December 11, 2018 | 4:19 pm
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
থাইল্যান্ডের সামরিক সরকার বলেছে রাজনৈতিক দলগুলো আগামী নির্বাচনের জন্য প্রচারণা শুরু করতে পারে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে বহুল-প্রতীক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। খবর বিবিসির।
এই ঘোষণার মাধ্যমে চার বছর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক প্রচারণা নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তার অবসান ঘটলো। সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের পর থেকেই জানিয়ে আসছে, তারা থাইল্যান্ডে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে ইচ্ছুক। কিন্তু এতদিন ধরে প্রতিবারই নির্বাচনের তারিখ নানা কারণে পিছিয়ে আসছে তারা।
২০১৪ সালে থাইল্যান্ড শাসনের ক্ষমতা নিজ হাতে নিয়ে নেয় সামরিক বাহিনী। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা ও তার ব্যাপক জনপ্রিয় ফিউ থাই দলের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করে ক্ষমতা কেড়ে নেয় সামরিক বাহিনী।
সেসময় সামরিক নেতারা বলেছিলেন, তারা বেশ কয়েকমাস ধরে দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা থামিয়ে শৃঙ্খলা স্থাপন করতে এই অভ্যুত্থান করেছে। অভ্যুত্থানটি সহিংস রুপ নিয়েছিল।
অভ্যুত্থানের পর সামরিক বাহিনী নতুন একটি সংবিধান তৈরি করে। পাল্টে দেয় প্রচলিত ভোট ব্যবস্থা। নতুন সংবিধান অনুসারে, নির্বাচনের পরও দেশটির রাজনীতিতে সামরিক বাহিনী বেশ প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করবে। তারা সিনেট নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা রাখবে। আর সিনেটরাই মূলত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে থাকে।
চার বছর আগে রাজনৈতিক কর্মসূচি ও পাঁচজনের বেশি রাজনৈতিক কর্মীর সমাবেশ নিষিদ্ধ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক ডজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে সামরিক বাহিনী। এতে করে নষ্ট হয়ে যায় বিক্ষোভের কোন সম্ভাবনা।
সারাবাংলা/ আরএ