January 9, 2018 | 12:47 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়য়ের আহমেদ হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের উপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য অাগামী ২৩ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ দিন ঠিক করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস।
আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরী, আইনজীবী রানা কাউসার। গত ০২ জানুয়ারি এ মামলার শুনানি শুরু হয়। এ মামলায় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মো. রইছ ওরফে সোহান, জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের মো. রাশেদুল ইসলাম রাজু এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন- প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ, ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ (পলাতক), প্রাণরসায়ন ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের নাজমুস সাকিব তপু, পরিসংখ্যান বিভাগের মাজহারুল ইসলাম, শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুণ্ডু অভি।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কর্মী জুবায়েরকে কুপিয়ে জখম করে তারই সংগঠনের একটি পক্ষ। পরে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
সেখানে ৯ জানুয়ারি ভোরে মারা যান জুবায়ের। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার হামিদুর রহমান আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
জুবায়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায়। তার বাবার নাম তোফায়েল আহমেদ, মা হাসিনা আহমেদ।
২০১২ সালের ৮ এপ্রিল এই ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মীর শাহীন শাহ পারভেজ। পরে আন্দোলনের মুখে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়।
সারাবাংলা/জেডকে/একে