বিজ্ঞাপন

শীতে বেড়েছে রোগী, চাপ সামলাতে চিকিৎসকদের হিমশিম

December 11, 2018 | 8:19 am

।। এম এ হালিম, লোকাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ভৈরব: শীতের শুরুতেই ভৈরবে হঠাৎ করে শিশু ও বয়ঃবৃদ্ধরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর ভিড়। বাড়তি রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বেডে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকেই।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, সরকারি ওষুধ না পেয়ে বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ‘২/৩ মাস বয়সী শিশুদের ওষুধ সাপ্লাই না থাকায় বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। বাকি সব ওষুধ হাসপাতাল থেকেই রোগীদের দেওয়া হচ্ছে।’

ভৈরবে একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ২ লাখ বাসিন্দার জন্য একমাত্র সরকারি হাসপাতাল ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে ৪০/৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেককেই আবার ভর্তি হতে হচ্ছে। চাপ সামলাতে রোগীর তুলনায় বেডের সংখ্যা কম হওয়ায় সামান্য উন্নতি হলেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

চিকিৎসকরা বলছেন, সিজন পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত এসব রোগীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গেছে। শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষেরা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে ২/৬ মাসের কোলের শিশু ও বয়োবৃদ্ধরাও বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। চাপ সামলাতে সবাইকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

শিমুলকান্দি ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামের ফাতেমা বেগম তার কোলের ৩ মাসের শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা নিতে। তিনি জানান, তার গ্রামে প্রায় প্রতিটি ঘরেই শিশুরা ডায়রিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। একই কথা জানান আগানগর, চন্ডিবর থেকে আসা রোগীরাও।

কালিকাপ্রসাদ এলাকার জামান মিয়া জানান, তার ২ মাসের শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। হাসপাতালে আসার পর চিকিৎসকরা বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনতে একটি স্লিপ লিখে দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কে এন এম জাহাঙ্গীর জানান, শীতের শুরুতেই গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তবে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়ায়। এসব রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে বেড সংকুলান না হওয়ায় মেঝেতে বিছানা করে ওষুধ ও চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ করা হচ্ছে।

হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘সিজন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিশু ও বয়ঃবৃদ্ধরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।  প্রতিদিন ৪০/৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের মধ্যে প্রায় ১৫/২০ জনকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে’

হঠাৎ করে রোগীদের চাপ বাড়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এসব রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান ওষুধের সাপ্লাই আছে। তবে ২/৩ মাসের শিশুদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সাপ্লাই কম থাকায় বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।’

সারাবাংলা/এমও

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন