বিজ্ঞাপন

ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, তদন্তে ৩ কমিটি

December 4, 2018 | 11:50 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : রাজধানীর শান্তিনগরে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় তিনটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে  শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির প্রধান করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক মো. ইউসুফ।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জিয়াউল হক জানিয়েছেন, সকাল থেকেই  এই কমিটি কাজ শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের  স্কুল পরিদর্শক প্রিতীশ কুমারকে নিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে আরও একটি কমিটি গঠন করেছে ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষ ।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই শিক্ষার্থী নিজের রুমে গলায় ফাঁস দেয়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অরিত্রির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শান্তিনগরের একটি বাসার সাত তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত অরিত্রি। সে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাবা দিলীপ অধিকারী একজন ব্যবসায়ী, মা বিউটি অধিকারী গৃহিণী। অরিত্রির ছোট বোন ঐন্দ্রিলা অধিকারীও একই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞাপন

অরিত্রির স্বজনরা বলছেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুলে চলমান বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল অরিত্রি। পরীক্ষার হলে মোবাইল নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সে রোববারের (২ ডিসেম্বর) পরীক্ষায় মোবাইল নিয়ে যায়। সে মোবাইল থেকে নকল করেছে— এমন অভিযোগে শিক্ষকরা তার মোবাইল ফোন নিয়ে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দেয়। পরে আজ সোমবার সে পরীক্ষা দিতে স্কুলে গেলেও মোবাইলে নকল করার জন্য তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রির মা-বাবাকে স্কুলে তলব করে।

শান্তিনগরে ভিকারুননিসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

পরে অরিত্রির বাবা-মা স্কুলে গেলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, অরিত্রি পরীক্ষায় মোবাইলের মাধ্যমে নকল করেছিল এবং তাকে স্কুল থেকে ছাড়পত্র (টিসি) দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সেখান থেকে ফিরে অরিত্রি নিজের ঘর বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়।

এদিকে, খবর পেয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে অরিত্রির স্বজনদের রোষানলে পড়েন তিনি। পরে তিনি স্কুলে ফিরে যান।

এ বিষয়ে স্কুলের গভর্নিং কমিটির সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুদার বলেন, ‘ঘটনাটি মর্মান্তিক। দুঃখজনক।’ তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি, তবে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।’

সারাবাংলা/এইচএ/এসএমএন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন