বিজ্ঞাপন

জেএসসিতে ৮৫.৮৩%, পিইসিতে ৯৭.৬০% পাস

December 24, 2018 | 1:06 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: এবার সারাদেশে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) পাসের হার ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, আর জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেডিসি) পাসের হার ৮৯ দশমিক ০৪ শতাংশ। দুই পরীক্ষা মিলিয়ে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে (পিইসি) এবার পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ, আর মাদ্‌রাসা বোর্ডের অধীনে ইবতেদায়িতে এ হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। দুই পরীক্ষা মিলিয়ে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। পরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে ফলাফলের পরিসংখ্যান সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

এবার জেএসসি-জেডিসিতে মোট ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে মোট পাস করেছে ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন, যা গড় হিসেবে ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন।

জেএসসি পরীক্ষায় এবার মোট অংশ নিয়েছে ২২ লাখ ১৬ হাজার ৯৬১ জন, এদের মধ্যে মোট পাস করেছে ২১ লাখ ৩ হাজার ৭৬৩ জন, যা গড় হিসেবে ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। জেডিসি পরীক্ষায় এবার মোট অংশ নিয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ২০৮ জন, যাদের মধ্যে মোট পাস করেছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩১১ জন, যা গড় হিসেবে ৮৯ দশমিক ০৪ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

এবার পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় মোট ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৮০৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এদের মধ্যে পাস করেছে ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৬১ জন, যা গড় হিসেবে ৯৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।

পিইসি পরীক্ষার অংশ নেয় ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৬ জন, এদের মধ্যে মোট পাস করে ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৯০৪ জন, যা গড় হিসেবে ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ইবতেদায়ি পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৭ জন, এদের মধ্যে পাস করে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৫৫৭ জন, যা গড় হিসেবে ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

গত বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় পাস করেছিল ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী, আর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

গত ১৮ নভেম্বর শুরু হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শেষ হয় ২৬ নভেম্বর। আর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ১ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ১৫ নভেম্বর।

ছাত্রদের থেকে ছাত্রীরা ভালো করেছে:  জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় বিভিন্ন সূচকে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা ভালো ফল করেছে।

এ বছর ছাত্র পাস করেছে ১০ লাখ ১৫ হাজার ৩৮৭ জন। যা গত বছর ছিল ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৩ জন। গতবছরের তুলনায় এবার ছাত্র পাসের সংখ্যা বেড়েছে ৭৮ হাজার ৬৫৪ জন।

এ বছর ছাত্রী পাস করেছে ১২ লাখ ১৫ হাজার ৪৪২ জন। যা গত বছর ছিল ১০ লাখ ১০ লাখ ৮১ হাজার ৫৩৮ জন। ছাত্রী পাসের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯০৪ জন।

এ বছর ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী ২ লাখ ৫৫ জন বেশি পাস করেছে।

ফলাফলের পরিসংখ্যানে জানা যায় এ বছর ছাত্র পাসের হার ৮৫ দশমিক ১২ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৮৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এবার পাসের হার বেড়েছে ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

এ বছর ছাত্রী পাসের হার ৮৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৮৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এবার ছাত্রী পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ।

এ বছর ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী ১ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি পাস করেছে।

শুধু তাই নয় এ বছর ছাত্রের তুলনায় ১১ হাজার ৭১৫ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে।

পাস বেড়েছে, জিপিএ-৫ কমেছে: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় গত বছরের চেয়ে পাসের হার বেড়েছে। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা কমেছে। এবছর জেএসসিতে গড় পাসের হার ৮৫.৮৩ শতাংশ। এ ছাড়া জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন। শতভাগ পাশের প্রতিষ্ঠান ৪,৭৬৯টি। এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে পাশে হার ৮৯.০৪ শতাংশ।

এবার আটটি সাধারণ বোর্ড ও মাদ্‌রাসা বোর্ডে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯ জন। যা গত বছর ছিল ২৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৪২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮২৭ জন।

এবার পাস করেছে ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন। যা গত বছর ছিল ২০ লাখ ১৮ হাজার ২৭১ জন। এবার পাসের সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৮ জন।

এবার পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গতবছরের চেয়ে এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ১৮ শতাংশ।

এবার উভয় বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন। গত বছর ছিল ১ লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন। চতুর্থ বিষয়সহ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৯৫ হাজার ৭৩১ জন।

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ছাড়া এবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) অধীন অনুষ্ঠিত পিইসি ও ইইসি পরীক্ষায় ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৫ জন অংশ নেয়। অন্যদিকে ৯ শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৩ লাখ ২৯ হাজার ২৪১ শিক্ষার্থী।

গত ১ নভেম্বর শুরু হয় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা।

পরীক্ষার ফলাফল জানতে

পিইসি: যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে প্রাথমিক সমাপনীর ফল জানতে- মেসেজ ওপশানে গিয়ে DPE স্পেস থানা/উপজেলা কোড নম্বর স্পেস রোল নম্বর স্পেস ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

ইবতেদায়ির ফল জানতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে EBT স্পেস থানা/উপজেলা কোড নম্বর স্পেস রোল নম্বর স্পেস ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

এই এসএমএস লেখার সময় সরকারি অথবা রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের EMIS কোড নম্বরের প্রথম পাঁচ সংখ্যা উপজেলা/থানা কোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট (http://www.dpe.gov.bd), সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেও ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকেও প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীর ফল জানা যাবে।

জেএসসি ও জেডিসি

যেকোনো মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে JSC/JDC লিখে স্পেস নিজ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস রোল নম্বর স্পেস ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠালে ফিরতি এসএমএস এর মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও জেএসসি-জেডিসির ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ই-মেইলে জেএসসি-জেডিসির ফলের সফটকপি পাঠাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। প্রয়োজনে সেখান থেকেও ফলের কপি সংগ্রহ করা যাবে।

সারাবাংলা/এইচএ/একে

আরও পড়ুন

পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফল আজ
ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা বেশি ভালো করেছে
পাস বেড়েছে, জিপিএ-৫ কমেছে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন