বিজ্ঞাপন

হার দিয়েই শেষ ইংল্যান্ডের দুঃস্বপ্নের অ্যাশেজ

January 8, 2018 | 12:53 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারলেও শেষমেশ অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ তেই সিরিজ হারতে হলো ইংল্যান্ডকে। সিডনি টেস্টের শেষদিনে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮০ রানেই ইনিংস গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের। অজিদের কাছে ইনিংস ও ১২৭ রানে ম্যাচ হারতে হয় ইংলিশদের।

সিডনিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৪৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাবে, ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ৬৪৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ম্যাচের পঞ্চম দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮০ রানেই থেমে যায় ইংলিশরা।

দলের পক্ষে জো রুট খেলেন সর্বোচ্চ ইনিংস। ১৬৭ বল খেলে ১ বাউন্ডারিতে ৫৮ রান তোলেন তিনি। জনি বেয়ারস্টো করেছেন ৩৮ রান। টম কুরান অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে। জেমস ভিন্স ১৮, মঈন আলী ১৩ ও অ্যালিস্টার কুক করেন ১০ রান। অজি দলের পক্ষে প্যাট কামিন্স ৩৯ রানে দিয়ে নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। নাথান লায়ন ৩ উইকেট নেন ৫৪ রানের বিপরীতে। মিচেল স্টার্ক ও

বিজ্ঞাপন

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংলিশ ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ৩৯, মার্ক স্টোনম্যান ২৪, জেমস ভিঞ্চ ২৫, জো রুট ৮৩,ডেভিড মালান ৬২, মঈন আলি ৩০, টম কুরান ৩৯ এবং স্টুয়ার্ট ব্রড ৩১ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স চারটি উইকেট দখল করেন। এছাড়া, মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড দুটি করে উইকেট তুলে নেন। একটি উইকেট পান নাথান লায়ন ও জশ হ্যাজলউড।

ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ৫৬ রান। উসমান খাজা ১৭১, অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ খেলেন ৮৩, শন মার্শ ১৫৬, মিচেল মার্শ ১০১ , টিম পেইন অপরাজিত ৩৮ রান করেন। এছাড়া, মিচেল স্টার্ক ১১ এবং প্যাট কামিন্স অপরাজিত ২৪ রান করেন।

ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন, ব্রড, টম কুরান এবং ক্রেন একটি করে উইকেট দখল করেন। দুটি উইকেট পান মঈন আলি।

বিজ্ঞাপন

পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংলিশ ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ফেরেন ব্যক্তিগত ১০ রান করে। স্টোনম্যান ফেরেন খালি হাতেই। জেমস ভিঞ্চ ১৮, ডেভিড মালান ৫ রান করেন। ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক জো রুট এবং ১৭ রানে অপরাজিত জনি বেয়ারস্টো।

অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লায়ন দুটি আর স্টার্ক-কামিন্স একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন।

সিডনি টেস্টে শন মার্শ আর মিচেল মার্শ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। সেঞ্চুরি করে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বুকে। অস্ট্রেলিয়ান ভাই হিসেবে তৃতীয় কোনো জুটি দেখলো একই ম্যাচে দুই ভাইয়ের সেঞ্চুরির ঘটনা। মার্শ ভাইয়েরা নাম লেখান চ্যাপেল আর ওয়াহ ভাইদের সঙ্গে।

সারাবাংলা/এএম/এসএন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন