ্দিনের সঙ্গে নিশিদ হাজারি। ‘এখনও কেন কবিতা’ শীর্ষক আয়োজনে অংশ নেবেন শামীম রেজার সঞ্চালনায় রুবী রহমান, আসাদ চৌধুরী, মুহাম্মদ সাদিক, সুমন গুণ ও নিখিলেশ রায়।

বর্ধমান হাউস সংলগ্ন লন মঞ্চে দুপুর ১২টায় ‘বাংলা সাহিত্য : নারী ও পুরুষ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেবেন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, সালমা বানী, শাহনাজ মুন্নী ও অদিতি ফাল্গুনী। সঞ্চালনায় শামীম রেজা। একই মঞ্চে সন্ধ্যা ৬টায় ছয় নারী শিরোনামে কথা-আড্ডায় মেতে উঠবেন ফরিদা হুসেইন, শাহনাজ মুন্নী, জাহানারা পারভীন, আফরোজা সোমা ও শাকিরা পারভীন। সঞ্চালনায় জ্যাকি কবির।

ভাস্কর নভেরা প্রদর্শনী কক্ষে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে ‘পেন : লেখকের মুক্তি, লেখার স্বাধীনতা’ শীর্ষক অধিবেশনে অংশ নেবেন কথাশিল্পী সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কুমার চক্রবর্তী, মোহাম্মদ আখতার হুইসেন ও মুম রহমান। সঞ্চালনায় উদিসা ইসলাম।

কসমিক টেন্টে সোয়া ১১টায় ‘৭১ পয়েমস’ এ অংশ নেবেন আহমেদ রেজা, আনিস মুহাম্মদ, নাহিদা রহমান, রাহমান সুমনা, পান্না কায়সার, রফিকুল ইসলাম ও কামাল চৌধুরী। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ‘বাংলাদেশী মৌলিক থ্রিলার : জাগরণ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেবেন সাজ্জাদ শরীফ, মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, শিবব্রত বর্মণ ও ধ্রুব এষ। সঞ্চালনায় সুমন রহমান।

নজরুল মঞ্চে বেলা সোয়া ১১টায় শিশুদের ক্ল্যাসিক বাংলা গল্প শোনাবেন বিভা সিদ্দিকী। সমাপনী আয়োজনের আগে সন্ধ্যা ৬টায় বাউল গান পরিবেশন করবেন বাংলাদেশের তিন লোকশিল্পী কোহিনূর আক্তার গোলাপী, ফকির আকলিমা ও সূচনা শেলী।

সমাপনী- বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫টির দেশের দুই শতাধিকের বেশি কবি, লেখক, সাহিত্যিক, বক্তা, পারফর্মার এবং চিন্তাবিদের অংশগ্রহণের তিন দিনের মিলন মেরার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে সন্ধ্যা সাতটায়, আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে। অংশ নেবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

চলছে নিবন্ধন

সাহিত্যের এ মিলনমেলায় অংশ নিতে চাইলে অনলাইনে নিবন্ধন করে ফেলতে হবে দ্রুত। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে নিবন্ধন প্রক্রিয়া। নিরাপত্তার কারণে এবারও www.dhakalitfest.com/register/ এই লিংকে গিয়ে কয়েকটি সাধারণ বিষয় পূরণের মাধ্যমে করতে পারবেন নিবন্ধন। উৎসবের শেষদিন পর্যন্ত চলবে রেজিস্ট্রেশন। যুক্ত হতে পারবেন #dhakalitfest ।

উৎসবের অধিবেশন ও অন্যান্য অনুষ্ঠান চলবে প্রতিদিন সকাল ৯টা-সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ঢাকা লিট ফেস্ট এর টাইটেল স্পন্সর ঢাকা ট্রিবিউন ও বাংলা ট্রিবিউন। কী স্পন্সর ব্র্যাক ব্যাংক। সার্বিক আয়োজনে বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। ব্যবস্থাপনায় যাত্রিক।

সারাবাংলা/পিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন