বিজ্ঞাপন

বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীরা কে কোথায় লড়ছেন

December 8, 2018 | 12:09 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ক্ষীণ। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তো নির্বাচনে অংশ গ্রহণের চেষ্টাই করেননি। একাধিক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড হওয়ায় দলের প্রধান দুই নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না বলেই আপাতত ধরে নেওয়া যায়।

তবে, অনেক জল্পনা-কল্পনার পর শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) ঘোষিত বিএনপির ২০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে কয়েক ডজন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন—যারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নিজ নিজ সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আবার স্থায়ী কমিটির কয়েকজন প্রবীণ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন হেভিয়েট নেতা এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না। কারো কারো মনোনয়ন আবার ইসির বাতিল বক্সে পড়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবার লড়বেন ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে। তিনি অবশ্য বগুড়ার-৬ আসনেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসনটিতে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-ই হবেন ধানের শীষের প্রার্থী। অর্থাৎ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুইটি আসনে লড়তে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব।

বিজ্ঞাপন

দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবার দুইটি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কুমিল্লা-১ ও কুমিল্লা-২ নির্বাচনী আসনে লড়বেন তিনি। এবারের নির্বাচনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন একমাত্র ব্যক্তি, যিনি সরাসরি দুইটি আসনে লড়ছেন। বলে রাখা ভাল, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুইটি আসনে নির্বাচন করলেও একটি তার নিজের অপরটি খালেদা জিয়ার আসন।

বিএনপির আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ লড়বেন নোয়াখালী-৫ আসন থেকে। এখান তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এ আসনে ওবায়দুল কাদেরের কাছে মাত্র ১৩০০ ভোটে হেরেছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এছাড়া একাধিকবার মুখোমুখী লড়াইয়ে ওবায়দুল কাদেরকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

স্থায়ী কমিটির আরেক প্রভাবশালী সদস্য ড. মঈন খান লড়বেন নরসিংদী-২ আসন থেকে। একাধিকবারের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী মঈন খান বর্তমানে বিএনপির বিদেশনীতিটা সামলান। দলটির কূটনৈতিক কোরের অন্যতম প্রধান সদস্য তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস লড়বেন ঢাকা-৮ আসন থেকে। শুক্রবার ঘোষিত বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকায় নাম রয়েছে দলের গুরুত্বপূর্ণ এই নেতার। একাধিকবারের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস ঢাকা বিএনপির রাজনীতির কিং হিসেবে খ্যাত।

সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা গয়েশ্বরচন্দ্র রায় লড়বেন ঢাকা-৩ আসন থেকে এবং স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নির্বাচন করবেন চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে। বিএনপির প্রভাবশালী এই দুই নেতা নিজ নিজ আসনে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে মন্ত্রীও ছিলেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীণ রাজনীতিক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন লড়বেন মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে। বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে সব চেয়ে প্রবীণ রাজনীতিক শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনকে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে জায়গা না দিলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে তার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা দেখিয়েছে বিএনপি। স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারি দলের প্রথম চিফ হুইপ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট প্রার্থী মাহি বি চৌধুরী।

বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান লড়বেন চট্টগ্রাম-১০ আসনে। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য না করায় চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। কিছু দিনের জন্য বিএনপির রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়ও ছিলেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করায় সেই কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান সাবেকমন্ত্রী ব্যারিস্টার আলতাফ হোসেন চৌধুরী পটুয়াখালী-১, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ ভোলা-২, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ঝালকাঠি-১, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ফরিদপুর-৩, নিতাই রায় চৌধুরী মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন।

সারাবাংলা/এজেড/জেএএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন