বিজ্ঞাপন

ইশতেহার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ‘মনিটরিং সেল’ চায় তরুণরা

December 23, 2018 | 8:41 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মনিটরিং সেল গঠনের দাবি জানিয়েছে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস। সংগঠনটি জানিয়েছে, প্রতিবার নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করে থাকে। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়ন করে, সে বিষয়ে কোনো জবাবদিহিতা থাকে না। তাই ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মনিটরি সেল গঠন করা প্রয়োজন।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে তারুণ্যের নির্বাচনি ইশতেহার পর্যালোচনা শীর্ষক সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।

এর আগে, সংগঠনটি তারুণ্যের নির্বাচনি ইশতেহার নামে একটি ইশতেহারে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তরুণদের বিভিন্ন চাহিদার কথা তুলে ধরেছিল।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস তাদের ইশতেহার প্রত্যাশা গ্রহণ করায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানায় এবং রাজনৈতিক দলের ইশতেহারের বিভিন্ন বিষয় দ্বিমতও প্রকাশ করে।

শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান, চিকিৎসাসেবা, পররাষ্ট্র, বিদ্যুৎ, জ্বালানির মতো বিষয়গুলো নিয়ে তারা রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারের বিষয়ে ঐক্যমত ও দ্বিমত প্রকাশ করে। পাশাপাশি ইশতেহারে অনুপস্থিত বিষয়গুলোও উঠে আসে আলোচনায়।

তরুণদের দ্বিমত উঠে আসে বেকার ভাতার বিষয়ে। তারা জানান, বেকার ভাতা নয়, বরং কাজ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা চান তারা।  এ ছাড়াও ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করেন তারা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিতে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দও চান তারা। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের ২/৩ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় না বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিট বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তরুণরা।

বিজ্ঞাপন

তারা নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে ৫০ শতাংশ জ্বালানির জোগানের ব্যবস্থা ও নতুন এয়ারপোর্ট বানানোর আগে বর্তমান এয়ারপোর্ট সংস্কার করে সেটাকে বিশ্বমানের করার প্রস্তাব দেন। নতুন খাল খনন না করে বর্তমান খাল সংস্কার এবং আওয়ামী লীগের গ্রামকে শহর করার প্রস্তাবেও দ্বিমত জানান তরুণরা।

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক এনায়েতুল কৌশিক বলেন, আমাদের বর্তমান সম্পদের সমস্যাগুলোকে সংস্কার করতে হবে। তা না করে যদি নতুন সম্পদ তৈরি করা হয়, তা সমস্যা সমাধান করবে না।

সারাবাংলা/এমএ/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন