বিজ্ঞাপন

‘দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে’

December 9, 2018 | 12:40 pm

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ(টিআইবি)-এর প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, জনগণকে বাদ দিয়ে কখনও কোনো দেশে দুর্নীতিকে রোধ করা যায় না। এ কারণে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। বিশ্বের ৬৩ শতাংশ মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছে।

রোববার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস ২০১৮’ এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। টেকসই উন্নয়ন, শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে একসাথে কাজ করার প্রতিপাদ্যে টিআইবি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যারা উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিবাজ তাদের বিরুদ্ধে দুদকের তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার দৃষ্টান্ত নেই। এই কারণে আমরা উদ্বিগ্ন। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে দুর্নীতির সহায়ক পরিবেশ রয়েছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও দেখা গেছে একজন শ্রমিক নেতা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা পালন করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, এশিয়ার মধ্যে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় সর্বনিন্ম। আমাদের আগে রয়েছে শুধু আফগানিস্তান। এছাড়া দেশের প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা দুর্নীতির সাথে জড়িত। তাই সরকারের কাছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ৫৭ ধারা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে দেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি এসব কালো আইন বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দুর্নীতি প্রতিরোধে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক গণতন্ত্র ও সুশাসনের বিদ্যমান ঘাটতি পূরণে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার থাকতে হবে এবং কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তার সুনির্দিষ্ট রুপরেখাও থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব কমাতে প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসেব পর্যবেক্ষণ করতে হবে, সরকারি খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘সরকারি চাকরি আইন ২০১৮’ এর বিতর্কিত ধারাসমূহ বাতিল করতে হবে।

ঋণ খেলাপিতে জর্জরিত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি ও জালিয়াতি এবং বেসরকারি ব্যাংকের নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারির সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া, মানববন্ধনে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে শক্তিশালী করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

সারাবাংলা/এনএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন