বিজ্ঞাপন

কৃষি শুমারি শুরু এপ্রিলে

November 25, 2018 | 3:51 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আগামী এপ্রিলে শুরু হচ্ছে ‘কৃষি শুমারি ২০১৮’। এই শুমারির মাধ্যমে সারাদেশের শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (বিবিএস) এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উদ্বোধন করা হয়েছে দুই দিনব্যাপী জোনাল অপারেশন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিরও।

রোববার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম জোনাল অপারেশনে নিয়োজিত বিভাগীয় জেলা শুমারি সমন্বয়কারীদের জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কিশোর দাস।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপমহাপরিচালক তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আবুয়াল হোসেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জাফর আহমেদ খান।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১০ বছর পর পর এ শুমারি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। দেশব্যাপী শুমারি পরিচালনার জন্য ৭৪ জন জেলা সমন্বয়ক, ১০ জন বিভাগীয় সমন্বয়ক, ২৭০ জন সহকারী জেলা সম্বয়কারী এবং  ১২০ জন জেলা অফিসার কাজ করবেন।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, শুমারির প্রাক্কালে প্রাথমিক পর্যায়ে জোনাল অফিসারদের মাধ্যমে শুমারি প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করতে জোনাল অপারেশনের আয়োজন করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সব মৌজা বা মহল্লার গণনা এলাকার স্কেচ ম্যপে সীমানা নির্ধারণ ও সীমানা দেখানোসহ ম্যাপে যাবতীয় ল্যান্ডমার্ক হালনাগাদ করা হবে। এছাড়া গণণা এলাকা নির্ধারণের পাশাপাশি মৌজা বা মহল্লার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিকাশ কিশোর দাস বলেন, আমাদের কৃষির বহুমুখীকরণ হয়েছে। অনেক বৈচিত্র্যময় ফসল এসেছে। তাছাড়া কৃর্ষির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারও বেড়েছে। এই শুমারির মাধ্যমে কোন কোন ফসল কী পরিমাণ উৎপাদন হয় বা এসব উৎপাদনে কত মানুষ জড়িত, সেসব তথ্য উঠে আসবে। পাশঅপাশি কৃষি খাতে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে কিংবা অর্থনীতিতে কৃষির অবদান কতটুকু— এমন তথ্যও পাওয়া যাবে। শুমারি পরিচালনা করতে গিয়ে যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে, সেগুলো মোকাবিলা করে সবাইকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. আবুয়াল হোসেন বলেন, এখনও অনেকেই জানেন না আমাদের দেশে কী ধরনের ধান উৎপাদন হয় এবং কোন সময় কোন ফসল উৎপাদন হয়। নতুন নতুন কী ধরনের ফসল উৎপাদন হয়, অনেকেই সেগুলোর নামও জানেন না। শুমারির মাধ্যমে সবকিছুই উঠে আসবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা এফএও’র অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা রয়েছে। সবাই মিলে ভালোভাবে শুমারির কাজ শেষ করতে হবে।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন