বিজ্ঞাপন

সাকিবের লম্বা সময়ের সঙ্গী হতে চান সানজামুল

January 10, 2018 | 7:28 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

গত বছর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজে ডাক পেয়েছিলেন জাতীয় দলে। কিন্তু খেলার সুযোগ পাননি। শেষ পর্যন্ত অভিষেক হলো ত্রিদেশীয় সিরিজে, কিন্তু আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে এক ম্যাচ খেলার পরেই দর্শক। আবারও দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য ডাক পেলেন, এবারও কি দর্শক হয়ে থাকতে হবে সানজামুল ইসলামকে? এই বাঁহাতি স্পিনার নিয়তিটা মেনে নিয়েই বলছেন, এবার সাকিব আল হাসানের যোগ্য সঙ্গী হতে চান।

নাজমুল ইসলাম অপু , তাইজুল ইসলামদের টপকে ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। তবে একাদশে থাকাটা সহজ হবে না সানজামুলের জন্য, সেখানে মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসির হোসেনদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে হবে। আর দেশের মাটিতে সর্বশেষ ওয়ানডে বাংলাদেশ যখন খেলেছিল, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই সিরিজেও বাংলাদেশ দল ছিল পেসার নির্ভর। সানজামুল অবশ্য এসব হতাশা একপাশে রেখেই তাকাচ্ছেন সামনে।

‘এটা হতাশা না আসলে। আমি ওখানে (আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে) একটা ম্যাচ খেলার পর আর সুযোগ পাইনি কন্ডিশনের কারণে। আমি বাইরে বসে থেকে অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করেছি। এখন সেটা মাঠে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। দলে এখন নিয়মিত হওয়াটাই আমার লক্ষ্য। ’

বিজ্ঞাপন

আবদুর রাজ্জাকের পর আর কোনো স্পিনার সেভাবে থিতু হতে পারেননি দলে। জোয়ালটা বলতে গেলে একাই বইতে হয়েছে সাকিবকে। সানজামুল এবার সেই শুন্যতা পূরণ করতে চান, ‘আসলে (রাজ্জাক) উনি যাওয়ার পর থেকে সানী ভাই ভালো করছিল। চাকিংয়ের কারণে অফ হয়েছে। আমার এখন সুযোগ এসেছে। আমি যেন সেরা অ্যাফোর্টটা দিয়ে সাকিব ভাইয়ের পাশে স্পিনার হিসেবে বাংলাদেশ দলে থাকতে পারি।

নিজের যে ট্যাকটিক্যাল কিছু সমস্যা ছিল সেটাও মানলেন এই স্পিনার, ‘শিখছি এখনও। আগে ট্যাকটিকাল প্রবলেম ছিল। ওগুলো নিয়ে কাজ করেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টিভিতে দেখা আর মাঠের খেলা অনেক ভিন্ন। আমি এটা বোঝার চেষ্টা করছি। এগুলো শিখছি। বাকিটা সুযোগ পেলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’

স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশীর সঙ্গে এই কদিন নিবিড়ভাবেই কাজ করেছেন। সানজামুল সেখান থেকেও শিখেছেন অনেক কিছু, ‘উনি প্রতিনিয়ত গাইড করে। কখন কোন ব্যাটসম্যানকে কিভাবে বল করতে হবে। কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে বল করতে হবে এগুলো নিয়ে প্রতিনিয়ত তার সাথে কাজ করা হয়। প্রতিদিন অনুশীলনে কাজ করছি।’

বিজ্ঞাপন

ব্যাটিংটাও মন্দ পারেন না সানজামুল, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তাঁর একটি সেঞ্চুরিও আছে। ক্যাম্পের শুরু থেকেই আলাদাভাবে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন। সেই অনুশীলনটাও এবার প্রয়োগ করতে চান মাঠে, ‘আমাদের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দলের জন্য কিছু রান করে অবদান রাখতে পারে সেটা চেষ্টা করছি। তাহলে আমরা ফাইট দিতে পারব। আমাদের ব্যাটসম্যানদের একটা স্ট্রেন্থ থাকবে যে ওরা ফ্রিলি খেলতে পারবে। আমাদের টেল এন্ডাররা আছে ওরা রান করবে। আমরা যদি হেল্প করি তাহলে দলের জন্য অনেক অ্যাডভানটেজ।’  

ওয়ানডে দলে টিকে থাকতে হলে তো বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংটাও দরকার!

সারাবাংলা/ এএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন