বিজ্ঞাপন

যেসব বিষয় থাকতে পারে সিইসি’র ভাষণে

November 8, 2018 | 3:20 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) জাতির উদ্দেশে ভাষণ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সিইসি এই ভাষণ দেবেন। ভাষণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা ও মাঠ পর্যায়ে সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে ধারণা দিতে পারেন তিনি। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এই ভাষণ একযোগে প্রচার করবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত করাসহ যাবতীয় বিষয়ে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। সেখানেই নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং সিইসি’র ভাষণও চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে, বৈঠক শেষে বৈঠকের আলোচনা নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে কিছুই বলেননি বৈঠকে উপস্থিত নির্বাচন কমিশনাররা।

আরও পড়ুন- নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ইসির বৈঠক শেষ

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসির) ভাষণে মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুতির সার্বিক বর্ণনা থাকবে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ভাষণে সব নাগরিককে সহযোগিতার আহ্বান জানাবেন সিইসি। জনগণের হয়ে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশের গণতন্ত্রের ধারা এবং উন্নয়নের গতিকে সচল রাখার আহ্বানও জানাবেন তিনি।

সিইসি তার ভাষণে নির্বাচনী আইন ও বিধি সংশোধন, সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ পরবর্তী সংসদীয় আসনের তালিকা প্রকাশ, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা, চূড়ান্ত হওয়া ভোটকেন্দ্র, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদন নিষ্পত্তি, প্রথমবারের মত পোলিং এজন্টদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়াসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারেন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে ৭ লাখ কর্মকর্তা, নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর (পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ইত্যাদি) ৬ লাখ সদস্য নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এসব তথ্যও ভাষণে তুলে ধরতে পারেন সিইসি।

বিজ্ঞাপন

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ বিবেচনায় রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি রেখে ইসি। তবে আরেকটি সূত্র বলেছে, একাধিক তারিখ হাতে রাখছে নির্বাচন কমিশন। কোনো কারণে ২০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হলে নির্বাচনের সম্ভাব্য পরবর্তী তারিখ হতে পারে ২৩ ডিসেম্বর।

এর আগের জাতীয় নির্বাচনগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সাধারণত তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত ৪৫ দিন হাতে থাকে। সেক্ষেত্রে আজ তফসিল ঘোষণার পর ২০ ডিসেম্বর নির্বাচন হলে তা তফসিলের ৪২ দিন পর এবং ২৩ ডিসেম্বর হলে তা তফসিলের ঠিক ৪৫ দিন পর অনুষ্ঠিত হবে।

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন