বিজ্ঞাপন

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন সিইসি

November 8, 2018 | 7:00 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে শুরু করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। এই ভাষণ থেকেই তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে এই ভাষণ দিচ্ছেন সিইসি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে এই ভাষণ সম্প্রচার করা হচ্ছে।

ভাষণের শুরুতেই সিইসি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ভাষা আন্দোলনে প্রাণ হারানো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত রোববার (৪ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কমিশন সভায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও সিইসি’র জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার তারিখ ঠিক করা হয়। ওই দিন কমিশন সভা শেষে সন্ধ্যা ৭টায় ইসি কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওইদিন বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল ঘোষণা করবেন।

ভাষণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা ও মাঠ পর্যায়ে সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে ধারণা দেন সিইসি নুরুল হুদা। ভাষণে সব নাগরিককে সহযোগিতার আহ্বান জানান সিইসি। জনগণের হয়ে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশের গণতন্ত্রের ধারা এবং উন্নয়নের গতিকে সচল রাখার আহ্বানও জানান তিনি।

কমিশনের একটি সূত্র বলছে, এর বাইরেও সিইসি তার ভাষণে নির্বাচনী আইন ও বিধি সংশোধন, সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ পরবর্তী সংসদীয় আসনের তালিকা প্রকাশ, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা, চূড়ান্ত হওয়া ভোটকেন্দ্র, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদন নিষ্পত্তি, প্রথমবারের মত পোলিং এজন্টদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়াসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ বিবেচনায় রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি রেখে ইসি। তবে আরেকটি সূত্র বলেছে, একাধিক তারিখ হাতে রাখছে নির্বাচন কমিশন। কোনো কারণে ২০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হলে নির্বাচনের সম্ভাব্য পরবর্তী তারিখ হতে পারে ২৩ ডিসেম্বর।

এর আগের জাতীয় নির্বাচনগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সাধারণত তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত ৪৫ দিন হাতে থাকে। সেক্ষেত্রে আজ তফসিল ঘোষণার পর ২০ ডিসেম্বর নির্বাচন হলে তা তফসিলের ৪২ দিন পর এবং ২৩ ডিসেম্বর হলে তা তফসিলের ঠিক ৪৫ দিন পর অনুষ্ঠিত হবে।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন