November 8, 2018 | 5:10 pm
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে তথ্যচিত্র ‘হাসিনা-অ্যা ডটার’স টেল’। পাঁচ বছরের কাজের ফল এখন সবার সামনে। সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে এই ফিচার লেন্থ ডকুমেন্টরির ট্রেইলার ও একটি গান। তারপর থেকে এটির প্রতি মানুষের তুমুল আগ্রহ তৈরী হয়েছে। সেই আগ্রহ থেকেই সবাই মুক্তির তারিখ জানার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
পিপলু আর খান পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে। ১৬ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে বহুপ্রতীক্ষিত এই তথ্যচিত্রটি। পরিচালক সারাবাংলাকে জানান, রাজধানীর ব্লকবাস্টার সিনেমা, স্টার সিনেপ্লেক্স, মধুমিতা এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিন সিনেমা হলে মুক্তি পাবে ছবিটি।
তথ্যচিত্রটির ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যবয়সী একটি ছবি সমৃদ্ধ পোস্টার প্রকাশ করে মুক্তির তারিখ জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ও অ্যাপেল বক্সের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ফিচার লেন্থ ডকুমেন্টরি।
পিপলুর মতে এটি একটি ‘ফিচার লেন্থ ডকুমেন্টরি’। যার দৈর্ঘ্য ৭০ মিনিট। বিস্তারিত জানতে চাইলে পিপলু আর খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০১৩ সালে আমি এই কাজ শুরু করি। এটাকে একেবারেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বায়েপিক বা তার পরিবার নিয়ে সিনেমা বলা যাবে না। ‘হাসিনা: অ্যা ডটার’স টেল’ ছবিতে প্রধানমন্ত্রীর বাইরে একজন শেখ হাসিনাকে তুলে ধরার জন্যই বলা হয়েছিল আমাকে। আমিও তাই করেছি। আর এখানে প্রধানমন্ত্রীর কথাই শুধু নয়, তার পরিবারের সদস্যদের কথাও উঠে এসেছে। আমি গণভবনে, বিদেশে বিভিন্ন সময়ে এর দৃশ্যধারণ করেছি।’
প্রকাশিত ট্রেইলারটি ব্যাখ্যা করেছেন পিপলু আর খান। তিনি বলেন, ‘ট্রেইলারে কিন্তু আমার শেখ রেহানার কণ্ঠ শুনেছি। আমি ইচ্ছা করেই ট্রেইলারে শেখ হাসিনার কণ্ঠ রাখিনি। এমনকী তাকে পুরোপুরি দেখায়নি। তার উপস্থিতি এবং কণ্ঠ দর্শক-শ্রোতাদের জন্য আরও বড় চমক হয়ে থাক।’
ট্রেইলারে বিদেশের কিছু দৃশ্য দেখা গেছে। পিপলুর বক্তব্য, ‘৭৫-এর পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে ছিলেন। সেই সময়ের কথা বলতেই বিদেশের দৃশ্য রাখা হয়েছে।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবার নিয়ে নির্মিত হয়েছে ডকুমেন্ট্রি ফিল্ম ‘হাসিনা : অ্যা ডটার’স টেল’। ছবিতে একেবারেই পাওয়া যাবে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বরং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তাদের বাবাকে কীভাবে দেখেছেন, কেমন ছিল সেই দিনগুলো, সেই কথাই বলা হয়েছে ডকুমেন্ট্রি ফিল্মে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে প্রকাশ পেয়েছিল ছবির প্রথম ঝলক। ২১ অক্টোবর রাতে প্রকাশ পায় ছবির একটি গান। ‘আমার সাধ না মিটিল, আশা না ফুরিল, সকলই ফুরায়ে যায় মা’ শিরোনামের গানটির সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে টুঙ্গিপাড়া বিভিন্ন দৃশ্য।
Here is a song from the documentary film "Hasina: A Daughter's Tale". This is a tribute to Sheikh Mujibur Rahman, who was very fond of this song, originally voiced by Pannalal Bhattacharya. Narrated through his daughter, "Sheikh Hasina", the song represents the soulful world of Tungipara and the sentiments of Bangabandhu.
Posted by Hasina A Daughter's Tale on Sunday, 21 October 2018
নতুন করে গানটির সংগীতায়োজন করা হয়েছে। কলকাতার দ্বেবজ্যোতি মিশ্র নতুন করে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন এবং গেয়েছেনও। গানটির পাশাপাশি গানের মধ্যেই তিনবার আছে শেখ হাসিনার কণ্ঠ।
দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘টুঙ্গিপাড়া আমার খুবই ভালো লাগে, ভীষণ ভালো লাগে। এখানে এলেই আমার মনে হয় আমি মাটির কাছে ফিরে এসেছি, আমি আমার মানুষের কাছে ফিরে এসেছি। আমার তো মনে হয় টুঙ্গিপাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা।’
ভিডিওটির একদম শেষ ভাগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলেছেন তার নিজেকে নিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার কোনো স্মৃতি রাখতে চাইনা। এগুলো অপাংক্তেও, প্রয়োজন নাই। এটা হলো একদম রূঢ় বাস্তবতা।’
তবে এখন অপেক্ষা পুরো ছবিটি দেখার। রাজধানী ও চট্টগ্রামে ছবিটি দেখার পর দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেখানো হবে ছবিটি।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএ