January 11, 2018 | 4:19 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে মাওলানা সাদ ভারতে ফেরত না গেলে শান্তি বিনষ্ট হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় সাংবাদিকদের কাছে এ হুশিয়ারির কথা জানান হেফাজতের ঢাকা মহানগর কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল করিম কাশেমী।
কাশেমী বলেন, একটি গ্রুপ মাওলানা সাদকে ভাড়া করে এনে ইসলামের শান্তি বিনষ্ট করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
মাওলানা সাদ ঢাকায় আসার পর তার বিরোধীপক্ষরা বুধবার দুপুর থেকে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভের অংশ হিসেবে সাদ বিরোধীরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় অবস্থান নেন।
বুধবার বেলা ১২ টায় মাওলানা সাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তবে আগে থেকেই তার বিপক্ষের মুসল্লিরা বিমানবন্দরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করায় তিনি বের হতে পারেননি। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাকে কাকরাইল মসজিদে নেওয়া হয়। তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তায় এখন তিনি সেখানেই রয়েছেন।
এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় সাদ এর বিপক্ষের মুসল্লিরা কাকরাইল মসজিদের কাছে প্রধান বিচারপতির বাস ভবনের সামনের রাস্তায় প্রায় ১০ মিনিট তারা মিছিল করে। এক ট্রাক ভর্তি মুসল্লি এ সময় স্লোগান দেয় ‘সা’দ তুমি ফিরে যাও’। এরপর পুলিশ তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সরে যেতে বললে মুসল্লিরা কাকরাইল মসজিদের সামনে থেকে সরে যায়।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে এক সমাবেশে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
তাবলীগ জামাত সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ তাবলীগ জামাত পরিচালনা কমিটির শূরা সদস্য ১১ জন। এর মধ্যে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও হাফেজ মাওলানা জুবায়েরের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং ছিল। এরকম পরিস্থিতিতে মাওলানা সাদের দেওয়া, স্মার্ট ফোন বহন এবং আরবি শিক্ষার বিনিময়ে টাকা নেওয়া হারাম ফতোয়ার পরে সে দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়।
তাবলীগ জামাতের বিরোধ নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে মামলা-পাল্টা মামলা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তাদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর কাকরাইল মসজিদে ওয়াসিফুল ও জুবায়ের গ্রুপ একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি, এরপর হাতাহাতি হয়।
এখন ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভির অংশ নেওয়া নিয়ে আবার দুইপক্ষ পাল্টাপাল্টি অবস্থান করছেন।
তাবলীগ জামাত আয়োজিত ইজতেমায় অংশগ্রহণ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তার পক্ষ-বিপক্ষের মুরব্বিরা। বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেছেন উভয়পক্ষের প্রতিনিধিরা।
সারাবাংলা/একে/এমএ