বিজ্ঞাপন

বছরে ৭ হাজার শিশু জন্মায় থ্যালাসেমিয়া নিয়ে

January 9, 2018 | 5:48 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: থ্যালাসেমিয়া দেশের একটি অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা। দেশে ১ কোটি ১০ লাখ এই রোগের বাহক। প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম নেয়। এ রোগে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা এখন ৬০ হাজার।

মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘থ্যালাসিময়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। বাবা অথবা মা কিংবা বাবা-মা উভয়েই এই রোগের জিন বাহক থাকলে এটি সন্তানের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই রোগে কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। এটা ক্যান্সারও না। এই রোগের ফলে আক্রান্ত রোগীর দেহে ক্রটিযুক্ত লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদন হয়। এতে করে কোষগুলো পূর্ণ জীবনকালের আগেই ভেঙে যায়। ফলে রোগীকে নিয়মিত রক্ত পরিসঞ্চালন করে বেঁচে থাকতে হয়। তবে এই রোগের কোনো ওষুধ নেই।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘থ্যালাসেমিয়া রোগের স্থায়ী প্রতিষেধক বা সহজ প্রতিকার না থাকায় এর প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি জাতীয় রূপরেখা তৈরি করেছে। যাতে নতুন থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্ম প্রতিরোধের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া সমস্যা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়। এজন্য সরকার একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। এতে বলা হয়, ২০২০ সালে চিকিৎসার পাশাপাশি এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো হবে। ২০২১ সালে প্রাকবিবাহ থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং করা, ২০২২ সালে গর্ভস্থ ভ্র্রুণ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগটি নির্ণয় করা। ২০২৩ সালে থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা এবং ২০২৮ সালে জিন থেরাপির মাধ্যমে বোগীদের চিকিৎসার উদ্যোগ এবং থ্যালাসেমিয়ার সমস্যা মুক্ত বাংলাদেশ গড়া।’

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শৈত্যপ্রবাহ মোকাবেলায় স্থাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা বলা হয়েছে, হাসপতালগুলে তে ঠাণ্ডাজনিত রোগের চিকিৎসায় পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রাখতে এবং রোগীদেরও যথাযথ সেবা প্রদান করতে। আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ঠাণ্ডাজনিত কারণে কেউ মারা গেছেন এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই।

সারাবাংলা/জিএস/জেডএফ

বিজ্ঞাপন

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন